ট্রাম্প
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় আকস্মিক নেতিবাচক কিছু নেই: অধ্যাপক ইউনূস
ডোনাল্ড ট্রাম্প (নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় হঠাৎ করে কোনো নেতিবাচক বিষয়ের উত্থান দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এমন কিছু নয়, কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, যা তার ওপর নির্ভর করে ‘
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রিপাবলিকান পার্টি বা ডেমোক্রেটিক পার্টি এমনকি ট্রাম্পের বিষয়েও তার কোনো সমস্যা নেই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না এবং উভয় দলেই তার বন্ধু রয়েছে।
অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ জানালেন ড. ইউনূস
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখবেন। তার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শীর্ষ পদে বহাল থাকবেন।
এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
মার্কিন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প 'হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত সহিংসতার' নিন্দা জানান, যারা বাংলাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে।’
এক টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমার নজরদারিতে এটা কখনই ঘটত না। কমলা এবং জো বিশ্বজুড়ে এবং আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন। তারা ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত একটি বিপর্যয় হয়েছে, তবে আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব!’
এ বিষয়ে আল জাজিরার এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটা মূলত অপপ্রচার- সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অপপ্রচার। ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: সীমাবদ্ধতা সত্বেও একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, বেশিরভাগ অপপ্রচারের উৎপত্তি ভারত থেকে। যে কারণেই হোক না কেন- সম্ভবত অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখার জন্য।
'কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই' উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সহিংসতা শুরু হয়েছিল বিপ্লবের সময় হিন্দু বা অন্য ধর্মের কারণে নয়, বরং বেশিরভাগই তারা আওয়ামী লীগার ছিল বলে। হিন্দুদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগার।’
রবিবার(১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুরা কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হয়, তবে তা 'সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত'।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন বাংলাদেশ ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটি দেশ। সে সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মূলত রাজনৈতিক কারণে অল্প কিছু সহিংসতার ঘটনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার করব: অধ্যাপক ইউনূস
৩ দিন আগে
‘আ. লীগের গ্রেপ্তার কর্মীদের সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ধরপাকড় বা দমনপীড়ন করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেকিং ফেসবুক পেইজে জানায়, ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কিছু ভারতীয় পত্রিকা ‘আক্রমণাত্মকভাবে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে’।
এতে আরও বলা হয়, ‘তারা বিপ্লবের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার সংবাদ অতিরঞ্জিত করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আজকের ধরপাকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে একইভাবে মিথ্যাচার।’
রবিবার রাজধানীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
প্রেস উইং জানায়, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ছিল। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের গ্রেপ্তার এড়াতে ঢার হিসেবে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
প্রেস উইংয়ের দাবি, ‘গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করেন না এবং শুধু হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বেরিয়েছিলেন।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গতকালের বাংলাদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভুল রিপোর্ট করেছে।
তারা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশকে 'ট্রাম্প সমর্থকদের' সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিজয় উদযাপন করতে এসেছিলেন তারা।
বাংলাদেশে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের ‘ট্রাম্প সমর্থক’ হিসেবে পরিচয় দেয়নি বা অতীতে তার সফলতা উদযাপন করেনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিজয় উদযাপনের কোনো বিষয় উল্লেখ ছিল না।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কর্মীদের রবিবারের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর পোস্টারের পাশাপাশি ট্রাম্পের পোস্টারও বহন করতে হবে। বিশেষভাবে ট্রাম্পের পোস্টারগুলো পুলিশি কার্যক্রম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের এই ঘটনার ছবি তোলার এবং তাদের নেতাদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ ছিল; যাতে সেগুলো ট্রাম্পের কাছে পাঠানো যায়। এসব যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে দাবি প্রেস উইংয়ের।
