সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশিকে অনুমতি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য আজকের (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
আজ মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
এরপর বিদেশি তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনের উপর শুনানি হয়। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
১ বছর আগে
পরীমণির মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে
মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। ঘটনার কিছু বিবরণ দিয়ে পরীমণি আর কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন।
এজন্য আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে দুপুর ১টার দিকে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এসময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন রাতে বোটক্লাবে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতস্তত বোধ করছিলেন পরীমণি।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী আদালতকে বলেন, পরীমণি লজ্জায় অনেক কথা স্বাক্ষীর জবানবন্দীতে বলতে পারছেন না। এসব কথা বলাও যায় না।
তখন বিচারক বলেন, আপনারা তাহলে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে করার আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তখন বিচারক পরীমণির কাছে জানতে চান, আপনি কি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফিট আছেন?
পরীমণি বলেন, আজকে ফিট না। প্রস্তুত হয়ে আসিনি। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাচ্ছি না।
এরপর আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী জানান, আজকেই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে পরিচালনার আবেদন করব। আশা করছি, আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন পরীমণি।
গত বছর ২৯ নভেম্বর পরীমণি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। পরীমণি অসুস্থ থাকায় এর আগে কয়েকদফা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছায়।
মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
গত বছর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
১ বছর আগে
ডেইলি মিররের প্রকাশকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে প্রিন্স হ্যারি
ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি মঙ্গলবার ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র ‘ডেইলি মিরর’-এর প্রকাশকের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। এরমধ্য দিয়ে ১৯ শতকের পর রাজপরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে আদালতে হাজির হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
হ্যারি মিররের ওই প্রকাশকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ফোন হ্যাকিং ও অন্যান্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। এরকম একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতেই এদিন আদালতে হাজির হন হ্যারি।
তিনি একটি কালো এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল) গাড়িতে করে আদালতে আসেন এবং কয়েক ডজন ফটোগ্রাফার ও টিভি ক্যামেরাকে পাশ কাটিয়ে আদালতে প্রবেশ করেন।
সাক্ষ্য দেওয়ার আগে হ্যারি লন্ডন হাইকোর্টের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ নেন। এরপর অভিযুক্তের আইনজীবী তাকে জেরা শুরু করেন।
৩৮ বছর বয়সী হ্যারি ঊনবিংশ শতাব্দীর পর প্রথম ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন।
এর আগে, ১৮৯১ সালে তৎকালীন ভাবি রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এক জুয়া কেলেঙ্কারির মামলার বিচারে সাক্ষ্য দিতে আদালতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘একাকীত্ব' মোকাবিলায় রাজা চার্লস নিজের সঙ্গে একটি টেডি বিয়ার রাখেন: হ্যারি
সোমবার আদালতে প্রিন্সের মামলার বিবরণ দিতে গিয়ে তার আইনজীবী ডেভিড শেরবোর্ন বলেন, হ্যারির শৈশব থেকেই ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলো হ্যাকিং ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এমন কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে, যেগুলোকে পত্রিকাগুলো ‘স্কুপ’ (এক্সক্লুসিভ সংবাদ) হিসেবে পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, হ্যারির এইসব গল্প সংবাদপত্রটির বিক্রি বাড়ানোর একটি বড় হাতিয়ার ছিল এবং ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত স্কুলে ব্যথা পাওয়া থেকে শুরু করে গাঁজা ও কোকেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রেমিকাদের সঙ্গে উত্থান-পতন বিষয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০টির মতো নিবন্ধে তার জীবনের প্রায় সমস্ত দিক তুলে ধরা হয়েছিল।
তার আইনজীবী বলেন, ‘ট্যাবলয়েডগুলোর জন্য কিছুই পবিত্র বা সীমার বাইরের ছিল না।’
হ্যাকিং অর্থাৎ তারকাদের ফোনে আড়ি পাতার জন্য ডিফল্ট সিকিউরিটি কোড অনুমান বা ব্যবহার করার অভ্যাস এই শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।
২০১১ সালে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ১৩ বছর বয়সী এক নিহত কিশোরীর ফোন হ্যাক করার খবর প্রকাশের পর এই বিষয়টি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে।
এরপর মালিক রুপার্ট মারডক পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং তার বেশ কয়েকজন নির্বাহী বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে মাথায় রাজমুকুট পড়লেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস
মিরর গ্রুপ ২০১৫ সালে শত শত অবৈধ তথ্য সংগ্রহের দাবি নিষ্পত্তি করতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ১২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে এবং ফোন হ্যাকিংয়ের শিকারদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে।
তবে ৩৩টি প্রকাশিত নিবন্ধের বিষয়ে পত্রিকাটি হ্যারির সব দাবি অস্বীকার করেছে বা মেনে নেয়নি।
মিরর গ্রুপের অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু গ্রিন বলেন, ডিউক অব সাসেক্সের হ্যাক হওয়ার ঘটনার পক্ষে সমর্থন করার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এরপরই গ্রিন হ্যারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন।
সোমবার সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে করা তার বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে প্রথম মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য হ্যারির অপেক্ষা করা হয়।
বিচারক টিমোথি ফ্যানকোর্টের স্পষ্ট ক্ষোভের জবাবে তার আইনজীবী ডেভিড শেরবোর্ন বলেন, তিনি (হ্যারি) অনুপস্থিত ছিলেন, কারণ তিনি তার দুই বছর বয়সী মেয়ে লিলিবেটের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার লস অ্যাঞ্জেলেস ছিলেন, সেখান থেকে ফেরার জন্য তিনি বিমানে উঠেছেন।
হ্যারিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ফ্যানকোর্ট বলেন, ‘আমি কিছুটা বিস্মিত।’
আরও পড়ুন: জীবনভর প্রস্তুতি নিয়ে ৭৩ বছর বয়সে রাজা হলেন প্রিন্স চার্লস
১ বছর আগে
তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মতিন অ্যান্ড কোং-এর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এ কে আব্দুল মতিন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার (৩১ মে) দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
