পাঠ্যক্রম
ধর্মীয় শিক্ষা ‘তুলে দেয়া হচ্ছে’সেটি সঠিক নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের পাঠ্যক্রম থেকে ধর্মীয় শিক্ষা ‘তুলে দেয়া হচ্ছে’বলে যে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে সেটি সঠিক নয়।
শনিবার জাতীয প্রেসক্লাবে এক অনুস্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:ঘাতকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর চেষ্টা করছে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি বিশেষ মহল সরকার বিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর তারা কোন কিছু খুঁজে পাচ্ছে না বলেই এখন নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মশিক্ষা বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে এটি একেবারে সত্য নয়। আমরা এরই মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি আরও প্রসারিত করব এবং নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে জ্ঞান-দক্ষতা ও মূল্যবোধ প্রসারিত করব।
এছাড়া সেখানে ধর্ম-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এগুলো অবিচ্ছেদ্য অংশ সেখানে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যদিয়ে সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে লেখাপড়া শিখবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করার আহ্বান ইউজিসির
শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের অবক্ষয় রুখতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চুরী কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।
বৃহস্পতিবার সিটিজেন চার্টার বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধের অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অভিভাবকতুল্য ও বন্ধুসুলভের পরিবর্তে বৈরি ভাব বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা জরুরি। পাশাপাশি বিভাগের সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আচরণের বিভিন্ন দিক মূল্যায়নে কোর্স শিক্ষকরা নম্বর বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন সহিংস আচরণ করছে, আচরণের বিচ্যুতি কেন ঘটছে সেটি শিক্ষকদের খতিয়ে দেখতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মনোবিজ্ঞানী বা ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সাংস্কৃতিক চর্চা হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাকে পড়ালেখার ক্ষতি বলে মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত চিন্তার বিকাশের পরিবেশ তৈরি এবং সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পড়ুন: কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: জিতু ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ইউজিসির এ সদস্য বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পরে কোন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও পাঠদান শুরু হবে সেটি সুনির্দিষ্ট করা নেই। এ কারণে একজন শিক্ষার্থীকে এক থেকে দুই বছর মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ঠিকমতো হচ্ছে কি না, গুণগত শিক্ষা পাচ্ছে কি না, একইসঙ্গে র্যাংকিংয়ে যাওয়ার শর্তগুলো পূরণের দিকেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নজর রাখতে হবে।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেপারলেস অফিসে রূপান্তরে ইউজিসির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে এবং দাপ্তরিক কাজে গতি আসবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উচ্চশিক্ষা সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করার অনুরোধ করেন।
তিনি উচ্চশিক্ষা পরিবারের সকলকে করোনার সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রদান এবং সেবায় সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট থাকার অনুরোধ করেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালকসহ ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন চার্টারের ফোকাল পয়েন্ট ও দৈনিক বণিক বার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক সাইফ সুজন অংশগ্রহণ করেন। কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও সিটিজেন চার্টারের ফোকাল পয়েন্ট মো. ইউসুফ আলী খান কর্মশালা পরিচালনা করেন।
পড়ুন: যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দেখে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা!
২ বছর আগে
পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, বাল্যবিয়ে রোধে স্কুলের পাঠ্যক্রমে বিষয়টি তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; যাতে বাল্যবিয়ে না দেয়ার সুফল বাচ্চাদের সুন্দরভাবে বোঝানো যায়।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট হ্যালিপ্যাড মাঠে রাজারহাট উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়ালি) এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, সরকার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ১০৯ ও ৯৯৯ চালু করেছে। এই সংখ্যাটি আবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের সকল বইয়ের পেছনে প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে। যেন যেখানে বাল্যবিয়ে অথবা নারী নির্যাতন হবে তা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে,বাংলাদেশের মেয়েরা এখন নিজেরা নিজেদের বিয়ে বন্ধ করছে এবং এ জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাল্যবিয়ে সমাজের অভিশাপ। এটি নারীর বিকাশ ও স্বাবলম্বী হবার বড় একটি বাধা; যা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে কোনো দেশের সত্যিকার উন্নয়ন সম্ভব না। তাই সরকার সমাজকে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে সরকারের বিরামহীন প্রয়াস অব্যাহত আছে।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী আফসার উদ্দিন খান মারা গেছেন
তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির বিভাজন আর থাকছে না। তাদের কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার কারণে ২১ সালের পাইলটিং সম্ভব হয়নি। ২৩ সালে শুরু হলেও ২৫ সালের মধ্যে সব ক্লাসে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৬ বছর অর্থাৎ ১০ শ্রেণি পর্যন্ত বিভাজন আর থাকছে না। ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম প্রয়োগ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা কিছুটা বিলম্বে হলেও চূড়ান্ত হয়েছে। এবার প্রাকপ্রাথমিক থেকে শুরু করে সব উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।পুরো শিক্ষাক্রম হবে শিক্ষাকেন্দ্রীক।
পাবলিক পরীক্ষা হবে তিনটি একটি দশম, এসএসসি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলে হবে এইচএসসি। একাদশে একটি ও দ্বাদশে আরেকটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। দুটি মিলে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
৩ বছর আগে