এই নির্দেশনাসম্বলিত একটি কল রেকর্ড গত সপ্তাহে ফাঁস হয়েছিল। যদিও ইউএনবি এই রেকর্ডিংটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি। তবে আওয়ামী লীতের অনেক কর্মী পরে একই নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রেপ্তার হওয়ায় এই রেকর্ডিংটির সত্যতা প্রমাণ হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করতে হাসিনার নির্দেশ: গ্রেপ্তার ১০
১ সপ্তাহ আগে
রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারসহ নানা গোপন উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে ফেরার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাফিজ উমেদ আহমেদ।
রবিবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়েছে বলেই এ ধরনের চক্রান্তে মেতেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার পর থেকে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকার মাঝে আজ (রবিবার) নূর হোসেন দিবসে কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ছবিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করবে বিএনপি
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোর বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জনগণ দ্বারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে শেখ হাসিনা ও তার দল বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মবেশে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে যখন দেশের মানুষ আপনাকে বিতাড়িতে করে- এখন আপনি একেক সময় একেক কাভারে আসতে চান। কোনো কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটা নিয়ে আসবেন, কিছু সময় ওই যে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের চিত্র নিয়ে আসবেন। আবার এখন ট্রাম্পের (ডনাল্ড ট্রাম্প) চিত্র আসছে।’
‘আসলে যাদের এখন অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, তারা কোনো একটা অন্য কোনো বেশে তারা আসতে চাচ্ছে দেশের মধ্যে। এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা- তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, এটাই প্রমাণ করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ট্রাম্পের বেশে কেন আসতে হবে, হিন্দুদের অত্যাচারের বেশে কেন আসতে হবে? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অবস্থায় পৌঁছাল- এটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছে, তাই না।’
‘আমি বলতে চাই, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা হচ্ছে। যারা রাজনৈতিকভাবে ব্যাংক্রাপট (দেউলিয়া) হয়ে গেছে, তারা বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা করছে- একটা আবহাওয়া সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
অপর এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান’ বলে মনে করেন বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর : শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ বলেন, ‘হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য কত নির্মম এরা ছিল। আল্লাহর গজব এদের উপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি বাঁচতে চান।’
‘আসেন না বাংলাদেশে, এত বড় বড় কথা বলেন, বাংলাদেশে আসেন। এখন জিয়াউর রহমান নাই, তার দল বিএনপি এখনও আছে। তার বাংলাদেশের জাতীয়বাদ আছে। আমরা সবাই মিলে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, পরিষদের মহাসচিব ডক্টর ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
১ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করতে হাসিনার নির্দেশ: গ্রেপ্তার ১০
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মিছিল করার নির্দেশ দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
৫ আগস্ট ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে তার সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে হাসিনা ভারতেই বসবাস করছেন। এর মাধ্যমে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
সরকারি সূত্র জানায়, ফোনে হাসিনার এই নির্দেশনা দেওয়া ষড়যন্ত্রের অংশ। মূলত দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার রাতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযান চালানো হয় এবং ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানের সময়, তাদের কাছ থেকে উসকানিমূলক পোস্টার, ছবি, প্ল্যাকার্ড ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সতর্ক রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসব অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত উসকানিদাতা, অর্থদাতা এবং সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত।
আরও পড়ুন: জেনেভা ক্যাম্প থেকে ‘বোমা আরমান’ গ্রেপ্তার
১ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় গোপালগঞ্জে ভুরিভোজের আয়োজন
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভুরিভোজের আয়োজন করেছে স্থানীয় যুবকরা।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে এ খিচুড়ি দিয়ে এই ভোজের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লুৎফর রহমান হিমুর অর্থায়নে দুই শতাধিক লোকের জন্য এই আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: চীন যাচ্ছেন বিমান বাহিনী প্রধান
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ফ্রেডরিক ট্রাম্পের বন্ধু বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মো. লুৎফর রহমান হিমু।
এছাড়া হিমু যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের ন্যাশনাল ফাইন্যান্স মেম্বারও।
হিমুর অপর বন্ধু গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন। স্থানীয় যুবসমাজের আয়োজনে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতেই এই ভোজের আয়োজন করা হয়।
মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমার বন্ধু লুৎফর রহমান হিমু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ফ্রেডরিক ট্রাম্পের বন্ধু। সে আমাকে কথা দিয়েছিল ট্রাম্প জিতলে খিচুড়ি খাওয়াবে। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এ উপলক্ষে আমার বন্ধু হিমুর অর্থায়নে আমরা যুবকরা এই ভোজের আয়োজন করেছি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে আমরাও আনন্দিত ও গর্বিত।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে এ বিজয় অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের সাক্ষাৎ
ময়মনসিংহে ১০ মণ নিষিদ্ধ পিরানহা জব্দ
১ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্পকে অভিনন্দন শির, দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ খোঁজার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান শি। তিনি বলেন, এটি উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয় এবং সংঘাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়‑ইতিহাস থেকেই এই শিক্ষাই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল, সুদৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।
উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার নীতিগুলো বজায় রাখবে, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করবে, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আশাবাদী শি।
একই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জে.ডি. ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
২ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ট্রাম্পকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও ভবিষ্যত সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তিনি।
চিঠিতে তিনি বলেন, '২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আপনি বিজয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা মানে আপনার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। ‘
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমি নিশ্চিত আপনার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধি লাভ করবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অসংখ্য ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অফিসে আপনার আগের মেয়াদে সম্পর্কের গভীরতা এবং প্রশস্ততা বাড়তে থাকে। আমি আমাদের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সম্ভাবনাগুলো অফুরন্ত, আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারিত্বের নতুন নতুন পথ খোঁজার লক্ষ্যে কাজ করে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লেখা চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার প্রচেষ্টার অংশীদার ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশের সরকার ও শান্তিকামী মানুষ।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটাকে (তার জয়) স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্য সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তাকে সম্ভবত ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
এ সময় প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্পের বিজয়কে এমন একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য অসাধারণ প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। যিনি চার বছর আগে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করে ইউএস ক্যাপিটল হিলে সহিংস বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিলেন। এমননি গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং দুটি হত্যাচেষ্টার হাত থেকে বেঁচে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাবিনাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
২ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে 'ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন' আখ্যা দিয়ে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা না হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মার্কিন এই নির্বাচনটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান প্রথমে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
এক্স-এ লেখা এক পোস্টে জেলেনস্কি তাদের সাম্প্রতিক আলোচনার কথা স্মরণ করে ট্রাম্পের প্রতি উষ্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দারুণ বৈঠক হয়েছে। সেসময় আমরা ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিজয় পরিকল্পনা এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জয়ের পথে ট্রাম্প, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধার
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও এক্স-এ একটি উদযাপনমূলক বার্তা পোস্ট করেছেন, ট্রাম্পের প্রত্যাশিত বিজয় সম্পর্কে তার খুশির কথা উল্লেখ করেছে লিখেছেন, ‘প্রিয় ডোনাল্ড এবং মেলানিয়া ট্রাম্প, ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউজে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা এবং ইসরায়েল ও আমেরিকার মধ্যে মহান মৈত্রীর প্রতি একটি শক্তিশালী পুনর্ব্যক্ত এনে দেবে। এ এক বিশাল বিজয়!'
ডানপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবান এটিকে ‘মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন’ বলে অভিহিত করেছেন। অরবান তার পোস্টে যোগ করেছেন, 'অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’ বিশ্বের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় বিজয়!
