অংশীদার
ট্রাম্পের শুল্কারোপ: বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে কী ভাবছে দেশগুলো?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বহুল আলোচিত পাল্টা শুল্কারোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে যেকোনো ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধ এড়িয়ে চলতে চান বলে অভিমত দিয়েছেন শুল্কের আওতাধীন কয়েকটি দেশের নেতারা। ভিন্নমতও রয়েছে অনেক দেশের। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে শুল্কারোপের ঘোষণা করেন ট্রাম্প। শত্রু-মিত্র পরোয়া না করেই তিনি শুল্কারোপ করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘যেসব দেশ তাদের পণ্যে শুল্কারোপ করে থাকে, সেসব দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করবেন তিনি, কথা রেখেছেনও।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ পরিকল্পনার চ্যাটগ্রুপে ভুলে সাংবাদিককে যুক্ত করলেন ট্রাম্প কর্মকর্তারা
আবার সমপরিমাণ না করে অর্ধেক শুল্কারোপ করে নিজের উদারতার পরিচয় দিয়েছেন—এমন দাবি তিনি নিজেই করেছেন। যেমন: বাংলাদেশ আমেরিকান পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্কারোপ করে, জবাবে এবার তিনি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বেঁধে দিয়েছেন।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে সব আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কের একটি ভিত্তিরেখা দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে কী ভাবছে দেশগুলো
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প। জবাবে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেন, ‘ওয়াশিংটন এখনো তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। দেশটির আরোপিত শুল্কের প্রভাব কমাতে যুক্তরাজ্য একটি বাণিজ্যচুক্তি করতে আগ্রহী।’
রেনল্ডস বলেন, ‘কেউই বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না, আমাদের উদ্দেশ্য একটি চুক্তি নিশ্চিত করা।’ তবে বিকল্প পদক্ষেপ নিয়েও প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে যুক্তরাজ্য প্রশাসন।’
অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র জাপান। শুল্কারোপের বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার কথা জানিয়েছেন জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি।
তিনি জানান, ‘প্রতিশোধমূলক কোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
এ কারণে টোকিও এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার থেকে বিরত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই উদ্যোগ না যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ফলপ্রসূ হবে, না যেসব দেশের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছে তাদের কোনো কাজে আসবে।’
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ ঠেকাতে শুল্কারোপের বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তার প্রশাসন।’
এ সময়, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ পশ্চিমাদের দুর্বল করে অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তিকে সুবিধা দেবে বলে মত দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্কের জবাবে পাল্টা শুল্কারোপের কথা জানিয়েছে ব্রাজিল প্রশাসন। দেশটির পার্লামেন্টে এ সম্পর্কিত একটি বিলও পাশ করা হয়েছে বলে এপির খবরে বলা হয়েছে।
একই পথে হাঁটতে চলেছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী ম্যাক কার্নি। তিনিও পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এছাড়া পাল্টা পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তা সুষ্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
বিশ্ব বাণিজ্যে বড় আঘাত
ট্রাম্পের আকস্মিক এই শুল্কারোপে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। এরইমধ্যে এই আশঙ্কা বাস্তবে ফলতেও শুরু করেছে। বুধবারের ঘোষণার পরেই বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে। তেলের দাম বেড়েছে ২ ডলারের বেশি।
এই শুল্কারোপ দীর্ঘায়িত হলে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) ভেঙে যেতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শিগগিরই যেসব সমস্যা তৈরি হতে যাচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দার ঝুঁকি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিচ রেটিংসের প্রধান ওলু সোনোলা বলেন, চলতি বছরে বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে গড়ে ২২ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প, যা গত বছর ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই নয়; বরং বিশ্ব অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অনেক দেশেই মন্দায় পড়তে যাচ্ছে বলেও মত দেন তিনি।
এই শুল্ক ধার্য করায় অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় জর্জরিত প্রশান্ত-মহাসাগরীয় দেশগুলোতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিজ নিজ দেশে অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই এই অতিরিক্ত শুল্ক যেন ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’। ট্রাম্প প্রশাসন লাওসের ওপর ৪৮ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ ও মিয়ানমারের ওপর ৪৪ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে।
মিয়ানমারের অর্থনীতি এরইমধ্যে চরম সংকটে, গত সপ্তাহে দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজারের বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবেন, করেছেন মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ শুল্কারোপ।
ক্ষতি কমাতে কি করতে পারে দেশগুলো
এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ পণ্য আমদানি করে থাকে। ট্রাম্পের শুল্কারোপের কারণে নিজ দেশের অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে গাড়িনির্মাতাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশগুলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন ট্রাম্প। এতে সেখানকার অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব পড়তে পারে, সে সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার বানিজ্যমন্ত্রী। এর ফলে তারা অতিরিক্ত শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে পারবেন বলে আশা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করেই যাচ্ছেন। চুপ হয়ে বসে নেই বেইজিংও। ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে তারাও পাল্টা শুল্কারোপ করেছেন। এবারও পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপে ইইউ প্রধানের নিন্দা
পাশাপাশি একতরফাভাবে শুল্কারোপ না করে অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
