প্রস্তাব
বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে এমন উদ্ভট প্রস্তাব দেবে না, যা দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করে বা গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, 'সরকার বা দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
উল্লেখ্য, রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, আটক সব নেতাকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যারা আগুনসন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে নির্বাচনের কথা বলছে, তারা বিএনপির এজেন্ট, তারা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’
কাদের বলেন, এ পর্যন্ত ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ৩৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৫ সদস্যের কাউন্সিলে ১৩ সদস্য পক্ষে এবং একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।
এতে গাজায় ইসরায়েলের মাসব্যাপী বোমাবর্ষণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্ন অবস্থান এবং তার কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান ফাটল লক্ষ করা যায়।
যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ফ্রান্স ও জাপানও ছিল।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ বলে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এই অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ প্রধানকে।
গুতেরেস গাজায় সৃষ্ট ‘মানবিক বিপর্যয়’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, সামরিক অভিযান বন্ধ করা হলে হামাসকে গাজা শাসন চালিয়ে যেতে এবং ‘পরবর্তী যুদ্ধের বীজ রোপণ করার সুযোগ দেবে’।
ভোটের আগে উড বলেছিলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান চায় না হামাস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে চায়, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা উভয়েই যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে। তাই আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করি না।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় ১৭ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত এবং ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক সদস্যদের মৃত্যুর আলাদা করে কোনো হিসাব দেয়নি।
তবে তারা জানায়, নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষের প্রায় ১২০০ জন মারা গেছে।
গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত
প্যালেস্টাইনের গাজায় মানবিক যু্দ্ধ বিরতির জন্য আনা প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আলোচনা সফলতার মুখ দেখেনি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) প্রস্তাবটি পাস করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সাড়ে ৩ হাজার শিশুসহ প্রায় ৭০০০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ।
গত ২০ দিন ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা পাস হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সেশনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি আহ্বান করা হলে তা দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে এ প্রস্তাবে ভোট দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। তিনি এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্যে প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার দৃঢ় আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।’
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
রাষ্ট্রদূত মুহিত আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বের কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো প্রস্তাব গ্রহণে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জরুরি সেশন অবিলম্বে আহ্বান করতে আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছি। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সব স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।’
এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা হবে। সেখানে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত হবে। হাসপাতালগুলো যাতে আহত ও অসুস্থ নাগরিকদের সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বাংলাদেশে অফশোর উইন্ড এনার্জিতে উৎপাদনে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক।
দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বুধবার (১৯ জুলাই) একথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। যেখানে বিদেশি ও দেশীয় উভয় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সরকার দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা।
নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নারীদের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্রের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাতে ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিআই সেক্টরের প্রসারও খুব দ্রুত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, মানব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশে ভালো বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর স্টেশন ভাঙার প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো (উন্নয়ন) কাজের জন্য যাই তখন চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়... আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সমস্ত প্রকল্প শেষ করেছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এমআরটি রুটটি বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল ও দ. আমেরিকার ৩ দেশের সঙ্গে পিটিএ ও এফটিএ সইয়ের ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি এটির সঙ্গে চলতাম তবে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিতে হতো যেখানে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। আমি সেই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী করেছিলাম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যায় কুর্মিটোলায় ঢাকা বিমানবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব ত্রাণ তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল।
তিনি আরও বলেন, যে প্ল্যানেটোরিয়ামের (বিজয় সরণিতে) গম্বুজটির মূল নকশা থেকে অনেক বেশি উচু ছিল।‘আমরা সেই উচ্চতা কমিয়েছি। যদি উচ্চতা ৬০ থেকে ৭০ ফুটের বেশি হয়, তবে এটি বিমানবন্দর ফানেলের (তেজগাঁও বিমানবন্দরের) অধীনে আসবে।’
তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেন যে পুরানো অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করা হলে সরকারকে ২২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি খামার বাড়ি এলাকা ব্যবহার করে নতুন রুট প্রস্তাব করেছি।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ ও মহামারি সত্ত্বেও মানুষের কষ্ট লাঘবে যা দরকার আ.লীগ তা করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ করেছেন।
