টিফিন
শিগগিরই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, খুব শিগগিরিই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিনের ব্যবস্থা করা হবে। কারণ স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাসে থাকতে হয়। ক্ষুধা লাগলে ছাত্ররা পড়ায় মন দিতে পারবে না, এ চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন,করোনাকালীন সময়ে তারা যাতে পোশাক ও খাতা-কলম কিনতে পারে, তাই সরকার তাদেরকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে, তা খুব শিগগিরিই দেয়া হবে।
রবিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার গণকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে তিনি আরও ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা তালিকায় শাবিপ্রবির ৮৫ গবেষক
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেকে গড়ার লক্ষ্যে শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এর মধ্য দিয়েই স্বাধীন দেশের শিক্ষার ভিত স্থাপন হয়। তার নেতৃত্বেই প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন শুরু হয়। এরপর অনেক সরকার আসলেও প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে আর কোন ভূমিকা নেয়নি কেউ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘিরে সাজিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদসহ শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ার ইঙ্গিত
২ বছর আগে
স্কুলে বসে টিফিন খাওয়া যাবে না: মাউশি মহাপরিচালক
আগামীকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বসে টিফিন খেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অভিভাবক ছাউনি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম ফারুক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছাত্র ছাত্রীরা কোনো টিফিন খেতে পারবে না। তারা বাসা থেকে টিফিন খেয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র খাবার পানি সরবরাহ করবে।’
মাউশি মহাপরিচালক অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে শিক্ষার্থী কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ বা করোনার উপসর্গ থাকলে তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠাতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
করোনা পরিস্থিতির মাঝে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝুঁকিতে না পড়ে এবং রবিবার সকালে এসে শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ক্লাস করতে পারে সেদিকে যত্নশীল হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে সকালে সিলেটের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পরিদর্শন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
৩ বছর আগে