পাপুয়া নিউগিনি ডিফেন্স
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফর শেষে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সফরকালে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনী এবং পাপুয়া নিউগিনি ডিফেন্স ফোর্সের যৌথভাবে আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চীফস কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
১৩-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই কনফারেন্সের অংশ হিসেবে প্রথম দিনে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সক্ষমতা এবং মার্কিন আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড পরিচালিত একটি লাইভ ফায়ার মহড়া দেখেন।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ‘দ্য চেঞ্জিং ফিজিক্যাল এনভায়রনমেন্ট অব ল্যান্ড অপারেশনস এবং দ্য ইভলভিং হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট অব ল্যান্ড অপারেশনস’ বিষয়বস্তু দুটির ওপর অনুষ্ঠিত প্লেনারি সেশনসমূহে অংশগ্রহণ করেন। প্লেনারি সেশনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জেমস মেকনভিল স্বাগত বক্তব্য দেন। পাশাপাশি উক্ত কনফারেন্সে যোগদানকারী যুক্তরাজ্যের ফিল্ড আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রালফ উডইসসহ বিভিন্ন দেশের বাহিনী প্রধান এবং বাহিনীর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুস্থদের মাঝে সেনাপ্রধানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
কনফারেন্সের শেষ দিনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মার্কিন আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডিং জেনারেল, জেনারেল চার্লস্ এ. ফ্লিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আন্দিকা পেরকাসা, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাম ইয়ং শিন, এ্যসিস্ট্যান্ট কমান্ডার ইন চিফ অফ রয়্যাল থাই আর্মি, জেনারেল পর্নসাক পুলসাওয়াদ, কমান্ডার পাপুয়া নিউগিনি ডিফেন্স ফোর্স, মেজর জেনারেল গিলবার্ট টরোপো, কমান্ডার মঙ্গোলিয়ান ল্যান্ড ফোর্স কমান্ড, মেজর জেনারেল বুজিনভ আমগালানবাটার, চিফ অব স্টাফ, সিঙ্গাপুর আর্মি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রেডেরিক চো এবং কমান্ড্যান্ট সার্ভিস কোর, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ শাফিকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সাক্ষাতে বাংলাদেশ এবং উল্লেখিত দেশসমূহের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশসমূহ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জেনারেল র্যাংক ব্যাজ পরলেন নতুন সেনাপ্রধান
৩ বছর আগে