রিসোর্ট
সাজেকে আগুন: ২০ রিসোর্টসহ অর্ধ শতাধিক দোকান-বসতবাড়ি ভস্মিভূত
দেশের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র রাঙ্গামাটির সাজেক ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাজেক পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র ‘রুইলুইপাড়ায়’ এই অগ্নিকাণ্ড হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকায়। অনেকটা লাগোয়া থাকায় ইকোভ্যালি, অবকাশ, মেঘছুট, মনটানা রেস্টুরেন্ট এবং আশপাশের কয়েকটি রিসোর্ট এবং দোকানপাটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাজেকের হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লালথাং লুসাই এর বাড়িও আগুনে পড়ে গেছে।
খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং সেনাবাহিনী, বিজিবি ও স্থানীয়দের চেষ্টায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়েকটি নির্মাণাধীন রিসোর্টও রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, আগুনে কতটি রিসোর্ট ও স্থাপনা পুড়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করা হচ্ছে। এখনই সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, আগুনের কারণে সাজেকে অবস্থানকারী পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সাজেকে অবিলম্বে একটি ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় স্থাপনের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সাজেকের রিসোর্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা
৫২ দিন আগে
সাজেকের রিসোর্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা
রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে রিসোর্ট ও কটেজ এবং দোকান।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে অবকাশ রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে এরই মধ্যে সাজেক অবকাশ রিসোর্ট, ইকো ভ্যালি রিসোর্ট, মেঘছুট রিসোর্ট, মনটানা রেস্টুরেন্ট, মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ১৫টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন এবং ২৭ ও ৫৪ বিজিবির সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আরও পড়ুন: সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
সাজেকের হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ১৬টি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস সাজেকে পৌঁছাতে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। সাজেকে দমকল বাহিনীর কোনো ইউনিট না থাকায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস রওনা হয়েছে।
বর্তমানে আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন। তবে কিভাবে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে, তা পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
৫২ দিন আগে
আসছে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ: ঢাকার আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মৌসুম। একই সঙ্গে বড়দিন, বছরান্ত, ইংরেজি নববর্ষ এবং শীতকাল। ফানুশ ওড়ানো ও ঘন কুয়াশায় মুখ দিয়ে ধোয়া বের হওয়ার অভিজ্ঞতাকে প্রাণভরে উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রিয় মনটা চঞ্চল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হিড়িক পড়ে যায় মুখরোচক ভোজের মধ্য দিয়ে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বড়দিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর। আর এই উদযাপন যদি করা যায় নির্মল প্রকৃতির সান্নিধ্যে, তাহলে আনন্দটা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ঢাকার সন্নিকটে তেমনি কিছু দর্শনীয় স্থান ও রিসোর্ট নিয়েই আজকের ভ্রমণকড়চা। চলুন, ঢাকার কাছেই বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের দারুণ কয়েকটি জায়গার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটিতে ঢাকার কাছেই কিছু অবকাশ যাপনের স্থান
.
জল কাচারি রিসোর্ট
কেরাণীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুরের এই রিসোর্টের মূল আকর্ষণ হলো ধলেশ্বরী নদীর মন ভোলানো দৃশ্য। লাল-সাদা টিনকাঠের প্রানেশ্বরী কটেজ ও দৃষ্টিনন্দন ২টি সানরুম থেকে দৃষ্টি জুড়ে ধারণ করা যায় নদীকে। আর গাঙচিল প্ল্যাটফর্মটি তো একদম নদীর ওপরেই ভাসমান। এখানে বসে মাটির চুলায় রান্না করা দেশীয় খাবার খাওয়ার সময় চোখে পড়ে ওপাড়ের নির্মল সবুজ প্রকৃতি। চাইলে নৌকায় ভেসে আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যায় নদীর অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যকে।
মোহাম্মদপুর থেকে কলাতিয়া রোড ধরে ঢালিকান্দির দিকে এই রিসোর্টটিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
কটেজ হাউস
