প্রস্তাব
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলেছে, বুধবারের (২০ নভেম্বর) উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে হামাসের হাতে এখনও আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির বিষয়টি নেই।
এদিকে লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো চুক্তিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের অধিকার চায়।
লেবাননের সরকার সম্ভবত এ ধরনের যেকোনো দাবিকে তার দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখবে।, যা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সর্বাত্মক যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল যুদ্ধে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। যুদ্ধের কারণে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বা লেবাননের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অন্যদিকে রকেট, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের ৮৭ সেনা ও ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পরদিন থেকেই ইসরায়েলে গোলাবর্ষণ শুরু করে হিজবুল্লাহ।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক যুদ্ধে প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ৭ অক্টোবরের হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। গাজার অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ নিহত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুট, ২০ জনকে হত্যা করেছে হামাস
১ সপ্তাহ আগে
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বিটিআরসিকে প্রস্তাব দিল আইআইজিএবি
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আইআইজি খাত সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের (আইআইজিএবি) পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে গত ২৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যমান বাজারমূল্যের চেয়েও বিভিন্ন স্ল্যাবে দাম কমিয়ে বিটিআরসিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজিএবির প্রস্তাবিত ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে আইএসপিগুলো প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা (বিভিন্ন স্ল্যাবে) কমাতে বা গ্রাহকের কাছ থেকে কম রাখতে পারবে। এতে করে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ কমবে।
জানা গেছে, সরকারও ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৪ নভেম্বর) একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ-উল বারী জানান, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে।
এমদাদ-উল বারী বলেন, ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি সহজ হতে পারে।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ব্যবহারকারী বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সরকারও চাইছে ইন্টারনেটের দাম কমাতে। সরকারের সঙ্গে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজি খাতে ব্যান্ডউইথ (বিভিন্ন স্ল্যাবে) যে মূল্য বিক্রি হচ্ছে সেই দর নির্ধারণ হয়েছে ২০২১ সালে। ৩ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও সেই দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য রিভিউয়ের সময় হয়েছে। মূল্য রিভিউ হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
৩ সপ্তাহ আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সময়োপযোগী করতে সংশোধনী প্রস্তাব
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধন করতে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা ও ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়।
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
এছাড়া আরও ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব (মতামত) এস. এম. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) রুহুল আমীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) মো. রফিকুল হাসান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সানজিদা ইসলাম ও শরিফ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ফারহান হত্যার ঘটনায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের
২ মাস আগে
সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। তাদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আন্দোলনকারীরা চাইলে আমি এখনো আলোচনায় রাজি। তারা যেকোনো সময় (গণভবনে) আসতে পারে। দরকার হলে তারা তাদের অভিভাবকদের নিয়েও আসতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি তাদের কথা শুনতে চাই; শুনতে চাই- তাদের কী কী দাবি অপূর্ণ রয়ে গেছে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পর এই প্রথম তিনি এ ধরনের ইঙ্গিত দিলেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কারো দাবির অপেক্ষায় থাকিনি।’
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, পুলিশ হোক বা অন্য কেউ, তার বিচার হোক। যাদের কাছে অস্ত্র ছিল এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবার বিচার ও তদন্ত হওয়া উচিত।’
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যত্রও যেসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসিনা বলেন, ‘এজন্য আমি বিচার বিভাগীয় কমিশনে আরও দুজন বিচারক এবং তিনজন সদস্য নিয়োগ দিয়েছি।’
তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয়, সে কারণে তিনি কমিশনের কাজের পরিধি ও সময়ও বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
যারা ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়েছে তাদের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেটাই চাই। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে; তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে।’
রংপুরে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্য এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সহিংসতা ঘিরে গ্রেপ্তারদের মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একইসঙ্গে আটক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যারা একেবারেই জড়িত নন, তাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি; এটি শুরু হচ্ছে।’
যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তারাই কেবল কারাগারে থাকবে এবং বাকিরা মুক্তি পাবে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটি পুরোপুরি বাতিল করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল। এরপর সার্বিক বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা এই প্রকল্প চালু করি। আমরা সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি বাতিল করতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
৪ মাস আগে
ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপের বিষয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এসব প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসের নতুন হটলাইন নম্বর ১০২ চালু
তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের কোনো পরিবর্তন হবে না।
বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান স্তরের আবগারি শুল্ক ৩ হাজার টাকা। ১০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ৩ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এরপর ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে।
বর্তমানে ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটের স্তরগুলোতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ১০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। আর ২ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ২০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্তর অনুযায়ী ৫ কোটি টাকার বেশি ডিপোজিটে আবগারি শুল্কের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও অফশোর ব্যাংকিং আইনের আওতাধীন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে রাখা আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের হিসাবে আবগারি শুল্ক তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
৫ মাস আগে
বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপি বা অন্য কোনো দলকে এমন উদ্ভট প্রস্তাব দেবে না, যা দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করে বা গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, 'সরকার বা দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
উল্লেখ্য, রবিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, আটক সব নেতাকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যারা আগুনসন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে নির্বাচনের কথা বলছে, তারা বিএনপির এজেন্ট, তারা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’