তিনি আরও বলে, ‘সেই সময়, মেট্রোরেলের বাঁক ও ও অবতরণের জায়গার জন্য কমলাপুর স্টেশন ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে এত বড় ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙে আরেকটি নির্মাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কীভাবে আমরা (কমলাপুর) স্টেশনটি অক্ষত রেখে এগিয়ে যেতে পারি। প্রয়োজনে মেট্রো রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে যাবে বা বাঁক নেয়ার জন্য অন্য জায়গা খুঁজবো। তখন এটি সেভাবে করা হয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে মেট্রোরেল প্রকল্পটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল এবং বলেছিল যে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশকে ধ্বংস করবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে মেট্রোরেলের কারণে কোনও ঝামেলা হবে না কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি কোণ দিয়ে যাবে।’
হলি আর্টিজান হামলার পর মেট্রোরেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়, যাতে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সাত জাপানি নাগরিক নিহত হয়।
তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে, সমস্ত জাপানিরা তাদের স্বদেশে ফিরে গিয়েছিল। আমি তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে সমবেদনা জানিয়েছিলাম এবং জাপান সফরে গিয়ে আমি সাতজন নিহত জাপানি কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি।
পরে, তিনি স্মরণ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এটি আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সেই সময়ে, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করে কাজটি ধীরে ধীরে এগিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা মেট্রোরেল সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সতর্কতা ও মননশীলতার সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে (মেট্রো) রেলকে সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করব, কারণ এটি সমগ্র দেশ এবং জনগণের সম্পদ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য সরকার একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ উন্নয়ন বোর্ড(বিপিডিবি) খুচরা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা (প্রতি ইউনিট) এক দমমিক ৪৭ টাকা বৃদ্ধি চেয়ে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
বুধবার অফিসিয়াল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমরা খুচরা শুল্ক প্রতি ইউনিট ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যমান সাত দশমিক ৫৬ টাকা থেকে ৯ দশমিক ০৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বাড়াতে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল
বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরদিনের মধ্যেই বিপিডিবি খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক প্রস্তাব পেশ করে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে দেশে মোট ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা রয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের সকলকে নতুন বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে।
সোমবার বিইআরসি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে বিদ্যমান প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় (প্রতিটি ইউনিট) পাঁচ দশমিক ১৭ টাকার পরিবর্তে ছয় দশমিক ২০ টাকা করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দিয়ে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল নিষ্পত্তি করে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বিপিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপিডিবি’র খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দেয়ার আগে দেখেছেন।
তবে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছেন, তিনি এখনও প্রস্তাবটি দেখতে পাননি।
বিইআরসি আইন-২০০৩ অনুযায়ী, শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে কোনও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত শোনার জন্য শুনানির পদ্ধতির আলোকে একটি গণশুনানি করবে এবং তারপরে এটি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
বাল্ক শুল্ক বাড়ানোর পর নসরুল হামিদ বলেছেন, এখনই বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনসাধারণের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
তবে তিনি বলেন, সরকার গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘তাই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল।’
তিনি আরও বলেন যে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি ভবিষ্যতে খুচরা গ্রাহকদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এএসএম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানির জন্য অধিকার গোষ্ঠীটি তাদের মতামত উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
আরিয়ানকে সিনেমার প্রস্তাব দেন শাকিব খান
নতুন সিনেমার আলোচনা থেকে অনেকদিন বাইরে ছিলেন শাকিব খান। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯ মাস কাটিয়ে আসার পর চিত্রনায়িকা বুবলির সঙ্গে তার বিয়ে ও তাদের সন্তানের প্রসঙ্গ যে ছিল ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে আলোচ্য খবর। সেই রেশও এরইমধ্যে কেটে গেছে। এবার ঢালিউডের কিং যেন তার কথায় ফিরে এলেন। একের পর এক নতুন সিনেমার চমক দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মিডিয়া: মরিয়ম মান্নান, শাকিব খান, বুবলী...
রায়হান রাফির সঙ্গে সিনেমার খবরের পর এবার জানা গেল ছোটপর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের সিনেমায় অভিনয় করতে পারেন শাকিব খান।
বিষয়টি নিয়ে মিজানুর রহমান আরিয়ানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। খুশির বিষয়, তিনি আমার বিষয়টি ভেবেছেন। এর বাইরে বিস্তারিত কিছু এখনই বলার মতো হয়নি।’
আরিয়ান আরও জানান, শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস থেকে তার কাছে সিনেমার প্রস্তাবটি আসে।
চলতি সময়ে আরো একটি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। সেটি শেষ হলে শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে বাকি আলাপ আগাবে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: শেহজাদ খান বীর আমার এবং বুবলীর সন্তান: শাকিব খান
অবশেষে শাকিব খানকে পেলেন নির্মাতা রায়হান রাফি
