ইভালি
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এলিট ফোর্সের সদস্যরা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের ওই বাসায় অভিযান শুরু করে। বিকাল ৫টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
ইভ্যালি মালিকরা কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
বুধবার রাতে আরিফ বাকের নামে ওই ভুক্তভোগী এই দম্পতিকে অভিযুক্ত করে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদুল ইসলাম বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আকাশ ও ইভ্যালির মধ্যে চুক্তি
ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টে (এফআইআর) আরিফ বেকার উল্লেখ করেছেন, তিনি এই বছরের ২৯ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ইভ্যালির কাছে অনলাইনে তিন লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো অর্ডার করা পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২৭ আগস্ট চিঠির মাধ্যমে সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির আর্থিক লেনদেন, ই বাণিজ্য তদন্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভ্যালি তার গ্রাহকদের একটি পণ্যের অগ্রিম অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ১০০ বা ১৫০ শতাংশের মতো অস্বাভাবিক ক্যাশব্যাক অফার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
ই-কমার্স ব্যবসায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই পণ্য কেনার বিপরীতে শতভাগ বা তার বেশি ক্যাশব্যাক দিতে পারে না।
অভিযোগ করা হয়েছিল, যখন একজন গ্রাহক একটি পণ্য কিনতে টাকা জমা দেন, তখন ইভ্যালি পণ্যটি সরবরাহ করতে খুব বেশি সময় নিয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও ভোক্তাদের কাছ থেকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে ভোক্তাদের টাকা জমা দিতে বাধ্য করা, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
৩ বছর আগে