অপব্যবহার
ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর ক্ষতি ১৬৬৩.৩৮ কোটি টাকা
একসময় লাভজনক খাত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে খেলাপি ঋণ ও বড় ধরনের লোকসানে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। সর্বশেষ ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৯টি ব্যাংক সম্মিলিতভাবে ১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান করেছে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে লাগামহীন দুর্নীতি, নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অপব্যবহার এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে অসাধু ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের ফলে ব্যাংকিং খাতে বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারের আগে এই ব্যাংকগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের জমানো বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে, যার ফলে বর্তমান সংকট দেখা দিয়েছে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই লুটপাটের ফলে ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
বিভিন্ন ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শুধু কাগজে-কলমে থাকা কোম্পানি এবং গ্রুপটির সহযোগীদের ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ ইস্যু করা হয়।
আত্মসাৎ করা এই অর্থ সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে অনেক ব্যাংক বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এরই ধারাবিকতায় জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে ব্যাংকগুলো।
প্রতিবেদনে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনিয়ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মোট ১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া এবি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংকের মুনাফাও আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় কমেছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি লোকসান দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, যা আগের বছরের এই সময়ের চেয়ে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ৪০ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
এই প্রান্তিকে কর-পরবর্তী ৫৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা লোকসানের কথা জানিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। অথচ গত বছর এই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ৫৩৩.৯ কোটি টাকা মুনাফা।
ব্যাংক এশিয়ার লোকসান হয়েছে ১০৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছর মুনাফা ছিল ২৭৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
একইভাবে ইসলামী ব্যাংক ৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকা লোকসান করেছে, যেখানে গত বছর এই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফলে মুনাফায় ১৯৪ শতাংশ পতন হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
২০২৩ সালের এই সময়ে ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা মুনাফার বিপরীতে চলতি বছর ৮০ কোটি ১৮ লাখ টাকা লোকসান করেছে ইউনিয়ন ব্যাংক।
এ ছাড়াও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অথবা লোকসান বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বাগত জানায়, তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হলি সি টু বাংলাদেশের অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডাল আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করি।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন আর্চবিশপ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
৭ মাস আগে
ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয়, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সব বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ও দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতার চর্চায়ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মমতাজ উদ্দিন ফকির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
অমর একুশে: ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
এমপিদের ব্লক বরাদ্দ: জনগণের অর্থের ‘অপব্যবহার’ ও 'অপচয়' নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও অপচয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বাড়লেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ২০২০ সালের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিল টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগের বরাদ্দগুলোর নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
১০ মাস আগে
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে বর্তমান সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ওষুধ যারা তৈরি করবে, ব্যবহার করবে বা এটি নিয়ে যারা ব্যবসা করবে তাদের বিশেষ আইন ও আদালতে বিচার করা হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, কিছু ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। গ্রাম পর্যায়ে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করছে। আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধই শুধু নয়, মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ান হেলথ ধারণা সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। বর্তমান সরকার ওয়ান হেলথ ধারণা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সমন্বিতভাবে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার ও জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ওষুধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ওষুধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন না করার কারণে সরকার বিপুল সংখ্যক ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। ওষুধে ভেজাল দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনও বড় বড় কোম্পানির ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরকার নজরদারি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন, বাংলাদেশে এফএও-একটাডেরর কান্ট্রি লিড এরিক ব্রাম, এফএও-একটাডের জ্যেষ্ঠ কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কনসালট্যান্ট নূর ই আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্টের টিম লিড ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
এর আগে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডান্ডাবেড়ি-হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিশ
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো বন্ধ এবং এ সম্পর্কে একটি নীতিমালা করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ নোটিশ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইজিপি এবং কারা মহাপরিদর্শক বরাবরে এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধ এবং এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যথায় নোটিশদাতারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন মর্মে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো আইনজীবীরা হলেন-আসাদ উদ্দিন, মীর এ কে এম নুরুন্নবী, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
