মিশেল ব্যাচেলেট
আমরা ব্যাচেলেটের সফরের মাধ্যমে কিছু লোকের মুখোশ খুলে দিয়েছি: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সাম্প্রতিক সফরের মাধ্যমে সরকার সুশীল সমাজের একটি অংশসহ কিছু লোকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মুখোশ খুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কাজে বিশ্বাস করি। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও আমাদের যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে (মানবাধিকার বিষয়গুলো দেখার জন্য)। আমরা এটা প্রমাণ করতেও পারি।’
তিনি বলেন, কিছু লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছিল, এটা খুবই ‘নিচু ও নোংরা’ কাজ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সফরকালীন সময়ে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, তারা আসলে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে (বিএনপি-জামায়াত) সহায়তা করছেন। ‘এটি সরকারকে অপমান করার একটি অশুভ প্রচেষ্টা।’
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত তাদের লোকজন নিয়ে দেশে-বিদেশে ক্রমাগত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
কিছু মানুষ জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের আলোচনার বাইরে গিয়ে কিছু বিষয় উত্থাপন করায় প্রতিমন্ত্রী তার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘের কার্যপ্রণালী কিভাবে চলে সে সম্পর্কেও তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই।
শাহরিয়ার বলেন, সুশীল সমাজের একটি অংশের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যাচেলেট স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত দাবিগুলো সমাধান করা তার আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে নেই।
তিনি এই ধরনের প্রচেষ্টাকে ‘আপত্তিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর চর্চা নয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বুঝতে পেরেছেন এই মানুষগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী।
তিনি অবশ্য বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার জন্য সরকার সুশীল সমাজের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তবে এর একটি অংশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, তথাকথিত বিরোধী দলগুলোর একটি বড় ‘ভুল ও ভ্রান্ত ধারণা’ রয়েছে যে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে তাদের অনেক দাবি পূরণ হবে। ‘তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাচেলেট নিজে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি তবে তার সহকর্মীকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে নিযুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে তুলবে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।
ঢাকায় ব্যাচেলেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
এখনই জলবায়ু নিয়ে ভাবুন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কথা শুনুন: ব্যাচেলেট
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কথা ‘শুনতে’ হবে এবং সবার জন্য সুস্থ পরিবেশের মানবাধিকারকে বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সব উপায় কাজে লাগাতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষ করার কয়েক ঘন্টা আগে ব্যাচেলেট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন কাজের সময়, আমরা অনেক কথাই বলেছি এবং এখন আমাদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
এসময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কথা শোনার এবং ‘ঐক্য, সংকল্প ও সংহতি’ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যাচেলেট বলেন, তারা জানেন যে তাদের কী করতে হবে।
তিনি আশা করেন, কেবল বন্ধ ঘরে আলোচনা না করে চলতি বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০২০-পরবর্তী জীববৈচিত্র্য কাঠামোর আলোচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং আমি যেমন বলেছি, আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকালে সুশীল সমাজের আরও স্পেস প্রয়োজন: ব্যাচেলেট
বিআইআইএসএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘নিউ ফ্রন্টিয়ার্স অব হিউম্যান রাইটস: ক্লাইমেট জাস্টিস ইন পারস্পেক্টিভ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেন, ‘সুতরাং আমাদের একটি নতুন পথ আঁকতে হবে। ’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়ানক হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশেগুলোর সারিতে প্রথম দিকে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক অনুমান করে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণ জলবায়ু অভিবাসীতে পরিণত হতে পারে। যা বাংলাদেশের সমগ্র জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ বা চিলির সমগ্র জনসংখ্যার সমান।
আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ততদিনে তার প্রায় ১১ শতাংশ স্থলভাগ হারাতে পারে এবং এর অর্থ কেবল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ১৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্যের ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও তাপের প্রভাবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের কিছু অংশে ধান উৎপাদন প্রভাবিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য ও শিক্ষা বিষয়ে এসডিজি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে। ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এবং ২০২৬ সালে ‘স্বল্পোন্নত দেশের’ মর্যাদা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করি।’
ব্যাচেলেট একই সময়ে বলেন, লিঙ্গ সমতার এসডিজি ৫ এবং বৈষম্য হ্রাসে এসডিজি ১০ পূরণের জন্য শক্তিশালী প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- বাল্যবিয়ে দূর করার জন্য কাজ করা, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করা, প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা এবং আয় বৈষম্য কমাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয় ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা প্রণয়ন করা।