এদিন দুপুর ২টার পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়।
এসময় বিচারক আদালতের এজলাস ছেড়ে চলে যান। হট্টগোলের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা আদালতকক্ষে গিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া করে এজলাস থেকে বের করে দেন। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। আর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অবস্থান নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে।
বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিকাল ৬টা পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য আদালতের সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদালতে এ অচলাবস্থা বিরাজ করছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বর্তমানে তারা পলাতক। গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
বিদেশে থেকে তারেক ও জোবায়দা আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার
১ বছর আগে
শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পরীমণির সঙ্গে তার স্বামী রাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এসময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে, অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের জন্য আবেদন করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির নাম উল্লেখ করে অপর চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম হচ্ছেন অপর দুই আসামি। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
১ বছর আগে
'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার দশম সাক্ষী হলেন সজীব ওয়াজেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
২০১৫ সালের ৩ মার্চ পল্টন থানায় সজীব ওয়াজেদকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এ মামলা হয়।
মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির সাংস্কৃতিক শাখা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তারা সবাই পলাতক রয়ে গেছে।
পুলিশ ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে শফিক রহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৮ সালের ৬ মার্চ মামলায় সাংবাদিক শফিক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে ‘৩০০ দলীয় ক্যাডার’ নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত: জয়
২ বছর আগে
ড. জাফর ইকবাল হত্যা চেষ্টা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. এম এ মামুন।আদালতের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান টিটু সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্নের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ২১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালায় ফয়জুর নামের এক যুবক। ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সে। আহত অবস্থায় জাফর ইকবালকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
ওইদিন ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দিয়ে ফয়জুরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত হিসেবে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি ও ফয়জুরের বাইসাইকেল উদ্ধার করে। পরে ৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। তার আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
২ বছর আগে
মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন রিসোর্টের তিনজন
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের তিন কর্মকর্তা কর্মচারী । সোমবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তাদের এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
তারা হলেন- রিসোর্টের রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান অনি, সুপার ভাইজার আবদুল আজিজ পলাশ ও আনসার সদস্য রতন বড়াল।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
এর আগে সোমবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। দুপুর সাড়ে বারোটার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হলে ২টা পর্যন্ত চলে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই ধর্ষণ মামলায় ৪৩ জন সাক্ষী রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়্যাল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ পলাশ, পাবলিক রিলেশন অফিসার নাজমুল হাসান অনি ও আনসার সদস্য রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
তিনি আরও জানান, আদালত পাঁচজন সাক্ষীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও চারজন উপস্থিত হয়েছেন। তবে আদালতে হাজিরা দেয়া ইসমাইল হোসেন নামে আরেক আনসার সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। পরের তারিখে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে। এর আগে গত ২৪ তারিখ একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও ভুক্তভোগী নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আরও বলেন, আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। তারা গত ৩ এপ্রিল রয়্যাল রিসোর্টের ঘটনা জানান। সাক্ষীরা আদালতকে বলেন, ‘ওইদিন রিসোর্টে বিশৃঙ্খলার পর ওই নারীর সঙ্গে তার কী সম্পর্ক জানতে চাইলে তাকে স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল। তবে এই বিষয়ে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের সামনেই মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী বিয়ের প্রলোভনে রিসোর্টে এনে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে সকলের সামনে ওই কথা স্বীকারও করেন মামুনুল হক।’
উল্লেখ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হক ওই রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগ তুলে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। ওই মামলায় ৩ নভেম্বর মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৪ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ঝর্ণা।
২ বছর আগে
সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে সোমবার চতুর্থ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল হোসেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহতের সময় তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ৬ সাক্ষীকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে যারা সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর হাজির হয়েছে তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে চতুর্থ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : ২য় দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, আজ যিনি সাক্ষী দিয়েছেন তিনি যে সিএনজি চালক তার কোন প্রমাণ নেই। আদালতকে তিনি যা বলছেন তা এর আগে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিনে মামলার বাদী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও ঘটনার সময় সিনহার সাথে থাকা সাবেক সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। গত রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই হত্যা মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলী।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে। ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।
৩ বছর আগে