আবুল কালাম
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুন (১৮) আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম ওরফে দা কালাম (২৪) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাসুমা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, কালামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে হত্যাচেষ্টাসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
২ বছর আগে
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (৪০) ও আব্দুল হাকিম। প্রাথমিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মহেশখালী দ্বীপের কুতুবজোম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা কেন্দ্র দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম মারা যান এবং ৭ জন আহত হন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, ‘উভয়পক্ষের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামে একজন মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শিগগিরই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২ পৌরসভা ও ১৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
ইউপি নির্বাচন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
৩ বছর আগে