অন্তর্ভুক্তি
মাধ্যমিকে পর্যটন শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে পর্যটন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যটনসংক্রান্ত শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে: পর্যটনমন্ত্রী
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করব মাধ্যমিক পর্যায়েও পর্যটনবিষয়ক শিক্ষা চালু করার। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
মন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নকে বেগবান করতে হলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ নীতিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের দীর্ঘদিনের দাবি ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটরদের ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহিত বৈদেশিক মুদ্রার মোট বিলের উপর ১০ শতাংশ অগ্রিম কর কাটা বন্ধ করা এবং পর্যটকদের পরিবহন সেবা দেওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটরদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব।
আরও পড়ুন: ৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: বাংলাদেশের নেতৃত্বে পর্যটনমন্ত্রী
ফারুক খান বলেন, বিদেশি পর্যটক বৃদ্ধির জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ই-ভিসা চালু করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি প্রচারের অংশ হিসেবে বছর জুড়ে বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো যাতে বাংলাদেশের পর্যটন গন্তব্যগুলোকে আরও জোরালোভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের কাছে উপস্থাপন করে সেই বিষয়েও আমরা কাজ করছি। সরকারি এবং বেসরকারি অংশীজনের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প সামনে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
আসিয়ান ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিতে সিঙ্গাপুরের সমর্থন চায় ঢাকা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে সিঙ্গাপুর থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সিঙ্গাপুরের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় স্থায়ী সচিব এবং সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব লুক গো-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
তারা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শেষ করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
উভয় পক্ষই বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এফটিএ-এর দ্রুত সমাপ্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে অংশগ্রহণকারী পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন লুক গোহ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের স্থায়ী সচিব লুক গোহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব উপলদ্ধি করেন তারা। কীভাবে এই মিথস্ক্রিয়াগুলো শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে উভয় কর্মকর্তাই সেটির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের প্রশংসা করেন এবং আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে উপলব্ধ সুযোগের কথা তুলে ধরেন এবং পারস্পরিক সুবিধার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্থায়ী সচিব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েই এই বৃদ্ধিতে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং আরও সম্প্রসারণের জন্য যথেষ্ট সুযোগ চিহ্নিত করেছেন।
তারা বাণিজ্য অগ্রগতি চালনা করার জন্য বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততা এবং উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ভাষণটি কোন স্তরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে একটি এডুকেশনাল এক্সপার্ট (শিক্ষা বিশেষজ্ঞ) কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার এক রিটের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশা দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি বের হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপক্ষ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির তালিকা আদালতের কাছে দাখিল করবেন। সেটা থেকে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত করবেন। ভাষণটা কোন পর্যায়ের বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে, কোন ক্যাটাগরিতে হবে সেটা একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। স্কুল-কলেজ না আরও উপরে-এটা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। এছাড়া কতদিনের মধ্যে এটা করতে হবে সেটার সময়সীমাও আদালত রায়ে নির্ধারণ করে দেবেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পরেও ৭ মার্চের ভাষণ সার্বজনীন ও প্রাসঙ্গিক
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য এবং ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দেন। এছাড়া পাঠ্যবইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না-তা জানতে সেদিন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালত এই রুলের ওপর শুনানি করে আজ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ নিয়ে বক্তব্য: বিএনপি নেতাদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় ৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা