এইচ.এস.সি
চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের ভর্তি শুরু হচ্ছে আগামী বছর
চাঁদপুর, ৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- নবপ্রতিষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবিপ্রবি) ভর্তি কাযর্ক্রম শুরু হচ্ছে ২০২১ এর এইচ.এস.সি পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে। আগামী বছর ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরাই হবে চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচ, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপে এ তথ্য নিশ্চিত করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন এবং প্রথম উপাচার্য ড. মো. মাছুম আখতার।
সরেজমিনে ইউএনবি প্রতিবেদক ঘুরে দেখেন, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে চাঁদপুর সেঁচ প্রকল্প বাঁধের ভিতরে বন্যামুক্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। চাঁদপুর-হাইমচর উপজেলা সড়কের ঠিক পূর্ব পাশেই মনোরম ও শান্ত পরিবেশে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে ৬০ একরের জায়গার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হচ্ছে। জায়গার অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বেশ দ্রুত গতিতে।
আরও পড়ুন: জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
আপাতত ক্যাম্পাসের পাশেই ভাড়া বাসায় অফিসের ও ১ম বর্ষের ভর্তির কাযর্ক্রম চলবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণের কাজও শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কাযর্ক্রমের জন্য ইতোমধ্যে একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে উপাচার্য জানান।
তিনি আরও জানান, ২০২১ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের শুভ যাত্রা ও প্রথম ব্যাচের শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি তিনটি বিভাগ নিয়ে প্রথম শিক্ষা বর্ষ শুরু করবে। বিভাগগুলো হল– কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতি বিভাগে ভর্তি করা হবে ৩০ জন করে মোট ৯০ জন। এর পরে ধাপে ধাপে বিভাগ এবং ভর্তির আসন বাড়বে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
উপাচার্য আরও জানান, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ২০২২ সালে আরও একটি ব্যাচ ভর্তি করা যাবে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জনপদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে এবং এই অঞ্চলে শিক্ষার হার আরও বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, বাড়িতে থেকেই আমাদের কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’ পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য শিক্ষকেরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে চাঁদপুর সফরকালে জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সেই বাস্তবতার আলোকে ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণের কাজ।
এই এলাকারই সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে চলেছেন।
৩ বছর আগে