অপরাধে
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোখলেসুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। দণ্ডপ্রাপ্তদের সকলেই পলাতক আছেন।
আরও পড়ুন: অবসরের পরই সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
এর আগে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রায় ঘোষণা করা হলো।
ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, এ মামলায় মোট ৯জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দু’জন।
কারাগারে থাকা দু’জন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। আর বাকি ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
২০১৮ সালের ১২ জুলাই দাখিল করা হয় এসব অভিযোগ। এরপর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।
আর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এই সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। যা শেষ হয় গত ৫ ডিসেম্বর।
এরপর মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখেন আদালত।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তদন্ত শুরু হয়। এরপর একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়।
যাতে তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
কুড়িগ্রামের উলিপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ২০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় দুই ভ্যানচালকসহ তিনজনকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আটকরা হলেন,দোকান ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দস ও শহীদ আলী।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল ৭২ বস্তা সরকারি চাল
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়,সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে দুটি ভ্যান গাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের সরকারি সিলযুক্ত ২০ বস্তা চাল বের হয়।পরে ভ্যান গাড়ি দুটি শহরের মধ্য বাজারের মেসার্স কাশেম চালকলের মালিক সেকেন্দার আলীর দোকানে নামিয়ে দিতে থাকেন।এ সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে ভ্যান গাড়িসহ চালকদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দস ও শহীদ আলীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে।তাদের ভাষ্যমতে,চালগুলো খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার পুবেল সরদারের।এসব চাল খাদ্য ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানান তারা।
এ নিয়ে দিনভর চলে নানান নাটকীয়তা। পরে পুলিশ ২০ বস্তা (এক মেট্রিক টন) চাল, দোকান ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনসহ ভ্যান চালকদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে সোমবার রাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া বাদী হয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার পুবেল সরদার, দোকান মালিক সেকেন্দার আলী ও ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল চুরির মামলায় নন্দীগ্রামে আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন, সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান,এ ঘটনায় দোকান ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দির জন্য ভ্যানচালকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে