জাতিসংঘ অধিবেশন
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট নিউইয়র্কের সময় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদানের পর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডন স্ট্যানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ বিতর্ক উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (স্থানীয় সময় সাড়ে ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে) ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা, ৭৭তম ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনা এবং 'ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডার্স' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে তিনি স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোর এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাল যুক্তরাজ্য আ.লীগ
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন (বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এর সহ আয়োজক) এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন এবং ইউএনএইচকিউতে পদ্মা সেতুর ওপর একটি স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।
একই দিনে তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউস এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর), রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চস্তরের অনুষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের নীতিগত গোলটেবিল বিষয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিনে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সাথে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন।
পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র আ.লীগের আমলেই হয়: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন।
ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ৪ অক্টোবর ভোরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
এর আগে রানির শেষকৃত্য ও নতুন রাজার সিংহাসন আরোহণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
২ বছর আগে
বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
জেতার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনিবলেন, ‘তারা জানে নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সম্ভবনা নেই। তাই তাদের চেষ্টা হলো এটাকে বিতর্কিত করা। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং যে কোনো উপায়ে তাদের (জনগণের) ক্ষতি করা।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
শেখ হাসিনার বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একজন (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত এবং আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘তারা জানে তারা জিততে পারবে না। একটা দল কীভাবে জিতে? এর নেতৃত্ব কোথায়? একজন এতিমের টাকা আত্মসাত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। তারা এখনও (দলের) নেতৃত্বে। জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে দেশে আসার পথে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। ফিনল্যান্ডে দুই দিনের বিরতির পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেছিলেন।
পড়ুন: ওয়াশিংটন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সরকার, দেশ ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের বাগানে একটি বেঞ্চ উন্মোচন করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যান।
ওয়াশিংটনে থাকার সময় শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ হাউস’ উদ্বোধন করেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
দেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের কঠোর সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে বসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক বিদেশে অবস্থান করে দেশের সমালোচনা করে এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করেছি, এখন তাদের লক্ষ হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।’
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলে অভিহিত করছে। আমার প্রশ্ন হলো কীভাবে তারা এই শব্দগুলো উচ্চারণ করার সুযোগ পায় (সরকারের সমালোচনা)? আমরা বাংলাদেশকে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলেছি বলে তারা এটা বলার সুযোগ পেয়েছে।’
বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে সরকারের সমালোচনাকারীরা অর্থগ্রহণ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তারা নীতিবান হয় এবং তাদের কোন আদর্শ থাকে, তাহলে তারা আমাদের তৈরি করা ডিজিটাল সিস্টেমগুলো কেন ব্যবহার করে?।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী
সরকার প্রধান বলেন, হাইকোর্ট জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে কারণ তারা সামরিক আইন জারি করে তাদের সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং তার ছেলে (তারেক রহমান) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এমনকি তাদের দুর্নীতির তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) প্রকাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে এত বেশি অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে যে তারা একজন এফবিআই লোককে নিয়োগ করেছিল যা পরে এফবিআই প্রকাশ করে।’
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের শক্তি এবং সাহস থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপির শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, কিন্তু সব রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচন বর্জন করে এবং জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। যেহেতু জনগণ তাদের ভোট দেয়নি, তাই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
৩ বছর আগে
জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে নারীদের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বের এক বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৭তম বারের মতো বাংলায় ভাষণ দেয়ার সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। যিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে কাউন্সেলর তৃতীয় নারী যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা ইংরেজীভাষী বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
এর আগে এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এক বছরের জন্য ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা তার ভাষণে করোনাকে একটি সাধারণ শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বনেতাদের সামনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ধারণা সংবলিত ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এ অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে হবে।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা একটি বিশেষ সম্মানের বিষয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ি আলম সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কথামালার ঊর্ধ্বে এসে আমাদের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই সংকটের সমাধান না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সবার সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।’
বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অনফোরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভস ফর এ সাস্টেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মোট ২৩ জন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের পর স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সকল বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বার বার বলে আসছি যে তারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিরাপদে এবং আত্মমর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আমাদের সবাইকে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগীদের এই বিষয়ে বাংলাদেশের চেষ্টার সহযোগিতা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কার্যকরভাবে বিশ্ব্যাপী টিকা দেয়ার জন্য কোভিড-১৯ টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার। সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দ্যা প্যানডেমিক এন্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্মেলনের আহ্বান করেছেন।
পড়ুন: সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ তিন দফা পন্থা অবলম্বন করেছে। সেগুলো হলো পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সম্পদ বরাদ্দ করে জীবন বাঁচানো, নাগরিকদের জীবন সুরক্ষায় বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন উপকারভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য এসডিজির রূপরেখা চান শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী রূপরেখা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যাতে কোন দেশ পিছিয়ে না থাকে। কারণ মহামারি অনেক দেশকে এসডিজির লক্ষ্যপূরণের যাত্রায় পিছনে ফেলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এসডিজির লক্ষ্যগুলো অনেক দেশের কাছে অনেক দূরের বলে মনে হচ্ছে। তার ওপর মহামারি তাদের আরও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের একটি সাহসী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
সোমবার ভার্চুয়ালি টেকসই উন্নয়নের ওপর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আর্থ ইনস্টিটিউট, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং জাতিসংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দেশ একা এসডিজি অর্জন করতে পারে না। এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং সংহতি প্রয়োজন।’
সঠিক সময়ের মধ্যে এসডিজি অর্জনের পথে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সামনে টেনে আনতে শেখ হাসিনা সম্মেলনে পাঁচটি প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে: সবার জন্য সব জায়গায় করোনার টিকা নিশ্চিত করা, ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পদের বিশাল ব্যবধান কমিয়ে আনা; বিশেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করা, জলবায়ু পদক্ষেপের সঙ্গে সংগতি রেখে করোনা থেকে পুনরুদ্ধার কর্মসূচি তৈরি করা এবং এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি ও সহায়তা ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘের এক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো উচিত। জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা এড়াতে পর্যাপ্ত এবং সময়মত সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহামারি এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে প্রতিটি স্তরে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ মহামারি পুরো বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, অসংখ্য মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে এবং জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, এটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমডিজির সাফল্যের ওপর নির্ভর করেই আমাদের এসডিজি যাত্রা।’
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে এবং সম্প্রতি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও হালনাগাদ এনডিসি (ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস) জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
প্রসঙ্গত, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০২১ অনুযায়ী, এসডিজির অধিকাংশ সূচকে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং জিডিপির দিক থেকে ৪১ তম স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এলডিসি(লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করতে সুপারিশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এসডিজির স্থানীয়করণে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়েছে। এসডিজি ট্র্যাকারও চালু করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
৩ বছর আগে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার বিকালে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট রবিবার (স্থানীয় সময়) বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেখ হাসিনা ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে এবং পৌনে ৩টায় বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৪টায় সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। বিকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিক্সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং বিকাল ৪টায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়িক গোলটেবিলে অংশ নেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ৯টায় ডারবান ডিক্লারেশন এবং কর্মসূচী গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী, ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১ ৯ সামিট এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিকাল ৩টায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশ চাইলে জাতিসংঘ নির্বাচনী সহায়তা দেবে: মিয়া সেপ্পো
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
৩ বছর আগে