ইসি নিয়োগে নাম প্রস্তাবকারীদের তথ্য না দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কে বা কোন দল নিয়োগপ্রাপ্তদের কার নাম প্রস্তাব করেছে-সেই তথ্য না দেয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল দেন। তথ্য কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কে কার নাম প্রস্তাব করেছে এই তথ্য প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন তথ্য কমিশন সিদ্ধান্ত দেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চার বিশিষ্ট নাগরিক রিট করেন। আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আইনজীবীর তথ্যমতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি সুপারিশে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের পূর্ণ তথ্যসহ কে কার নাম প্রস্তাব করেছে-সেসব তথ্য চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অধিকার অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদার। এ বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করার এখতিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেই জানিয়ে গত ১ মার্চ অপারগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন সুজন সম্পাদক। নির্ধারিত সময়ে এর জবাব না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি। তবে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন অভিযোগ খারিজ করে দেয় তথ্য কমিশন। এ অবস্থায় তথ্য কমিশনের ৭ জুনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৩ জুন রিট করা হয়। রিট আবেদনে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেসব তথ্য না দেয়াসংক্রান্ত তথ্য কমিশনের ৭ জুনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্নভাবে ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব আসে অনুসন্ধান কমিটির কাছে। নামগুলো ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারা এসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি। পরে কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়। এই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খোলা রাখুন: ডিসিকে হাইকোর্ট
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ আটজন সাবেক সংসদ সদস্য ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মৃত্যু এবং সীতাকুণ্ড ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদে আজ (রবিবার) সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
অন্য সাতজন সাবেক সংসদ সদস্য হলেন- জুবেদ আলী (নেত্রকোনা), সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী (টাঙ্গাইল), বি এম নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা), শাহ জিকরুল আহমদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল জলিল (শরীয়তপুর) ও ড. আশিকা আকবর (টাঙ্গাইল)।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
এসময় মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী রাজনৈতিকদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে অধিবেশন শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির বাম থেকে ডানপন্থী দলগুলো ইমরানের অপসারণের বিষয়ে এক হয়েছে। বিরোধীদের দাবি পাকিস্তানের ৩৪২ আসনের সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের ১৭২টি ভোট রয়েছে।
এর আগে ইমরান খান দেশের জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে রবিবার তার সমর্থকদের প্রতিবাদ করার জন্য সড়কে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলে বোঝা যায় তিনিও মনে করছেন যে অনাস্থা ভোটে তিনি হেরে যাবেন।
কারণ সম্ভবত তার ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং একটি ছোট কিন্তু প্রধান জোট অংশীদারও খানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, তার ক্ষমতাসীন সংসদ ভেঙে দেয়া এবং আগাম নির্বাচন আয়োজনকে অবৈধ ঘোষণা করে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ফের অনাস্থা ভোট আয়োজনের পথ পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: ফের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি ইমরান খান
ইমরান খান তাকে অপসারণ করার জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিক নীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন। কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
খান বলেন, রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের বিরোধিতা করেছিল ওয়াশিংটন।
অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জালিনা পোর্টার শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।’
জালিনা পোর্টার আরও বলেন, অবশ্যই আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখি এবং পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। কিন্তু এই অভিযোগগুলো একেবারেই সত্য নয়।
তারপরও খান তার সমর্থকদের; বিশেষ করে তরুণদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ ২০১৮ সালে সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই তরুণ সমর্থকেরাই তার সমর্থনের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তরুণদের প্রতিবাদ করতে হবে। এই প্রতিবাদ আমেরিকার বিরুদ্ধে, কারণ দেশটি পাকিস্তানকে শাসন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিজের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আপনাদেরই আপনাদের গণতন্ত্র, আপনাদের সার্বভৌমত্ব এবং আপনাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে ... এটি আপনাদের কর্তব্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাপিয়ে দেয়া সরকার মেনে নেব না।’
শনিবার যদি অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ে তাহলে ইমরান খান সংসদ ভেঙে দেয়ার এবং আগাম নির্বাচনে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করার উপায় হিসেবে দেশে বিক্ষোভ বজায় রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
আর অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের পরাজয় তার বিরোধী অংশীদারদের পাকিস্তানের ক্ষমতায় আনবে।
তাদের মধ্যে জামিয়াত-ই-উলেমা-ইসলাম (জেইউআই) নামে একটি উগ্র ধর্মীয় দল রয়েছে, যারা বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্কুল বা মাদ্রাসা চালায়। জেইউআই তাদের পরিচলিত এসব স্কুলে ইসলামের রক্ষণশীলতার চর্চা শেখায়। আফগানিস্তানের তালেবান ও পাকিস্তানের নিজস্ব স্বদেশী সহিংস তালেবান সদস্যদের অনেকেই জেইউআই স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছেন।
বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তম হলো নিহত বেনজির ভুট্টোর ছেলের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ। দল দুটো পূর্বে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তথাকথিত পানামা পেপারসে নাম আসার পরে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাকে পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।
যদি বিরোধী দল অনাস্থা ভোটে জয়ী হয় তাহলে নতুন সরকারপ্রধান বেছে নেয়ার বিষয়টি সংসদের ওপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে সামনের সারিতে আছেন নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরিফ। আর সংসদ সদস্যরা নতুন সরকারপ্রধান মনোনয়নে ব্যর্থ হলে আগাম নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে আগাম নির্বাচন নিয়ে শুনানি