আইনজীবী আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ২০ ডিসেম্বরে ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায়, গাজীপুরে একজন আসামি ডান্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন।
তার পরপরই গত ১৭ জানুয়ারি ছবিসহ আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়, শরীয়তপুরে আরেকজন আসামি একইভাবে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যেই একজন আইনজীবীসহ কয়েকজনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ঢাকা কোর্টে আনা হয়। এসব ঘটনা পত্র-পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, তানভীর হাসান তানু, প্রবীর শিকদার, শিল্পী জে কে মজলিস এবং কয়েকজন শিশুসহ অনেক আসামিকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
কিন্তু তারপরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আইনজীবী আসাদ উদ্দিন বলেন, বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ৩৩০-এ হাতকড়া সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র পলায়ন রোধ করতে যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপে নিষেধ করা হয়েছে।
যদি কোনো শক্তিশালী বন্দি সহিংস অপরাধে অভিযুক্ত হয় বা কুখ্যাত হিসাবে পূর্ব পরিচিত হয় বা অসুবিধা সৃষ্টিতে উন্মুখ থাকে বা রাস্তা দীর্ঘ হয় বা বন্দি সংখ্যা অনেক বেশি হয় সেক্ষত্রে হাতকড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাতকড়া না থাকলে দড়ি বা কাপড় ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ প্রবিধানের কোথাও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহারের কথা নেই।
অন্যদিকে জেলকোড এবং কারা আইনে ‘কারা অপরাধ’ এর বর্ণনার পাশাপাশি শাস্তি হিসাবে অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহারের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থাৎ কারা অভ্যন্তরে কয়েদিরা সংশ্লিষ্ট ‘কারা অপরাধ’করলে তার শাস্তি হিসাবে এর ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া যেসব কয়েদি পলায়ন করে বা পলায়নে উদ্যত হয় বা ষড়যন্ত্র করে তাদের হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। এর বাইরে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের সময় ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করা যেতে পারে। মূলত ডান্ডাবেড়ির ব্যবহার কেবলমাত্র জেল কোড এবং কারা আইনের আওতাধীন।
আর বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কেবলমাত্র হাতকড়া ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কোনভাবেই ডান্ডাবেড়ি নয়।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।
সিটিজেন ফর ডেমোক্রেসি বনাম স্টেট অব আসাম মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পুলিশ বা কারা কর্তৃপক্ষ কোনও আসামিকে হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরাতে পারবে না। কোনও মারত্মক এবং পলায়নের আশঙ্কা আছে এমন আসামিকে এগুলো পরানো অত্যন্ত প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনও আসামিকে হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
ওয়ারেন্ট ব্যতিত কোনও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং হাতকড়া পরানো আবশ্যক মনে হলে পুলিশ তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসা পর্যন্ত হাতকড়া পরাতে পারবে। পরবর্তী সময়ের জন্য অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে।
আমাদের দেশে এমন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা/নীতিমালা না থাকায় ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
১ বছর আগে
তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আইটি একদিকে অপার সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহার ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতারক অনলাইন ডেলিভারির নামে জনগণের টাকা চুরির ফাঁদ পাতছে। অনেকে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করেও কোনো পণ্য পাননি। আবার অনেকে পণ্য পেলেও এর মান খারাপ ছিল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
তিনি আরও বলেন, এসব প্রতারক চক্র তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দিয়ে প্রতারণা করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, তবে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখতে হবে। ক্রেতাদের লোভনীয় অফার দেখলেই অর্ডার করার বিষয়টি পরিবর্তন করতে হবে।
এই প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিং একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে সাড়ে ছয় লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, নারীদেরও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে হবে, যাতে তারাও সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হয়েছেন, তাদের এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। বিনিয়োগের মাধ্যমে এ পেশার পরিধি বাড়াতে হবে। বিল গেটস, ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসের মতো আইটি জায়ান্টরা এভাবেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিন: রাষ্ট্রপতি
হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দেশের জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই বিশাল যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। যাতে তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্ববাজারে টেকসই অবস্থান তৈরি করতে মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই এবং সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার শিল্পের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
এমএফএস অপব্যবহার রোধে চট্টগ্রামে বিকাশের কর্মশালা
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করেছে বিকাশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৫০ তদন্ত কর্মকর্তা ও বিকাশের কর্মকর্তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সার্বিক সহায়তায় দামপাড়া পুলিশ লাইনে সম্প্রতি এই কর্মশালা আয়োজন করে বিকাশ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মনিরুল করিম।
কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথ পদ্ধতিতে এমএফএসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে, আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ও এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিক সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এই সমন্বয় কর্মশালা আয়োজিত হলো। কর্মশালায় এমএফএস অপব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধসমূহ, অপরাধী চিহ্নিতকরণে প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা এবং অপরাধী চক্র চিহ্নিতকরণের উপায় ও অপব্যবহার রোধে বিকাশ এর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও কর্মশালায় আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সচেতনতার মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পরিপূর্ণরূপে পালনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কীভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু
দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
৩ বছর আগে