কাদের বলেন, এ পর্যন্ত ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ৩৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
১১ মাস আগে
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৫ সদস্যের কাউন্সিলে ১৩ সদস্য পক্ষে এবং একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।
এতে গাজায় ইসরায়েলের মাসব্যাপী বোমাবর্ষণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্ন অবস্থান এবং তার কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান ফাটল লক্ষ করা যায়।
যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ফ্রান্স ও জাপানও ছিল।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ বলে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এই অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ প্রধানকে।
গুতেরেস গাজায় সৃষ্ট ‘মানবিক বিপর্যয়’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, সামরিক অভিযান বন্ধ করা হলে হামাসকে গাজা শাসন চালিয়ে যেতে এবং ‘পরবর্তী যুদ্ধের বীজ রোপণ করার সুযোগ দেবে’।
ভোটের আগে উড বলেছিলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান চায় না হামাস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে চায়, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা উভয়েই যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে। তাই আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করি না।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকায় ১৭ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত এবং ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক সদস্যদের মৃত্যুর আলাদা করে কোনো হিসাব দেয়নি।
তবে তারা জানায়, নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষের প্রায় ১২০০ জন মারা গেছে।
১১ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত
প্যালেস্টাইনের গাজায় মানবিক যু্দ্ধ বিরতির জন্য আনা প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আলোচনা সফলতার মুখ দেখেনি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) প্রস্তাবটি পাস করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সাড়ে ৩ হাজার শিশুসহ প্রায় ৭০০০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ।
গত ২০ দিন ধরে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা পাস হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সেশনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি আহ্বান করা হলে তা দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে এ প্রস্তাবে ভোট দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। তিনি এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্যে প্যালেস্টাইনের জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার দৃঢ় আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সবসময় প্যালেস্টাইনের পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।’
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
রাষ্ট্রদূত মুহিত আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বের কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো প্রস্তাব গ্রহণে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জরুরি সেশন অবিলম্বে আহ্বান করতে আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছি। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সব স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।’
এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা হবে। সেখানে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত হবে। হাসপাতালগুলো যাতে আহত ও অসুস্থ নাগরিকদের সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
১ বছর আগে
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বাংলাদেশে অফশোর উইন্ড এনার্জিতে উৎপাদনে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক।
দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বুধবার (১৯ জুলাই) একথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। যেখানে বিদেশি ও দেশীয় উভয় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সরকার দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা।
নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নারীদের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্রের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাতে ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিআই সেক্টরের প্রসারও খুব দ্রুত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, মানব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশে ভালো বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর স্টেশন ভাঙার প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো (উন্নয়ন) কাজের জন্য যাই তখন চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়... আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সমস্ত প্রকল্প শেষ করেছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এমআরটি রুটটি বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল ও দ. আমেরিকার ৩ দেশের সঙ্গে পিটিএ ও এফটিএ সইয়ের ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি এটির সঙ্গে চলতাম তবে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিতে হতো যেখানে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। আমি সেই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী করেছিলাম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যায় কুর্মিটোলায় ঢাকা বিমানবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব ত্রাণ তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল।
তিনি আরও বলেন, যে প্ল্যানেটোরিয়ামের (বিজয় সরণিতে) গম্বুজটির মূল নকশা থেকে অনেক বেশি উচু ছিল।‘আমরা সেই উচ্চতা কমিয়েছি। যদি উচ্চতা ৬০ থেকে ৭০ ফুটের বেশি হয়, তবে এটি বিমানবন্দর ফানেলের (তেজগাঁও বিমানবন্দরের) অধীনে আসবে।’
তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেন যে পুরানো অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করা হলে সরকারকে ২২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি খামার বাড়ি এলাকা ব্যবহার করে নতুন রুট প্রস্তাব করেছি।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ ও মহামারি সত্ত্বেও মানুষের কষ্ট লাঘবে যা দরকার আ.লীগ তা করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ করেছেন।
তিনি আরও বলে, ‘সেই সময়, মেট্রোরেলের বাঁক ও ও অবতরণের জায়গার জন্য কমলাপুর স্টেশন ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে এত বড় ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙে আরেকটি নির্মাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কীভাবে আমরা (কমলাপুর) স্টেশনটি অক্ষত রেখে এগিয়ে যেতে পারি। প্রয়োজনে মেট্রো রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে যাবে বা বাঁক নেয়ার জন্য অন্য জায়গা খুঁজবো। তখন এটি সেভাবে করা হয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে মেট্রোরেল প্রকল্পটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল এবং বলেছিল যে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশকে ধ্বংস করবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে মেট্রোরেলের কারণে কোনও ঝামেলা হবে না কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি কোণ দিয়ে যাবে।’
হলি আর্টিজান হামলার পর মেট্রোরেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়, যাতে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সাত জাপানি নাগরিক নিহত হয়।
তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে, সমস্ত জাপানিরা তাদের স্বদেশে ফিরে গিয়েছিল। আমি তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে সমবেদনা জানিয়েছিলাম এবং জাপান সফরে গিয়ে আমি সাতজন নিহত জাপানি কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি।
পরে, তিনি স্মরণ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এটি আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সেই সময়ে, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করে কাজটি ধীরে ধীরে এগিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা মেট্রোরেল সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সতর্কতা ও মননশীলতার সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে (মেট্রো) রেলকে সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করব, কারণ এটি সমগ্র দেশ এবং জনগণের সম্পদ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য সরকার একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে