কেজি
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ, কেজি ৫০ টাকা
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ। ফলের দোকানে পসরা সাজিয়ে কিংবা ভ্যান করে বিক্রি হচ্ছে রসালো এই ফল। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
বিভিন্ন জাত ও নানা সাইজের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাগেরহাট বাজারে। ক্রেতাদের কাছে যেকোনো ফলের চেয়ে তরমুজের চাহিদা বেশি। ইফতারিতে তরমুজের প্রাধান্য বেশি। এছাড়া এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে আলদাভাবে তরমুজ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সাইজের তরমুজ পথচারীদের নজর কাড়ে। পথচারী থেকে শুরু করে করে অনেকে যানবাহন থামিয়ে তরমুজ ক্রয় করছেন। তিন কেজি থেকে শুরু করে আট কেজি ওজনের তরমুজ দেখা গেছে সেখানে।
আরও পড়ুন: চাষ না হলেও দক্ষিণের তরমুজে ভরপুর চাঁদপুর
পথচারী হালিম শেখ বলেন, ‘রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা এত তরমুজ এই মৌসুমে প্রথম দেখা গেলো। ৫০ টাকা কেজি দরে ৬ কেজি ওজনের একটি ক্রয় করে সে।
মিল্টন, আলম, তৌহিদ, অমলসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতারা জানান, তরমুজ তাদের অনেক পছন্দ। একারণে দাম যাই হোক; তারা তরমুজ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে কয়েকজন সাধারণ ক্রেতা জানান, ৫০ টাকা তরমুজের কেজি তাদের কাছে বেশি হয়ে গেছে। মৌসুমের প্রথম ফল ও তরমুজ তাদের সবার পছন্দ থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সাইজের তরমুজ ক্রয় করেছেন।
হাবিব হোসেন পটুয়াখালী চাষিদের জমি থেকে প্রায় দেড় হাজার তরমুজ ক্রয় করে ট্রাকবোঝাই করে বাগেরহাট মিঠাপুকুর পাড়ে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যবসা করছি। মিঠাপুকুর পাড়ে বিক্রি জন্য স্তূপ করে তরমুজ রাখা হয়েছে। ট্রাক থেকে তরমুজ নামানোর পর থেকে ক্রেতারা আসছেন তরমুজ ক্রয় করতে। খুচরা প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারলে বেশ টাকা লাভ হবে।’
এছাড়া এই মৌসুমে তরমুজ বাজারে প্রথম উঠছে। এ কারণে দাম একটু বেশি বলেও জানান তিনি। কয়েকদিন পরে তরমুজের দাম কমে আসবে বলেও জানান হাবিব হোসেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘সারাবছরজুড়ে কমবেশি তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজের প্রধান মৌসুম মার্চ মাস।’
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে তরমুজের বাম্পার ফলন, সেচ-পরিবহন সমস্যায় কৃষকরা
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ হচ্ছে। এ বছর তরমুজের ফলনও ভালো। তরমুজ হাট-বাজারে নতুন আসায় এর দামও বেশি।’
উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘গ্রীষ্ম ও শীতকালে বেশি তরমুজ চাষ হয়। গ্রীষ্মকালের তরমুজের চারা নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয়।’ এছাড়া ড্রাগন কিং, পাকিজা, বিগফ্যামিলি, এশিয়ান ও বাংললিংকসহ বিভিন্ন নামে হাইব্রিড তরমুজ চাষ করা হয়েছে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
২৯ দিন আগে
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা
নতুন উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের দিন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২১০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৭১ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টন বেশি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সোমবার ইউএনবিকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আগের এলসি অনুযায়ী ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া বাজারে ওঠা নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা বশির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, সোমবার বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে এবং আগের দুই দিনের তুলনায় দামও কমেছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন পেঁয়াজ আসার পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকরাও এখন ভালো দাম পাচ্ছেন।
বশির আরও বলেন, অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ করার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান বাজারে পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, যার ফলন হয় প্রায় ৮ লাখ টন।
এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং এ বছর উৎপাদন প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন হতে পারে।
তিনি বলেন, এ বছর অনেক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজের চাষ হয়েছে একারণে ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
৪৮০ দিন আগে
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৬৫ টাকা
তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজি পাঁচ দশমিক ৩৯ টাকা কমে ১০২ দশমিক ৭০ টাকা হয়েছে। যা প্রতি কেজির আগের দাম ছিল ১০৮ দশমিক ০৯ টাকা।
সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানুয়ারি মাসের জন্য গ্যাসের সর্বশেষ মূল্য ঘোষণা করেছে।
বিইআরসি’র নতুন দাম অনুসারে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমেছে কারণ খুচরা গ্রাহক এটি এক হাজার ২৯৭ টাকার পরিবর্তে এক হাজার ২৩২ টাকায় কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিইআরসি খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সিদ্ধান্তে বিলম্ব করলে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে: নসরুল হামিদ
একটি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন দাম ঘোষণা করার সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেছেন, সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সিলিন্ডারের অন্যান্য আকারের এলপিজির দাম যুক্তিসঙ্গতভাবে কমবে।
ঘোষণা অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটার প্রতি ৬০ দশমিক ৪১ টাকা থেকে কমে ৫৭ দশমিক ৪১ টাকা হয়েছে, যা লিটার প্রতি তিন টাকা কমেছে।
আজ (২ জানুয়ারি ২০২৩) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানি দ্বারা বিপণিত এলপিজির দাম একই থাকবে কারণ বাজারের চাহিদার তুলনায় এটি স্থানীয়ভাবে পাঁচ শতাংশর কম উৎপাদিত হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৩৯ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারে) পৌঁছেছিল।
বাংলাদেশে এলপিজির দাম গত বছরের জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল এবং এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিলে ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নিবে বিইআরসি
বিইআরসি আইন সংশোধনে সরকারি পদক্ষেপের নেপথ্যে যা রয়েছে
৮২৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ২
চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ফতেহপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৫৩ কেজি গাঁজা জব্দ ও দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার আনুমানিক রাত ১টার দিকে এ অভিযান চালায় র্যাব -৭।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লার রুহুল আমিন(২৫) ও মো.জালাল।
র্যাব জানান, চট্টগ্রামে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেটকারে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১২০ কেজি সীসা জব্দ
এরপর গত ২৮ অক্টোবর আনুমানিক ১টার চট্টগ্রামের র্যাব -৭ এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ফতেহপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অস্থায়ী একটি চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ী তল্লাশি শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ তাদের আটক করে।
এসময় প্রাইভেটকারের ভিতরে কৌশলে লুকানো দু’টি প্লাস্টিকের বস্তায় ৫৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে এবং মাদককারবারীদের আটক ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ক্রয় করে পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য আট লাখ টাকা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনীর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, ২ ভাই আটক
বেনাপোলে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
৮৮৯ দিন আগে
কোস্টগার্ডের অভিযানে ১০ হাজার কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
১০ হাজার কেজি জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন পাগলা। শুক্রবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২টায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস সাদেকীন নির্ণয় এর নেতৃত্বে ঢাকার পোস্তগোলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী পাঁচটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে আনুমানিক ১০ হাজার কেজি (২৫০ মণ) বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। জেলিযুক্ত চিংড়ির প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ওই অভিযানে কেরানীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন,পরবর্তীতে মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১ হাজার কেজি বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরে বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
৯০৩ দিন আগে
পদ্মায় ২৪ কেজির বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় ২৭ হাজারে বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় এলাকায় পদ্মা নদীতে ২৪ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওই বাগাড় মাছটি স্থানীয় জেলে হজরত মন্ডল ও কাদের মন্ডলের জালে ধরা পড়ে। পরে বাগাড়টি স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ২৭ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে হজরত মন্ডল ও কাদের মন্ডল মাছ শিকারে নামেন। জাল ফেলে প্রায় তিন কিলোমিটার ভাটিতে যাওয়া মাত্র টান আঁচ করতে পারে। তখনই জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় এক বাগাড় ধরা পড়েছে। জাল গুটিয়ে জেলেরা চলে আসেন দৌলতদিয়ার ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে। এ সময় একতা মৎস্য আড়তের সত্ত্বাধিকারী দুলাল মন্ডল ২৪ কেজি ওজনের বাগাড়টি নিলামে তুলেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল মোল্লা ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনেন।
আরও পড়ুন:দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩১তম
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীতে ২৫ কেজি ওজনের আরেকটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে।
বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ ধরনের মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলেও গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে এই বিপন্ন প্রজাতির মাছ। আবার এই বাগাড় মাছ দৌলতদিয়া ঘাটেই প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে হাঁকডাক ছেড়ে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ ধরনের মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আমলা বা সরকারি চাকরীজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি করে থাকেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিলে বাগাড় মাছকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংলক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ সালের জানুযারি বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডণীয় অপরাধ বলে আইন করেছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের লাল তালিকায়ও রয়েছে বাগাড় মাছের নাম।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহারিয়ার জামান সাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছোট বাগাড় মাছ ধরা যাবে না। তবে বড় বাগাড় মাছ ধরা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোন সমস্যা নেই। বাগাড়কে বিপন্ন মাছ হিসেবে চিহিৃত করে তা ধরতে কোন নিষেধাজ্ঞা এখন পর্যন্ত তাদের কাছে আসেনি বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে আড়াই ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, পানিতে নিমজ্জিত ফসল
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
৯৩২ দিন আগে
সিলেটে পৌনে ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পৌনে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব-৯। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার ক্বিনব্রীজ এলাকা থেকে এই মাদক উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পৌনে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধারকৃত মাদক দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে বিশ্বনাথের গোবিন্দনগর গ্রাম
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে করোনায় আরও ৫ মৃত্যু
১৩০৫ দিন আগে