দক্ষিণাঞ্চল
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
শনিবার (১৫ জুন) দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, প্রদেশের দাদু জেলার সিন্ধু হাইওয়েতে একটি দ্রুতগামী ট্রাক একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়।
দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে পুলিশ বলছে, হতাহতরা তীর্থযাত্রী ছিলেন, যারা নিকটবর্তী একটি মাজার পরিদর্শন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির কারণে ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে চীন
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পাকিস্তানে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এরমধ্যে প্রধানত লক্কর-ঝক্কর গাড়ি, খারাপ রাস্তা এবং সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা অন্যতম।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
৫ মাস আগে
দক্ষিণাঞ্চলের স্থগিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মে নির্বাচন কমিশন ওই উপজেলাগুলোতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। গত ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও কয়রা উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাইওয়ে ও নৌ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসাইন খান জানান, মোট ৩৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রথম দিকে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলায় তাজমুদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি চাই চীন এ অঞ্চলের আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করুক।’
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকার এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সহযোগিতার বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
৭ মাস আগে
ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ
নাটোরের লালপুরে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন সিগন্যাল পয়েন্টে ঢাকাগামী চালবোঝাই মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে রেললাইনে ভেঙে পড়ল গাছ, ঢাকা থেকে চট্টগাম-সিলেটগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
অসীম কুমার বলেন, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ‘রকেট মেইল’ ট্রেন এবং রাজশাহীগামী ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’ ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর নাটোর স্টেশনে আটকে পড়ে। যার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশি ডিভিশনানাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহী রেল স্টেশনে ককটেল, আতঙ্কিত যাত্রীরা
ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
১১ মাস আগে
দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষাকাল ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আটটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রবিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যায় কোনো প্রভাব পড়েনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
১ বছর আগে
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ ঝড়ে নিহত ২১
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যায় অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রিও গ্র্যান্ডে দো সুল গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেন, জলবায়ু জনিত কারণে মৃতের এই সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, প্রায় ৬০টি শহর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাকে এক্সট্রাট্রপিক্যাল সাইক্লোন (অতিমাত্রায় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লেইট বলেন, প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দার শহর মুকুমের একটি বাড়িতেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
রিও গ্র্যান্ডে দো সুল রাজ্য সরকার বলেছে, এই ঝড়ের কারণে সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫০ জন গৃহহীন হয়েছেন।
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পরিবারগুলো তাদের ঘরের ছাদ থেকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করছে। কারণ নদীগুলোর পানি উপচে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
বাসিন্দাদের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য তাদের চাহিদা মেটাতে সরবরাহ ব্যবস্থা করতে মুকুমের সিটি হল সুপারিশ করেছে।
গভর্নর বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন, যিনি উদ্ধার প্রচেষ্টার সময় ভেসে যান।
লেইট তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘টাকুয়ারি নদীতে উদ্ধার প্রচেষ্টায় একজন নারীর মৃত্যুর জন্য আমি দুঃখিত। তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ওই নারী ও একজন উদ্ধারকারী পড়ে যান। দুর্ভাগ্যবশত নারীটি বাঁচতে পারেননি এবং উদ্ধারকারী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
রিও গ্র্যান্ডে দো সুলে গত জুনে আরেকটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, যার ফলে ১৬ জন নিহত হয় এবং ৪০টি শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর কোনো সমস্যা হবে না... তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। তারা তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য আরও উন্নত জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরে পল্লী জনপদ এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় 'বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড)'-এর পল্লী উন্নয়নের জন্য নবনির্মিত দুটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
দক্ষিণাঞ্চল বরাবরই অবহেলিত, তবে পদ্মা সেতু সেখানে শিল্প বিকাশে সহায়তা করবে বলে এটিকে আর উপেক্ষা করা হবে না।
তিনি বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে এলাকাটিকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে এবং সেখানে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত করছে।
‘আমরা, দক্ষিণাঞ্চল বা পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষ সবসময়ই অবহেলিত এবং দারিদ্র্য আমাদের জীবনের একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এটা (দারিদ্র) আর থাকবে না,’ বলেন তিনি।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে এর জমকালো উদ্বোধন উদযাপন করতে বলেছেন। কারণ শক্তিশালী নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ডাবল ডেক রোড-রেল সেতু নির্মাণ একটি বিষয় ছিল। বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘শুধু পদ্মার তীরে নয়, সারা বাংলাদেশেও এটি উদযাপন করুন। আমি চাই উৎসবটি প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হোক। কারণ এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে অনেকেই মনে করতেন পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না সরকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদ্রুপ করে তিনি আবারও বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে এমন একজন ব্যক্তির কারণে, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ থেকে যোগ দেন এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মশিউর রহমান।
কুমিল্লায় বার্ড এবং বগুড়ায় আরডিএ-এর মতো, দুটি নতুন বহুতল ইনস্টিটিউট গ্রামীণ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং মডেল প্রোগ্রাম তৈরি করবে।
সচিব তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় আরও তিনটি বিভাগে আরও তিনটি ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
আ’লীগ সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণের জনপদের উন্নয়নে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এ সেতুর কারণে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে, তাদের আধুনিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এ সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ।’
শুক্রবার পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত সিউইড মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলে উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানো বা রপ্তানির সুযোগ ছিল না। পদ্মা সেতুর সংযোগের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত মাছসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী দ্রুততার সঙ্গে ঢাকায় নেয়া যাবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রক্রিয়াজাত করা সামগ্রী সরাসরি বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।
এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সিউইড মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সিউইড বা সামুদ্রিক শৈবাল বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন একটি সমুদ্রসম্পদ। এ সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্বাদু খাবারের যোগান দিতে সিউইড অত্যন্ত সহায়ক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিউইডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সিউইড পণ্যের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তারা উপলব্ধি করে। সিউইড প্রাপ্তির একটি বড় অঞ্চল কুয়াকাটা। এ অঞ্চলের পর্যটন হোটেলসহ অন্যান্য হোটেল-মোটেল সংশ্লিষ্টদের সিউইডের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সিউইডের আহরণ ও বিপণনে যেন কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সিউইড মেলার উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী প্রতিটি নৌযানের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সমুদ্রগামী সব মাছ ধরার নৌযানে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমুদ্রে মাছ ধরা নৌযানের অবস্থান জানা যাবে। ফলে অবৈধ উপায়ে এবং যত্রতত্র মাছধরা ট্রলার যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। বৈধ উপায়ে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা দুর্ঘটনায় পড়লে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। গভীর সমুদ্রে অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণে যাওয়াকে সরকার নিরুৎসাহিত করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সমুদ্র থেকে টুনা জাতীয় মাছ আহরণে মৎস্য অধিদপ্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশে বাংলাদেশের মাছের চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে শুধু উচ্চারণে নয়, মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২ বছর আগে
দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষিবিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। ইতোমধ্যে কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবনে করতে সক্ষম হয়েছে।
এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উপকূলবর্তী বিপুল এলাকার সকল চাষিদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে। চাষিরা এসব ফসলের চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় নতুন করে কৃষিবিপ্লব ঘটবে।
রবিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ঘেরের আইলে আগাম সীম চাষ, অফসিজন তরমুজ ও মরিচ চাষ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘দেশের প্রায় ২৫% এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হতো। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকতো। এই প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে বছরে কীভাবে দুইবার বা তিনবার ফসল চাষ করা যায়- সেলক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি। ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়।’
সেচের পানি সমস্যা দূর করতে খুলনা, বাগেরহাটে ছয় শতাধিকের বেশি খাল খনন এবং পুন:খনন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নায়ায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, ব্রির ডিজি ড. শাহজাহান কবীর, বারির ডিজি নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো: হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, উপকূলীয় এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর, এর মধ্যে চাষযোগ্য ২১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। আর লবণাক্ত এলাকার পরিমাণ ১০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মওসুমে উপকূলীয় এলাকায় ৫ লক্ষাধিক হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।
৩ বছর আগে