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসি ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, 'অভিনন্দন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে তিনি এক্সে লিখেছেন, পারস্পরিক বিশ্বাস সম্মান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আরও শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আমরা চার বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের দায়িত্ব নেওয়া লেবার পার্টি থেকে নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার, ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন- 'নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। সামনের বছরগুলোতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মোদী লেখেন, ' নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনি আপনার আগের মেয়াদের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে জয় পেয়েছেন। আমি ভারত-মার্কিন বিস্তৃত বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে আমাদের সহযোগিতা নবায়নের অপেক্ষায় রয়েছি। আসুন আমরা একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’
আরও পড়ুন: দেশকে সবার আগে রাখতে হবে: নির্বাচনের রাতের ভাষণে ট্রাম্প
২ সপ্তাহ আগে
জয়ের পথে ট্রাম্প, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে তিনটি-পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল ভোটের কাছাকাছি পৌঁছেছেন তিনি।
পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ওহাইওতে আসন লাভ করে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে রিপাবলিকানরা।
নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকানদের লাভ করা প্রায় ১০টি আসন এবার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ডেমোক্র্যাটরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে প্রভাবিত হ্যারিস সমর্থক, আর মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনে ট্রাম্প সমর্থকরা
মঞ্চে উঠলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এপির বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৬৭টি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। তিনি মিশিগান ও উইসকনসিনসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন।
পেনসিলভানিয়া জয়ের ফলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল ভোট দূরে রয়েছেন।
তিনি আলাস্কা বা অবশিষ্ট সুইং স্টেটে জয়ী হতে পারলে হোয়াইট হাউস যেতে পারেন।
ট্রাম্পের ওয়াচ পার্টিতে আলিঙ্গন, ফোনালাপ ও উদযাপন
তার নির্বাচরি রাতের ওয়াচ পার্টিতে জড়ো হওয়া ট্রাম্প সমর্থকরা একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন, ফোনে কল, লাফালাফি করছেন এবং তাদের ‘এমএজিএ টুপি’ বাতাসে ছুঁড়ে মারছেন।
ওয়েস্ট পাম বিচের কনভেনশন সেন্টারে এখনও আসছেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: শুরুতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমাণ রাজ্যগুলোর ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি
২ সপ্তাহ আগে
জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনার জয়ে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধারের দ্বারপ্রান্তে ট্রাম্প
এক সময়ের রিপাবলিকানদের শক্তিশালী ঘাঁটি জর্জিয়ায় বুধবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চার বছর আগে এই রাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে ভোট পড়েছিল।
ট্রাম্পের জর্জিয়া ও উত্তর ক্যারোলাইনায় জয় লাভের ফলে কমলা হ্যারিসের বিজয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। এটি তাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করবে।
এদিকে ট্রাম্পের এই বিজয়ের ফলে হ্যারিসের হোয়াইট হাউসে যাওয়া এখন মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের "নীল প্রাচীর" এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল করে তুলেছে।
ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে তার ওয়াচ পার্টিতে উপস্থিত জনতা মধ্যরাতের পর বের হতে শুরু করে।
ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্টের কথা বলার কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে হ্যারিসের একজন শীর্ষ সহযোগী তার সমাবেশ থেকে সমর্থকদের বাড়ি পাঠিয়েছেন।
হ্যারিসের ক্যাম্পেইনের কো-চেয়ার সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমরা রাতভর লড়াই চালিয়ে যাব যাতে নিশ্চিত করা যায় যে প্রতিটি ভোট গণনা করা হয়েছে। প্রতিটি কণ্ঠস্বরে নিজেদের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কোনো কথা বলবেন না। তবে আগামীকাল আপনার তার কথা শুনতে পাবেন। তিনি আগামীকাল আবার এখানে ফিরে আসবেন।’
এদিকে, বুধবার ভোরে ফ্লোরিডায় ওয়াচ পার্টি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্টের।
এক সময়ের ব্যাটলগ্রাউন্ড ফ্লোরিডায়ও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। টেক্সাস, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানার মতো রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলোতেও আগাম জয় পেয়েছেন তিনি।
ভার্জিনিয়া রাজ্যে জয় লাভ করেছেন হ্যারিস। ডেমোক্রেটিকদের শক্তিশালী ঘাঁটি নিউ ইয়র্ক, নিউ মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়াও জিতেছেন। এছাড়া, হ্যারিস নেব্রাস্কায় একটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটও জিতেছেন।
ট্রাম্প তার প্রচারে বলেছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ঐতিহ্যগত শক্তিকে কমিয়ে দেবে।
এপির ভোটকাস্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটাররা যেভাবে জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তার তুলনায় এসব ভোটারের সমর্থন হ্যারিসের প্রতি খানিকটা কম বলে মনে হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন ওই ভোটারদের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভোটারের ওপর চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেসির ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।
২ সপ্তাহ আগে