শিক্ষাক্রম
শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈধুরী।
তিনি বলেন, ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। কিন্তু শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না।’
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের’সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বই লেখার কাজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত দিয়ে অবদান রাখতে পারবেন।
তিনি বলেন, উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামি ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। নতুন এ শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি শোনেন। যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১০ মাস আগে
শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার ছিল শিক্ষার সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন করব।
তিনি বলেন, সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার। সেগুলো হলো আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপক হারে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, টেকসই প্রযুক্তি লাগে সেগুলো ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, আজ উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সকল রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৪-৫ বছর সময় নিবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তারা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় শিক্ষায় মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেই উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দৃশ্যমান দেখতে পাবেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একেকভাবে হয়।
আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেকগুলো নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব এবং হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে, যথানিয়মে, আইন-কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সেখানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে ও ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে মগজ ধোলাই অব্যাহত রাখতেই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বিরোধিতার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
আর আরেকটি পক্ষ রয়েছে, যারা ধর্মটাকে অপব্যবহার করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিরোধিতা করছে।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও দেশব্যাপী প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যেমন ষড়যন্ত্র হয়েছে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়েও অনেক বাধা তৈরি হচ্ছে। আমাকে এবং যারা বইয়ের লেখক, জাফর ইকবাল ভাইসহ (শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল) তাদের বেশ কয়েকজনকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই। আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার জন্য, আর যে স্বপ্ন নিয়ে এত ত্যাগের বিনিময়ে দেশটি তৈরি হয়েছিল সেই স্বপ্নের জায়টিতে পৌঁছানো জন্য আমাদের যা কিছু এখন করণীয়, তা আমাদের করতেই হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি তো নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতা তো আছেই। সব দেশেই থাকে, আমাদের দেশেও আছে। আমাদের দেশের ধরনটা হয়তো ভিন্ন, টক্সিট। এখানে (বাংলাদেশে) বিরোধিতা করলে একটি পক্ষ আছে যারা আমাদের পক্ষটাকে নিশ্চিহ্নই করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, কোচিং ও নোট-গাইডের কারণে অনেকে বিরোধিতা করছেন। কোচিংয়ের সব কিছু খারাপ তা তো নয়, কোচিং কথাটাও খারাপ নয়, বাণিজ্য কথাটাও খারাপ নয়, কিন্তু যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে, সেখান থেকে রোজগারটা করেন অতিরিক্ত। সেখানে সমস্যা।
এছাড়া আরেকটি পক্ষ আছে নোটবই-গাইড বই, তাদেরও ভয় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তো নোট-গাইড বই দরকার হবে না। তাদের ভয়টিও অমূলক নয়, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে নোটবই-গাইড বই প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরেকটি শ্রেণি আছে, সমাজে যাদের অংশ বিশাল বড়, তারা স্ট্যাটাসকে পছন্দ করেন, অর্থাৎ যা আছি তাই, আমি ছাপোষা মানুষ এর মধ্যেই থাকি কীসের আবার পরিবর্তন। আমরা পরিবর্তন চাই-টাই না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আস্থা রাখুন এই যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বাচ্চাদের যে পরিবর্তন দেখতে পাবো, আমরা গর্ব অনুভব করবো, দৃঢ় প্রত্যয়ে তা বলতে পারি। আগামী প্রজন্মের প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার যে প্রত্যয় আমাদের দেশটা যেখানে নিয়ে যেতে চাই, সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এই কাজটি করতেই হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
১ বছর আগে
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তৈরি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বর্তমান শিক্ষাক্রম সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩’- অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল উপাদানগুলো হবে-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমাদের ডেমোগ্রাফিক যে ডিভিডেন্ট রয়েছে, সেটি আর ৯/১০ বছরের রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে উপযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছি, তারা কাজও শুরু করেছে। এছাড়া শিক্ষাকে সহজলভ্য করার জন্য সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে আমাদের যে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে, তারা যেন তাদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করেন। কারণ ধারণ ক্ষমতার বাইরে নানা সমস্যা তৈরি হয়, অসন্তোষ তৈরি হয়।
এছাড়াও গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপানদের যাত্রাপথকে অসততা দিয়ে কলুষিত করবেন না। এটি খেয়াল রাখতে হবে। সত্যের পথ একটু কঠিনই হয়। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর প্রথমে তিনি যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা সহকারে তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করে।
তাদের মধ্যে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন্স অ্যাওয়ার্ড পান।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হবে এবং দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়দিন বন্ধ থাকবে তা একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে পাঁচদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে। বাকি দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত শিক্ষাক্রম। গতবছর আমাদের শিক্ষাক্রমে ছিল ছয়দিন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। যখন বিদ্যুৎ নিয়ে সঙ্কট ছিলো তখন সেটাকে আমরা পাঁচদিন করেছি। তখনই বলা হয়েছিলো যে এখন বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে করা হচ্ছে, কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমেও পাঁচদিনই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে উপবৃত্তির ৭৫১ কোটি টাকা বিতরণ শুরু
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যে নিয়ম, আমাদের দেশেও তা। আর তাছাড়া শিক্ষকদেরও ১-২ দিন সময়ের দরকার। তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আবার শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কারিগরি বিভাগে তার আগের ১০বছর কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত চার বছরে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, সবসময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন, কাজেই কিছু কিছু পদ শূন্য হয়।আবার সেই চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেগুলোতে নিয়োগ দেই। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া যে খুব সহজ তাও নয়।
তিনি আরও বলেন, এমুহূর্তে আমাদের কোনো শিক্ষক সঙ্কট নেই। কোথাও শূন্য থাকলে তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির বিভাজন আর থাকছে না। তাদের কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার কারণে ২১ সালের পাইলটিং সম্ভব হয়নি। ২৩ সালে শুরু হলেও ২৫ সালের মধ্যে সব ক্লাসে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৬ বছর অর্থাৎ ১০ শ্রেণি পর্যন্ত বিভাজন আর থাকছে না। ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম প্রয়োগ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা কিছুটা বিলম্বে হলেও চূড়ান্ত হয়েছে। এবার প্রাকপ্রাথমিক থেকে শুরু করে সব উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।পুরো শিক্ষাক্রম হবে শিক্ষাকেন্দ্রীক।
পাবলিক পরীক্ষা হবে তিনটি একটি দশম, এসএসসি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলে হবে এইচএসসি। একাদশে একটি ও দ্বাদশে আরেকটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। দুটি মিলে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
৩ বছর আগে