চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল
চমেক হাসপাতালে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডায়ালাইসিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্যান্ডর পরিচালিত কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিডনি রোগীরা যথাযথ সেবা নিতে পারছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
এর আগে সরকারের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধে বিলম্ব ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
জানা যায়, পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপি) আওতায় ঢাকার নিটোর ও চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসে দু’টি সেন্টার স্থাপন করে ভারতীয় এ প্রতিষ্ঠান।
সেবাদান বাবদ সরকারের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ও অসহযোগিতার অভিযোগ করে ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে দু’টি সেন্টারেই একযোগে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর বুধবার রাতে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রেক্ষিতে ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ হচ্ছে না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের দু’টি সেন্টারেই কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা চালু থাকছে।
ডায়ালাইসিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেডের ম্যানেজার (হিসাব) নাজমুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্যান্ডরের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ হচ্ছে না। এ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
প্রেমিকার করা পর্নোগ্রাফি মামলায় চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ধানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।
নিহতরা হলেন- মো. ইস্রাফিল (২০), সাকিম আলী (২১) ও মো. রিপন (২০)। তাদের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম বলেন, কল্পলোক আবাসিকে নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলায় ১০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। বাঁশের তৈরি মাচার ওপর দাঁড়িয়ে সিলিংয়ের কাজ করছিল তারা। সেখানে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। হঠাৎ মাচা ভেঙে তিনজন নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসক সাকিম ও ইস্রাফিলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন মারা যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
এ ঘটনায় সাকিমের ভাই হাকিম আলী বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, নিহত ৩ শ্রমিকের মধ্যে সাকিমের বাড়ি রাজশাহী, ইস্রাফিলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রিপনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা কল্পলোক আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কের ডি-ব্লকে মাহবুবুর রহমানের নির্মাণাধীন এসপি ভবনে ঠিকাদার জামালের অধীনে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের বিম ভেঙে শ্রমিক নিহত
১ বছর আগে
চমেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাঙামাটি কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে হাসপাতালের ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত কাঈসাং মারমা (৫৬) রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা থানার রাইখালী এলাকার চাইহ্লা প্রু মারমার ছেলে।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম কারাগারে ২ হাজতির মৃত্যু
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, মাদক মামলার এই আসামি কাঈসাং মারমা গত ১৯ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসুস্থ হাজতির মৃত্যু
লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
চমেকের ড্রেন থেকে দুই নবজাতকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনের নালা থেকে দুই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি নবজাতক ক্ষতবিক্ষত এবং অপরটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনের নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই দুই নবজাতকের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রশাসনিক ভবনের সামনের নালার ওপর স্ল্যাব থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পরিচ্ছন্নকর্মীরা৷
আরও পড়ুন: নবজাতকের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশিক জানান, অনেক সময় অপরিপক্ক নবজাতকের লাশ চমেকের বিভিন্ন পাহাড়ে দাফন করা হয়। এ ধরনের দুটি নবজাতকের লাশ শেয়াল-কুকুর টেনে নালায় ফেলেছে হয়তো। বিষয়টি পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবজাতক হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেলেন মা–বাবা!
৩ বছর আগে