বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পাওয়ার সেলের জিডিসহ রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬২ পরিচালক অপসারণ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালকসহ রাজনৈতিক পদে নিযুক্ত ৬২ জন পরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, 'আজ আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ থেকে মোট ৩৫ জন পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছি; যাদের রাজনৈতিক পছন্দের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি বিদ্যুৎ কোম্পানি এবং ১৮টি ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির।
তিনি উল্লেখ করেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে দুই দিন আগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা স্ব স্ব পদে বহাল রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন হাবিবুর রহমান। তাদের অপসারণের জন্য পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবিলম্বে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে এ নির্দেশনার ফলে মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন ১৩টি কোম্পানির বোর্ড থেকে ২৬ জন পরিচালককে অপসারণ করা হয়। শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, এই ২৬ পরিচালককে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপসারণ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের একান্ত সচিব রোকন-উল হাসান; তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম; সাবেক অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির লস্কর; সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদা আখতার হীরা; সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক; ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরীন নাহার; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব-২ আল মামুন মোরশেদ; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব-১ মনিরা বেগম; মহাপরিচালক-৩ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান; সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরীর একান্ত সচিব মুক্তাদির আজিজ; তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন; সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ইসমত মাহমুদা এবং যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটারের বিষয়ে তদন্তে মন্ত্রণালয়কে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
এছাড়া আরও ১১ ব্যক্তি, যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জ্বালানি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালকের পদ থেকে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কোম্পানিগুলো হলো- সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল), জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জেজিটিডিসিএল), পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল), সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল), কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেডিসিএল), বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল), বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল), রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল), যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (জেওসিএল), পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (পিওসিএল) ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (এমপিএল)।
আরও পড়ুন: ‘স্মার্ট গ্রিড’র দিকে যেতে শীর্ষ মার্কিন পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে পাওয়ার সেল
২ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ এসেছে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।
বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দ উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, উৎপাদনের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি আরও জানান, গ্রিডের আধুনিকায়ন করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
বিদ্যুৎ খাতে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে গ্রিড আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরই ও প্রি-পেইড মিটারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনা করে এর উন্নয়ন ও ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের পাশাপাশি এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে স্মার্ট প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
দেশে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে বেড়ে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানির ৫৪ থেকে ৫৯ শতাংশ আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। বর্তমানে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৯টি, যার মধ্যে ২০টি উৎপাদনে রয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে উপকূলীয় এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পেট্রোবাংলার আওতায় ৪৮টি কূপ খননকাজের পরিকল্পনা করেছে বাপেক্স।
অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান
বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন না করে এবং প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের উৎপাদন বণ্টন চুক্তির আলোকে বিদ্যমান 'অফশোর মডেল-পিএসসি ২০১৯'কে আরও আকর্ষণীয় করে বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি)-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ চুক্তির আওতায় অগভীর সমুদ্রের ৯টি ব্লক ও গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি নিয়োগ করতে 'বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪' শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর ও অগভীর সমুদ্রের পিএসসি সই হবে।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘ব্লু ইকোনমি’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ব্লু ইকোনমি সেল কাজ করছে।
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৪ মাস আগে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চীনকে বাংলাদেশের আহ্বান
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চীনের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়।
হামিদ বলেন, ‘আমরা চীনের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
চীনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াওকে স্বাগত জানান নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: নসরুল হামিদ
তিনি বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো বের করতে একটি বিশেষ দল গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে একটি বিশেষ দল গঠন করা যেতে পারে।’
উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ইয়াও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে উভয় দেশকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ, শক্তিশালী ও উন্নত দেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে তারা চীনা অর্থায়নে প্রকল্প, লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন, সেমি-কন্ডাক্টর কারখানা, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম, স্মার্ট মিটার, সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্দেশিকা প্রয়োগে জ্বালানির দাম কমতে পারে: নসরুল হামিদ
৭ মাস আগে
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্পে দ্রুত অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের সঙ্গে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে গ্যাস মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক দুটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে– যার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিদ্যুৎ খাতে ছয়টি প্রকল্প রয়েছে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্জন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হাইড্রোজেন ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
নসরুল হামিদ উল্লেখ করেন, ‘হাইড্রোজেন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাংক একটি নীতিমালা প্রণয়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’
তিনি বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বায়ু শক্তি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ খাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
নবায়নযোগ্য শক্তি, ক্যাপটিভ পাওয়ার, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক শক্তি সংকট, সৌর সেচ পাম্প, লিথিয়াম ব্যাটারি, জলবিদ্যুৎ, আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য, নেট মিটারিং ও ছাদে সৌর, সবুজ বিল্ডিং, বিদ্যুৎ ও শক্তির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, জ্বালানি, তেল শোধনাগার ও ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নিয়েও আলোচনা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগ খুবই আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের শীর্ষে এই নির্বাহী দক্ষতার উন্নতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ক্রস বর্ডার পাওয়ার ট্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক (অবকাঠামো) গুয়াংজে চেন এবং ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দন্দন চেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
২ বছর আগে
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য শপিংমল, সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, মার্কেট ও স্থাপনা রাত আটটায় বন্ধ করতে বলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এছাড়া খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা যাবে।
সোমবার ডিএসসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিনেমা হল ও চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
এছাড়া, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতাল সংলগ্ন নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত আটটার মধ্যে শপিংমল ও কাঁচা বাজার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়য়ের মহাপরিচালক (প্রসাশন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রাত আটটার মধ্যে দোকানপাট, শপিং মল, খাবারের দোকানসহ স্থাপনাগুলো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
২ বছর আগে
সংসদে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিল’ পেশ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০২১ বুধবার সংসদে পেশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে আরও পাঁচ বছর বাড়াতে বিলটি পেশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পেশ করেন। বিদ্যমান আইনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত আইনে সময় বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
সংসদে ‘হাইওয়ে বিল-২০২১’ পেশ
৩ বছর আগে