সাভারের এই সুদৃশ্য অতিথিশালাটি মূলত প্রায় ২ বিঘা জমির একটি অত্যাধুনিক ভিলা। রাজধানী থেকে ১ ঘণ্টার দূরত্বের এই অবকাশ যাপনকেন্দ্রে রয়েছে ১ হাজার ৩০০ বর্গফুটের সুইমিং পুল। থাকার জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২টি প্রশস্ত রুম। আছে বারবিকিউ, উন্মুক্ত ডাইনিং, এবং ব্যাডমিন্টন খেলার সুবিধা। সবুজ লন, বাগান ও এর মাঝে দোলনা আভিজাত্যের পাশাপাশি দিয়েছে শৈল্পিক পরশ।
সাভারের বাজার রোডে উঠে সামনে এগোলে বাড্ডা ভাটপাড়া রোডের ৯৩ বি প্লটটিই কটেজ হাউস।
১১৯ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব। তিনি সর্বশেষ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে জানালা দিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমরা তথ্য পেয়ে রিসোর্টে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
যানজটের কারণে ঢাকা থেকে তার পরিবার আসতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১৮৯ দিন আগে
গাজীপুরে রিসোর্ট থেকে কুমির উদ্ধার
গাজীপুরের রিসোর্ট অবৈধভাবে রাখা একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। কুমিরটির বয়স আনুমানিক ২০ বছর।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের নীলেরপাড়া এলাকায় পাখির স্বর্গ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খান জাহান আলীর মাজারে কুমিরের মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। এটি স্ত্রী কুমির। রিসোর্ট থেকে উদ্ধারের পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কুমির বেষ্টনীতে এটাকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা বন বিভাগ জানতে পারে পাখির স্বর্গ রিসোর্টে একটি কুমির রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাজীপুর সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) এর সদস্যরা কুমিরটি উদ্ধার করেন। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী নোনা পানির কুমির কোথাও রাখা যাবে না। এখান থেকে যে কুমিরটি উদ্ধার করেছি এটি নোনা পানির কুমির,যা প্রায় ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার করা কুমিরটি গাজীপুর সাফারি পার্কে বিচরণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) সভাপতি আদনান আজাদ বলেন, আমরা যখন জানতে পারি রিসোর্টে অবৈধভাবে একটি কুমির রাখা হয়েছে, তখন খোঁজ খবর নিয়ে বন বিভাগকে অবগত করি। তাদের সহযোগিতায় কুমিরটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার
২২৬ দিন আগে
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
হোক সে আপন নিবাস কিংবা ভিনদেশী অচেনা জায়গা, সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি পাশে থাকাটা আশেপাশের সবকিছুকেই যেন ঝাপসা করে দেয়। এরপরেও প্রত্যেকেই তার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে কাটানো সময়টাকে ভালো লাগা দিয়ে ভরিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পরিণয়টা নিরঙ্কুশ সিদ্ধি লাভ করে যখন তাতে যোগ হয় প্রকৃতিপ্রেম, রোমাঞ্চ ও মুক্তির উচ্ছ্বাস। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসার শাসনটা এই স্বাধীনতাকে বাধ ভেঙে যেতে দেয় না। তখনি আসে কাছে কোথাও নিরিবিলিতে ঘুরতে যাওয়ার পায়তারা। আর ঠিক এই চাহিদাটিকে পূরণ করতেই ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলো। শহুরে যুগলবন্দিদের প্রতি এক অভূতপূর্ব ভালবাসা দিবসের অভিজ্ঞতার নিবেদন করে এই নৈসর্গিক স্থানগুলো। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ঢাকার নিকটবর্তী মনোরম ১০টি রিসোর্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি রিসোর্ট
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
সবুজ গাছ-গাছালি ঘেরা প্রায় ১০০ বিঘা জায়গার জলেশ্বরী রিসোর্টের অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের ফাউগান গ্রামে। অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট এবং বিশাল খেলার মাঠ।
সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সরকারি ছুটি দিন বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কাপল ডে লং প্যাকেজের মূল্য ৬ হাজার টাকা। ছুটির দিনগুলোতে এর দাম রাখা হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর বাইরে মান ভেদে রাত্রিযাপনের জন্য রুম ভাড়া নেওয়া হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা দিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে তারপর ফাউগান বাজার পার হয়ে একটু সামনে গেলেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার: অনুপম নিবেদনে প্রিয়জনের মুগ্ধতা
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা জনপ্রিয় ছুটি রিসোর্টের জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। যেখানে রয়েছে স্পোর্টস জোন, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাম্পিংয়ের জায়গা। ২১টি কটেজের পাশাপাশি এখানকার ছনের ঘর, মাছ ধরার সুযোগ, নৌকা ভ্রমণ, পিঠাপুলী এবং সবজি ও ফুল-ফলের বাগান আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে পাখির কলকাকলী, বাঁদুড় ও শিয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক এবং জোনাকি আলো।
৪৩৫ দিন আগে
ঢাকার পূর্বাচলে ১০টি মনোরম রিসোর্ট: সারাদিনের খরচ
কোনো কাজের চাপ ছাড়াই পুরো একটা দিন, নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত প্রমাণ করা নিরস মানুষটিও ভেতরে ভেতরে পোষণ করেন এমন ইউটোপিয়া। কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া মনটিও এক সময় খেই হারিয়ে ফেলে প্রশান্তির দিন গুনতে যেয়ে। তখনি প্রয়োজন হয় ছকে বাধা বন্দিশালা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। যেখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় থাকবে না কোনো জটিলতা নিরসনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চুক্তি। পাশেই কোনো নদী বয়ে নিয়ে যাবে মনের সকল অস্থিরতা।
ঠিক এই অনুভূতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যই যেন গড়ে উঠেছে ঢাকার পূর্বাচলের মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো। প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে অতি যত্নে গড়া এই শৈল্পিক স্থাপনাগুলোতে নিমেষেই করা যেতে পারে নিশ্চিন্ত থাকার অনুশীলন। তাই চলুন, দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলোতে অবকাশ যাপনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নেই।
ঢাকার পূর্বাচলে এক দিনে বেড়ানোর ১০টি মনোহর রিসোর্ট
লা রিভেরিয়া রিসোর্ট
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঠের তৈরি কটেজ, ১০০-এরও বেশি কার পার্কিং, বিস্তৃত খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুলের বিশাল রিসোর্ট লা রিভেরিয়া। পূর্বাচল ৩০০ ফিটের শেষ প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজ পেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বেই এর অবস্থান। ২০১৯ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই স্থাপনায় পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রী রিভারভিউ। আর এই ভিউ উপভোগ করতে করতেই সেরে নেয়া যাবে মধ্যাহ্নভোজ।
সবুজের ঘেরা মাঠ, বার্বিকিউ আর মঞ্চ বানানোর ব্যবস্থা থাকায় যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্যই উপযুক্ত লা রিভেরিয়া। তবে উদ্যানসম এই রিসোর্ট ঘুরে দেখতে হলে দিতে হবে ২৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য। দিনব্যাপী প্যাকেজগুলো শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কটেজে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। রাত্রি যাপনে তা বেড়ে হবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে থাকে এদের আকর্ষণীয় সব অফার।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
ছুটি রিসোর্ট
স্যুট, কুটির, ভিলা, রেস্তোরাঁ, পুল ক্যাফে, কনভেনশন হল, সুইমিং পুল, জাকুজি, বিউটি শপ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, এবং তাঁবু খাটানোর জায়গা মিলে বেশ বিলাসবহুলই বলা চলে ছুটি রিসোর্টকে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত ২২টি স্যুট এবং কটেজে মোট ৬০ জন অতিথি থাকতে পারেন।
৫৪০ দিন আগে
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৭০৬ দিন আগে
গাজীপুরে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে ২ ছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরের পুবাইলের একটি রিসোর্টের পুকুরে ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার মেঘডুবি এলাকার সাবরিনা ড্রিম রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কের পুকুরে ডুবে ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. হামিম হক (১৭) ও একই গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে মো. নোমান (১৭)।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানায়, টঙ্গীর পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুর এলাকা থেকে ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু মিলে সাবরিনা ড্রিম রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কে ঘুরতে যায়। এক পর্যায়ে হামিম ও নোমানসহ অনেকেই পার্কের পুকুরে গোসলের জন্য নামে।
কিছু সময় পর অন্য বন্ধুরা হামিম ও নোমানকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়া হামিমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পুবাইলের করমতলা কমিউনিটি হাসপাতালে ও নোমানকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কিশোরের পুকুরে ডুবে মৃত্যু
রাণীনগরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৭১৫ দিন আগে
কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নকে প্রকৃতি, বৃক্ষ ও পরিবেশের সঙ্গে একীভূত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ইট-কাঠ দিয়েই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের সেখানে গাছ এবং ছায়া রাখতে হবে।’
বুধবার সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট শহরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
১০৬৫ দিন আগে