এছাড়াও ব্যাচেলেট বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন প্রচেষ্টা এসডিজি ১৬-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের প্রচার, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুবিধা প্রদান এবং কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করা, জনসাধারণের মতপ্রকাশের জন্য নাগরিক স্থান সম্প্রসারণ (অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই) এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
বাংলাদেশে নির্বাচনকালে সুশীল সমাজের আরও স্পেস প্রয়োজন: ব্যাচেলেট
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় সুশীল সমাজের জন্য আরও ‘স্পেস’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী দল, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের কর্মীদের সভা সমাবেশের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন৷ বাংলাদেশে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দূর করতে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের মধ্যে আরও সংলাপের ‘স্পেস’ থাকা প্রয়োজন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
ব্যাচেলেট বলেন, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ না করে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং বিশেষ করে তরুণদের চাওয়া শোনা দরকার।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ব্যাচেলেট বলেন, ‘আমি আশা করি আমার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে উঠবে এবং সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে।’
সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ব্যাচেলেট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কূটনৈতিক এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই: কাদের
২ বছর আগে
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
ঢাকায় সফররত জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের (ওএইচসিএইচআর) এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান ররি মুনগোভেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চার সদস্যের বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল ও ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস।
বৈঠক শেষে আসাদ বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কথা বলেছি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মুনগোভেন কোনো মন্তব্য করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন, উনি তো আমাদের ফিড ব্যাক দেবেন না।’
শ্যামা ওবায়েদ বলেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুনগোভেনের সাথে বৈঠক করেছি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেননি, আমরা তার দলের সদস্য মুনগোভেনের সঙ্গে বৈঠক করেছি।’
গত রবিবার চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
২ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাবের কারণে খাদ্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবিলায় সহায়তার জন্য তাদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে না এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে; এমনকি তারা তাদের সমর্থন বাড়াতে পারে কিনা তাও দেখবে।’
তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও তারা যে সমস্যাগুলো দেখছেন, তার মধ্যে একটি হলো খাবারের দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবং এর অর্থ হল যে একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে আগে বেশি খাবার কিনতে পারত, এখন কম কিনতে পারে। এবং এটি কক্সবাজারের মানুষের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
মিশেল ব্যাচেলেটের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও তার দল কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এবং শরণার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
মিশেল ব্যাচেলেট শরণার্থী নারী, যুবক এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন।
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি-৩২ এ তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং প্রতিমন্ত্রী তাকে ব্রিফ করেন।
ব্যাচেলেট দুই দফায় (২০০৬-২০১০ এবং ২০১৪-২০১৮) চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে তরুণদের সঙ্গে ‘নিউ ফ্রন্টিয়ার্স অব হিউম্যান রাইটস: ক্লাইমেট জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ’ বিষয়ক একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে যোগ দেবেন ব্যাচেলেট।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ব্যাচেলেট তার সফর শেষে বুধবার একটি বিবৃতি দেবেন বলে কার্যালয় জানিয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যুব প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদদের সাথে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
চার দিনের সফরে রবিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেন ব্যাচেলেট।
পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে গুম নেই, স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ নেই: ব্যাচলেটকে বললেন মোমেন
২ বছর আগে
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২ কোটি মানুষ বাস্তুচুত হবে
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। এর ফলে দেশের ২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মঙ্গলবার মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনে একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের ৮০ শতাংশেরও বেশি স্থলভাগের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র এক মিটারেরও কম, ইতোমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যা সমুদ্রের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আরও খারাপ হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে ২০৫০ সালের মধ্যে দৈনিক উচ্চ জোয়ারে ৪ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে এমন এলাকায় বন্যা হতে পারে।
পরিবেশগত দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত এশিয়ার একটি গুরুতর ঘটনা। প্রতিবেন অনুযায়ী ২০১৯ সালে চীন, বাংলাদেশ, ভারত এবং ফিলিপাইন অন্যান্য দেশের তুলনায় দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বেশি ঘটেছে, যা বিশ্বের মোট ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: দ. কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
৩ বছর আগে