মুনিয়ার মৃত্যু
মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
রাজধানীর গুলশান এলাকায় কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
অন্য সাত আসামি হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম; শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম; আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম; ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা; সাইফা রহমান মিম; ফ্ল্যাটের বাড়িওয়ালা ইব্রাহিম আহমেদ রিপন এবং তার স্ত্রী শরমিম আক্তার।
বিচারক মাফরোজা পারভিন অভিযোগকারী তানিয়ার বক্তব্য রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
১৯ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরের মুক্তি চেয়ে আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার জমা দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দোষী সাব্যস্ত হননি এবং তার নাম বাদ দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে সেই রাতেই বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের নারাজি
গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
৩ বছর আগে