তবে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ট্রাম্পের আরোপিত নতুন এই শুল্ক মেক্সিকোর ওপর কি ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাম।
তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের ওপর শুল্কারোপ করলেই যে একই কাজ আমাদেরও করতে হবে; এমন কোনো কথা নেই। আমাদের দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তাই করবো। এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।’
ট্রাম্পের শুল্কারোপ অযৌক্তিক
হোয়াইট হাউস ঠিকঠাকভাবে হিসেব না করেই শুল্কারোপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্থনি আলবানিজ বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই শুল্কারোপ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তবে ক্যানবেরা কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নেবে না।’
আলবানিজ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি পাল্টা শুল্কারোপ করবেন। অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি রয়েছে, তা সত্ত্বেও তিনি ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন, এটি হওয়ার কথা ছিল শূন্য। ট্রাম্প যেটি করেছেন, সেটি কোনো বন্ধু আচরণ হতে পারে না।’
সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের অষ্ট্রেলিয়ার মালিকানাধীন ছোট্ট দ্বীপ নরফকের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প। অঞ্চলটিতে মাত্র দুই হাজার মানুষের বসবাস, অর্থনীতি পর্যটননির্ভর।
দ্বীপটির প্রশাসক জর্জ প্লান্ট জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তারা কোনো পণ্য রপ্তানি করেন না। তাই শুল্কারোপের প্রশ্নও ওঠে না। অথচ ট্রাম্প তাদের ওপর ২৯ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপ করেছেন।
নিউজল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী টড ম্যাকক্লেও জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে তারা ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেননি। তবে তারা কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের লাভবান হওয়ার আশা ক্ষীণ
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এই পাল্টা শুল্কারোপ করার দাবি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের জন্য শত শত বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আনতে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান।
তবে এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান নীতিগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক।
এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেন, ‘ট্রাম্পের এই শুল্কারোপের মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য নীতির মূলে থাকা নয়া-উদারতাবাদের মৃত্যু ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপ কতটা ভোগাবে বাংলাদেশকে?
ট্রাম্পের এই শুল্কারোপ দেশটির অর্থনীতির জন্য খুব কমই ফলপ্রসূ হবে; বরং বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি করবে— এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইতালির আন্তর্জাতিক রাজনীতি অধ্যয়ন নামক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ম্যাট্টেও ভিল্লা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু শুল্কারোপ করেছে, ইউরোপকেও অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। সম্ভবত ব্রাসেলস আশা করছে, তারা যদি কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেন, তাহলে ট্রাম্প বাধ্য হয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন এবং শুল্কারোপ থেকে সরে আসবেন।’
৩০ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দীর্ঘদিনের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুরে আমাদের একটি রেলওয়ে কারখানা রয়েছে এবং রাজবাড়ীতে আরেকটি আধুনিক রেলওয়ে কারখানা নির্মাণ করা হবে। রেলওয়েতে আমরা নতুন কোচ, ইঞ্জিন সংগ্রহ করছি। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। রেলখাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘কোরিয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। আশা করি, রেলখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া রেললাইন আজ সচল হয়েছে: রেলপথমন্ত্রী
ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
৩০১ দিন আগে
কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোরিয়া এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ইয়ুন-এর চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা কোরিয়া সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোরিয়া সরকারের সহযোগিতার পরিমাণ বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর ওপর যৌথ রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তি সইয়ের জন্য ইউনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'এই সেতু নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মাতারবাড়ি (সোনাদিয়া) গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য একটি প্রশস্ত করিডোর তৈরি করবে।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে সহজ শর্তে অর্থায়নের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার দু'বার কোরিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
২০১০ সালের সফরটি তিনি আন্তরিকভাবে স্মরণ করেন। তিনি সেসময় কোরিযা প্রজাতন্ত্রকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত একটি 'বিশেষ বন্ধু' বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে রাসেলস ভাইপার সাপ না মারার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় তার সফল সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি তার এই সফরকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচনা করেন কারণ তিনি বাংলাদেশের চলমান প্রধান উন্নয়ন যাত্রা প্রত্যক্ষ করেন।
কোরিয়ান এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি, চলমান উন্নয়ন পরিক্রমা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।
তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে সম্পূর্ণরূপে উত্তরণে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ইয়ুন বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কারিকুলামে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান আনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল ইডিসিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড) এবং ইডিপিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফান্ড)’র আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তারা বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইয়ুন এই সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, মানব মূলধন হিসেবে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক রয়েছে। অন্যদিকে কোরিয়ান প্রজাতন্ত্র তার ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যার কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ এই চ্যালেঞ্জটি কাটিয়ে উঠতে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। যেটি সর্বোপরি উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। এই সহযোগিতার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে শ্রোতাদের মধ্যে ইতিবাচকতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ইয়ুন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারে তার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে প্রস্তাবটি শেখ হাসিনা উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে তার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি দু'দেশের জনগণের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব বলেন, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠক শেষ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ইআরডি সচিব মো.শাহরিয়ার কাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ বাবদ ৩১৫ কোটি টাকার চেক গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৩১১ দিন আগে
প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট ও রেম্পের অবস্থান নির্ধারণে উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে সকল অংশীদারদের মতামত এবং তা সমন্বয় জরুরি।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সোমবার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীতে চলমান সড়ক, রেল ও নৌপরিবহন অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য গঠিত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতামূলক মতামতের ভিত্তিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের অসামঞ্জস্যগুলো সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পটি জনবান্ধব ও রাজধানীর যানজট নিরসনে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. মুশফিকুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঁঞা।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৭২৭ দিন আগে
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চায় মার্কিন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশের উন্নয়নের পথযাত্রায় অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা। সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই ও ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইউএস–বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা।
ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সম্মেলনে অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুবর্ণ সময় চলছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পিড ট্রেন, সমুদ্র অর্থনীতি, হাইটেক পার্ক, দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারণে বাংলাদেশকে পরবর্তী বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অব্যাহতি, ডিউটি ড্র ব্যাকসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
সফররত মার্কিন উদ্যোক্তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস অনুসন্ধান, এলএনজি টার্মিনাল, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো ওয়্যারহাউজ অ্যান্ড কোল্ড চেইন, এভিয়েশন, শিপিং ও বন্দর, অটোমোবাইল, হোটেল ও হসপিটালিটি, ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনুষ্ঠানে শেভরনের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মিশন লিড জে আর প্রায়র বলেন, বাংলাদেশ অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। খুব বেশি দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিতে পারেনি। বাংলাদেশ এই সাফল্য অর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর দক্ষতা, সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা দু’দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী।
তিনি জানান, বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা খুবই আশাবাদী। সে কারণেই প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসেছেন।
ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালক সিদ্ধান্ত মেহরা বলেন, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বহুমুখী বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
উন্মুক্ত আলোচনায় এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ৯ বিলিয়ন ডলার। যা সম্ভাবনার তুলনায় কম। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে প্রতিনিধি দল কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্টস আইওটি ও স্বাস্থ্যখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ভালো সুযোগ রয়েছে।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সিইপিএ চুক্তি সইয়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে একটি আদর্শ দেশ। বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে পারেন মার্কিন উদ্যোক্তারা।
ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় জানান, বাংলাদেশের যেসব বিদেশি কোম্পানি রয়েছে, প্রত্যেকেই খুব মুনাফা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদেরও এই সুযোগ নেয়া উচিত।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের দাম তূলনামূলক কম বলে জানান বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমদানির আহ্বান জানান তিনি।
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি জানান, বাংলাদেশের ইউইসএ সার্টিফায়েড অনেকগুলো ফার্মেসি প্লান্ট রয়েছে। এদেশের ওষুধ কারখানাগুলো বিশ্বমানের যন্ত্র দিয়ে সজ্জিত। এছাড়াও এ দেশের শ্রমশক্তিও তূলনামূলক স্বস্তা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানির বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য।
এসময় তুলা আমদানিতে ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিলের আহ্বান জানান বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই ও ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০৯০ দিন আগে
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একে অপরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখা উচিত: হাইকমিশনার
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন সেনেভিরত্নে বলেছেন, বর্তমানের নতুন বিকশিত এই বিশ্বে দুই দেশের সম্পর্কের মূল্যায়ন করা দরকার।
তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব অপরিহার্য হয়ে উঠেছে; কারণ আমাদের একতাবদ্ধতার ফলে দুটি দেশ বঙ্গোপসাগরের চারপাশের অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশ (বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা) সার্ক, বিমসটেক এবং আইওআরএ’র প্রতিনিধিত্ব করা বৃহত্তর পরিবারের অংশীজন।
শনিবার গণমাধ্যমের সামনে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে দেয়া তার সাম্প্রতিক বক্তৃতায় হাইকমিশনার সেনেভিরত্নে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা এবং কলম্বোর একসঙ্গে সমৃদ্ধি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী পাওয়ার ব্লকগুলোর আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হল ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরে তাদের সম্পৃক্ততার আকাঙ্খা।
দূত আরও বলেন, বর্তমানে আমরা তীব্র প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব প্রত্যক্ষ করছি, যার ওপর দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত নির্ভর করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী নিউলিবারেল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আক্রমণাত্মকভাবে এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে৷
তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ও সৌহার্দ্যকে পরিবর্তন করতে পারে।
দূত বলেন, এর প্রভাব মূলত বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উপকূলে অনুভূত হয়।
তিনি বলেন, এই দুই দেশ (বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কা) বঙ্গোপসাগরের দুটি কৌশলগত প্রান্তে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা বৃহত্তর বিশ্ব ব্যবস্থায় ‘গেটওয়ে’ প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গোপসাগর মূলত একটি মহাসাগরীয় মহাসড়ক। এই হিসেবে আমাদের দুই দেশের ভবিষ্যত এবং টিকে থাকার সক্ষমতার বিষয়টি ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসৈকতের সুরক্ষাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতির প্রশংসা থাই রাষ্ট্রদূতের
তিনি বলেন, এটি এখন স্বীকৃত যে বঙ্গোপসাগর বিশ্বের অন্যতম সম্পদ সমৃদ্ধ এলাকা। তাই এর প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের বিষয়ে উচ্চ প্রতিযোগিতা রয়েছে।
সেনেভিরত্নে দুই দেশের জনগণ এবং বিশ্বের জন্য উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে আরও ৫০ বছরের বন্ধুত্ব ও সংহতির কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বেসরকারি খাতের শিপিং কোম্পানিগুলো সম্প্রতি যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে এবং সরকারি মালিকানাধীন শিপিং করপোরেশনগুলো একসঙ্গে কাজ করছে।
হাইকমিশনার বলেন, বিপরীত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ এফডিআই হিসেবে পুঁজি বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা তুলে নিয়েছে।
যদিও ২০০৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় এফডিআই-এর বহিঃপ্রবাহ ছিল প্রায় চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিক বিনিয়োগের দিকে তাকিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির প্রশংসায় মার্কিন অ্যাম্বাসেডর
১১০৭ দিন আগে
বিচার বিভাগও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচারকর্ম বিভাগও এ উন্নয়নের অংশীদার। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রতিটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য স্বীয়, মেধা, মনন ও কৌশল প্রয়োগ করবেন। কীভাবে হয়রানিমূলক মামলা কমিয়ে দ্রুত বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা যায় তার প্রতি লক্ষ্য রাখা বিচারকদের দায়িত্ব।শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।নারী বিচারদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, একজন জজ (বিচারক) যখন মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি নারী বা পুরুষ থাকেন না, তখন তিনি জজ-ই থাকেন। তাই শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষের কথা চিন্তা না করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।আনিসুল হক বলেন, নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুচ্ছেদ ১৯, ২০, ২৮ - এ সকল প্রকার কর্মে ও পেশায় সমতার বিধান যুক্ত করা হয়। সংবিধানে প্রদত্ত এ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীদের বিচার বিভাগে অংশগ্রহণের সকল বাঁধা দূর করে বিচারকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন। এরপর ১৯৭৫ সালে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মত দু’জন নারী বিচারক বাংলাদেশের বিচার বিভাগে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেদিনের নারী মুক্তির অভিনব পদক্ষেপে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে এখন বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে নারী বিচারকের পদচারণা ঘটেছে। যার অগ্রপথিক ও জীবন্ত সাক্ষী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
আনিসুল হক বলেন, আজ বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে নারীদের শুধু পদচারণাই ঘটেনি বিচার বিভাগে তাদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয় হারে বাড়ছে। বর্তমানে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারী বিচারকের সংখ্যা ৫৪৪ জন যা মোট বিচারকের শতকরা ২৮ ভাগ। এ সংখ্যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও উৎসাহমূলক।তিনি বলেন, বিচার বিভাগে নারীদের সংখ্যাই শুধু বাড়েনি তারা সেখানে মেধা ও যোগ্যতারও স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তার প্রমাণ, ত্রয়োদশ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের মেধা তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে দু’জন নারী বিচারক।বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশনের সভাপতি হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, আইন সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, এসোসিয়েশনের মহাসচিব জিনাত সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকের অধিকার ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইনমন্ত্রী
দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে: আইনমন্ত্রী
১১২৮ দিন আগে
সিনোফার্মের আরও ৫৪ লাখ টিকা আসছে
চীনের সিনোফার্মের আরও ৫৪ লাখ করোনা টিকার ডোজ শনিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেন, চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয় করা টিকার চালান শনিবার ঢাকা পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় এলো সিনোফার্মের প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যখনই প্রয়োজন হবে চীন সর্বদা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পাশে থাকবে।
১৩৩২ দিন আগে