কুলাউড়া
কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর জরি মিয়া নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের ইটাছড়া খাল থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জরি মিয়া (৮০) বরমচাল ইউনিয়নের পূর্ব মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, জরি মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে বাড়ি থেকে স্থানীয় বাজারে যান। এরপর তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে কোথাও পায়নি।
তিনি বলেন, নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার বিকাল ৫টায় ইটাছড়া খালে জরি মিয়ার ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কুলাউড়া থানায় খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
কুলাউড়ায় মাটি চাপায় তিন শিশু নিহত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পাহাড় ধসে মাটি চাপায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইসলামনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- একই গ্রামের তছলিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (১৩), আব্দুল করিমের ছেলে কবির আহমদ (১০), আব্দুস ছালামের ছেলে নাহিদ আহমদ (১২)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধারণা করা হচ্ছে শনিবার ১টার দিকে ওই তিন শিশু একসঙ্গে ভাটেরা রাবার বাগান এলাকায় (মাছরাঙা) পাখির বাসার গর্ত থেকে ছানা ধরতে গেলে পাহাড় ধসে এ ঘটনা ঘটে। তিনজনই মাটি চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত একজনের হাত দেখে সনাক্ত করে গ্রামবাসী মিলে মাটি সরিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় খেলতে গিয়ে মাটিচাপায় ২ শিশু নিহত
টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
২ বছর আগে
কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৩
তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলেন সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভাটেরায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত আরেকজন মাইক্রোবাস যাত্রী। নিহতের নাম কামাল আহমেদ (৩৫) দুর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া আফিফের বাবা। সিলেট নগরের লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার ১২৩/১ বাসার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মোট ৩ জন মারা গেলেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কামাল আহমেদের প্রতিবেশী রিজভী আহমেদ।
এদিকে, এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কামাল আহমেদের বড় ভাই লাবিব গুরুতর আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রেললাইনে পিকআপ, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল সোনার বাংলা ট্রেন
এছাড়া আরও চারজন আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটাল ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- লিলি বেগম (৪০), রাবু বেগম (২০), রিজু (২০) ও জাহানারা বেগম (৫৪)।
এর আগে গত রবিবার সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে সিলেট শহর থেকে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন নগরীর লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার একটি পরিবার। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামে প্রবশের সময় একটি গাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে। অন্যগাড়ি ৯ জন যাত্রী নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করতে গেলে স্থানীয়রা বাঁধা দেন।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
রাস্তা সরু ও মাইক্রোবাস চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় রাস্তা দিয়ে প্রবেশ না করতে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে আপত্তি জানান স্থানীয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু ড্রাইভার এদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে রেল লাইনে উঠে পড়ে।
মাইক্রোবাসের দু’টি চাকা অতিক্রম করলেও পেছনের দুটি চাকা অতিক্রম করতে সময় নিচ্ছিল গাড়িটি। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নেমে সড়ে যান ড্রাইভার। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সিলেটগামী আন্ত:নগর পারাবত ট্রেন এসে আটকাপড়া মাইক্রেবাসে প্রচণ্ড শক্তিতে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগামী ট্রেনটি প্রায় আধা কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য ১০ জনের রক্ষা
এতে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাইয়ের ছেলে আফিফ (৮) মারা যান। আহত হন ছয়জন। হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। পরে তারা নগরীর প্রাইভেট দু’টি হাসাপাতালে ভর্তি হন।
৩ বছর আগে