রিসোর্ট
আসছে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ: ঢাকার আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মৌসুম। একই সঙ্গে বড়দিন, বছরান্ত, ইংরেজি নববর্ষ এবং শীতকাল। ফানুশ ওড়ানো ও ঘন কুয়াশায় মুখ দিয়ে ধোয়া বের হওয়ার অভিজ্ঞতাকে প্রাণভরে উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রিয় মনটা চঞ্চল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হিড়িক পড়ে যায় মুখরোচক ভোজের মধ্য দিয়ে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বড়দিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর। আর এই উদযাপন যদি করা যায় নির্মল প্রকৃতির সান্নিধ্যে, তাহলে আনন্দটা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ঢাকার সন্নিকটে তেমনি কিছু দর্শনীয় স্থান ও রিসোর্ট নিয়েই আজকের ভ্রমণকড়চা। চলুন, ঢাকার কাছেই বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের দারুণ কয়েকটি জায়গার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটিতে ঢাকার কাছেই কিছু অবকাশ যাপনের স্থান
.
জল কাচারি রিসোর্ট
কেরাণীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুরের এই রিসোর্টের মূল আকর্ষণ হলো ধলেশ্বরী নদীর মন ভোলানো দৃশ্য। লাল-সাদা টিনকাঠের প্রানেশ্বরী কটেজ ও দৃষ্টিনন্দন ২টি সানরুম থেকে দৃষ্টি জুড়ে ধারণ করা যায় নদীকে। আর গাঙচিল প্ল্যাটফর্মটি তো একদম নদীর ওপরেই ভাসমান। এখানে বসে মাটির চুলায় রান্না করা দেশীয় খাবার খাওয়ার সময় চোখে পড়ে ওপাড়ের নির্মল সবুজ প্রকৃতি। চাইলে নৌকায় ভেসে আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যায় নদীর অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যকে।
মোহাম্মদপুর থেকে কলাতিয়া রোড ধরে ঢালিকান্দির দিকে এই রিসোর্টটিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
কটেজ হাউস
সাভারের এই সুদৃশ্য অতিথিশালাটি মূলত প্রায় ২ বিঘা জমির একটি অত্যাধুনিক ভিলা। রাজধানী থেকে ১ ঘণ্টার দূরত্বের এই অবকাশ যাপনকেন্দ্রে রয়েছে ১ হাজার ৩০০ বর্গফুটের সুইমিং পুল। থাকার জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২টি প্রশস্ত রুম। আছে বারবিকিউ, উন্মুক্ত ডাইনিং, এবং ব্যাডমিন্টন খেলার সুবিধা। সবুজ লন, বাগান ও এর মাঝে দোলনা আভিজাত্যের পাশাপাশি দিয়েছে শৈল্পিক পরশ।
সাভারের বাজার রোডে উঠে সামনে এগোলে বাড্ডা ভাটপাড়া রোডের ৯৩ বি প্লটটিই কটেজ হাউস।
২ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব। তিনি সর্বশেষ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে জানালা দিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমরা তথ্য পেয়ে রিসোর্টে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
যানজটের কারণে ঢাকা থেকে তার পরিবার আসতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
গাজীপুরে রিসোর্ট থেকে কুমির উদ্ধার
গাজীপুরের রিসোর্ট অবৈধভাবে রাখা একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। কুমিরটির বয়স আনুমানিক ২০ বছর।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের নীলেরপাড়া এলাকায় পাখির স্বর্গ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খান জাহান আলীর মাজারে কুমিরের মৃত্যু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। এটি স্ত্রী কুমির। রিসোর্ট থেকে উদ্ধারের পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কুমির বেষ্টনীতে এটাকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা বন বিভাগ জানতে পারে পাখির স্বর্গ রিসোর্টে একটি কুমির রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাজীপুর সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) এর সদস্যরা কুমিরটি উদ্ধার করেন। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী নোনা পানির কুমির কোথাও রাখা যাবে না। এখান থেকে যে কুমিরটি উদ্ধার করেছি এটি নোনা পানির কুমির,যা প্রায় ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার করা কুমিরটি গাজীপুর সাফারি পার্কে বিচরণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এবং নেচার (সোয়ান) সভাপতি আদনান আজাদ বলেন, আমরা যখন জানতে পারি রিসোর্টে অবৈধভাবে একটি কুমির রাখা হয়েছে, তখন খোঁজ খবর নিয়ে বন বিভাগকে অবগত করি। তাদের সহযোগিতায় কুমিরটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার
৩ মাস আগে
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
হোক সে আপন নিবাস কিংবা ভিনদেশী অচেনা জায়গা, সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি পাশে থাকাটা আশেপাশের সবকিছুকেই যেন ঝাপসা করে দেয়। এরপরেও প্রত্যেকেই তার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে কাটানো সময়টাকে ভালো লাগা দিয়ে ভরিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পরিণয়টা নিরঙ্কুশ সিদ্ধি লাভ করে যখন তাতে যোগ হয় প্রকৃতিপ্রেম, রোমাঞ্চ ও মুক্তির উচ্ছ্বাস। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসার শাসনটা এই স্বাধীনতাকে বাধ ভেঙে যেতে দেয় না। তখনি আসে কাছে কোথাও নিরিবিলিতে ঘুরতে যাওয়ার পায়তারা। আর ঠিক এই চাহিদাটিকে পূরণ করতেই ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলো। শহুরে যুগলবন্দিদের প্রতি এক অভূতপূর্ব ভালবাসা দিবসের অভিজ্ঞতার নিবেদন করে এই নৈসর্গিক স্থানগুলো। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ঢাকার নিকটবর্তী মনোরম ১০টি রিসোর্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি রিসোর্ট
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
সবুজ গাছ-গাছালি ঘেরা প্রায় ১০০ বিঘা জায়গার জলেশ্বরী রিসোর্টের অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের ফাউগান গ্রামে। অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট এবং বিশাল খেলার মাঠ।
সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সরকারি ছুটি দিন বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কাপল ডে লং প্যাকেজের মূল্য ৬ হাজার টাকা। ছুটির দিনগুলোতে এর দাম রাখা হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর বাইরে মান ভেদে রাত্রিযাপনের জন্য রুম ভাড়া নেওয়া হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা দিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে তারপর ফাউগান বাজার পার হয়ে একটু সামনে গেলেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার: অনুপম নিবেদনে প্রিয়জনের মুগ্ধতা
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা জনপ্রিয় ছুটি রিসোর্টের জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। যেখানে রয়েছে স্পোর্টস জোন, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাম্পিংয়ের জায়গা। ২১টি কটেজের পাশাপাশি এখানকার ছনের ঘর, মাছ ধরার সুযোগ, নৌকা ভ্রমণ, পিঠাপুলী এবং সবজি ও ফুল-ফলের বাগান আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে পাখির কলকাকলী, বাঁদুড় ও শিয়ালের হাঁক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক এবং জোনাকি আলো।
১০ মাস আগে
ঢাকার পূর্বাচলে ১০টি মনোরম রিসোর্ট: সারাদিনের খরচ
কোনো কাজের চাপ ছাড়াই পুরো একটা দিন, নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত প্রমাণ করা নিরস মানুষটিও ভেতরে ভেতরে পোষণ করেন এমন ইউটোপিয়া। কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া মনটিও এক সময় খেই হারিয়ে ফেলে প্রশান্তির দিন গুনতে যেয়ে। তখনি প্রয়োজন হয় ছকে বাধা বন্দিশালা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। যেখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় থাকবে না কোনো জটিলতা নিরসনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চুক্তি। পাশেই কোনো নদী বয়ে নিয়ে যাবে মনের সকল অস্থিরতা।
ঠিক এই অনুভূতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যই যেন গড়ে উঠেছে ঢাকার পূর্বাচলের মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো। প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে অতি যত্নে গড়া এই শৈল্পিক স্থাপনাগুলোতে নিমেষেই করা যেতে পারে নিশ্চিন্ত থাকার অনুশীলন। তাই চলুন, দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টগুলোতে অবকাশ যাপনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নেই।
ঢাকার পূর্বাচলে এক দিনে বেড়ানোর ১০টি মনোহর রিসোর্ট
লা রিভেরিয়া রিসোর্ট
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঠের তৈরি কটেজ, ১০০-এরও বেশি কার পার্কিং, বিস্তৃত খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুলের বিশাল রিসোর্ট লা রিভেরিয়া। পূর্বাচল ৩০০ ফিটের শেষ প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজ পেরিয়ে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বেই এর অবস্থান। ২০১৯ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই স্থাপনায় পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রী রিভারভিউ। আর এই ভিউ উপভোগ করতে করতেই সেরে নেয়া যাবে মধ্যাহ্নভোজ।
সবুজের ঘেরা মাঠ, বার্বিকিউ আর মঞ্চ বানানোর ব্যবস্থা থাকায় যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্যই উপযুক্ত লা রিভেরিয়া। তবে উদ্যানসম এই রিসোর্ট ঘুরে দেখতে হলে দিতে হবে ২৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য। দিনব্যাপী প্যাকেজগুলো শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কটেজে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। রাত্রি যাপনে তা বেড়ে হবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে থাকে এদের আকর্ষণীয় সব অফার।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
ছুটি রিসোর্ট
স্যুট, কুটির, ভিলা, রেস্তোরাঁ, পুল ক্যাফে, কনভেনশন হল, সুইমিং পুল, জাকুজি, বিউটি শপ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, এবং তাঁবু খাটানোর জায়গা মিলে বেশ বিলাসবহুলই বলা চলে ছুটি রিসোর্টকে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত ২২টি স্যুট এবং কটেজে মোট ৬০ জন অতিথি থাকতে পারেন।
১ বছর আগে
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
গাজীপুরে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে ২ ছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরের পুবাইলের একটি রিসোর্টের পুকুরে ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার মেঘডুবি এলাকার সাবরিনা ড্রিম রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কের পুকুরে ডুবে ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. হামিম হক (১৭) ও একই গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে মো. নোমান (১৭)।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানায়, টঙ্গীর পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুর এলাকা থেকে ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু মিলে সাবরিনা ড্রিম রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কে ঘুরতে যায়। এক পর্যায়ে হামিম ও নোমানসহ অনেকেই পার্কের পুকুরে গোসলের জন্য নামে।
কিছু সময় পর অন্য বন্ধুরা হামিম ও নোমানকে দেখতে না পেয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়া হামিমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পুবাইলের করমতলা কমিউনিটি হাসপাতালে ও নোমানকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কিশোরের পুকুরে ডুবে মৃত্যু
রাণীনগরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নকে প্রকৃতি, বৃক্ষ ও পরিবেশের সঙ্গে একীভূত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ইট-কাঠ দিয়েই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের সেখানে গাছ এবং ছায়া রাখতে হবে।’
বুধবার সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট শহরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
ঢাকার কাছাকাছি মনোমুগ্ধকর রিসোর্টগুলো অতি ব্যস্ততায় পর্যুদস্ত নগরবাসীকে দিয়েছে হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায়। স্বল্প মেয়াদের ছুটি কাটাতে নিত্য বাড়তে থাকা শব্দ দূষণের শহর ছেড়ে তারা পাড়ি জমান প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে। প্রাত্যহিক জীবনের প্রায় সবগুলো সুবিধা থাকার ফলে প্রতিটি উৎসবেই এগুলোর চাহিদা বাড়ছে। সেদিক থেকে ঈদের দীর্ঘমেয়াদী ছুটি কাটানোর জন্য সেরা উপায় হতে পারে এই রিসোর্টগুলো। চলুন, জেনে নেয়া যাক এবারের পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের নিয়ে ঈদে ছুটি কাটানোর মতো ঢাকার কাছাকাছি কয়েকটি আকর্ষণীয় রিসোর্টের খোঁজ।
ঢাকার নিকটবর্তী চমৎকার রিসোর্টে কাটাতে পারেন ঈদের ছুটি
জল ও জঙ্গলের কাব্য, গাজীপুর
টঙ্গীর পুবাইলের প্রায় ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই রিসোর্টটিকে ঢেকে দেয়া হয়েছে বাঁশ, পাটখড়ির বেড়া, দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ও ছনের ছাউনি দিয়ে। রিসোর্টের নিজস্ব জমিতে ফলানো শাক-সবজি এবং বিলের মাছ রান্না করে পরিবেশন করা হয় দর্শনার্থীদের।
সারা দিন ঘুরে দেখতে খরচ করতে হবে ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। আর তাতে রাতে থাকা যোগ করলে মূল্য দাড়াবে ৪৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা। এখানে দর্শনার্থীদের নেয়া হয় গ্রুপে, আর সেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১০ জনের হতে হয়।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
এখানে আসতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে নরসিংদী কিংবা কালিগঞ্জের পথে পুবাইল কলেজ গেট আসতে হবে। পুবাইল কলেজ গেট থেকে এই রিসোর্টের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের গ্রামের চিনাশুখনিয়াতে অভিনয় শিল্পী-দম্পতি তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াত গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপর দাড়িয়ে আছে রেস্তোরাঁ, সুইমিংপুল, কনফারেন্স সেন্টার, এবং প্রাকৃতিক উপকরণে সুসজ্জিত ১১টি এসি কটেজ। সিনেমার শুটিং-এর জন্য প্রসিদ্ধ এই জায়গাটিতে সুব্যবস্থা আছে মুভি থিয়েটার, বাচ্চাদের খেলাধুলা, মাছ ধরা ও নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর।
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় এসে ক্যান্টনমেন্ট হয়ে কাপাসিয়ার দিকে যেতে হবে। এই পথে রাজাবাড়ী বাজারের দিকে প্রায় সাত কিলোমিটার যেয়ে, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ডান দিকে দেড় কিলোমিটার পরেই এই রিসোর্ট।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
ধরন ভেদে এর আবাসনগুলোতে খরচ পড়বে প্রায় ৬,৫০০ থেকে ২৮,০০০ টাকার মত। একদিনের প্যাকেজে সর্বনিম্ন ১০ জনের জন্য সর্বমোট খরচ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। গ্রুপ ছাড়া সাধারণ লোকজন ৫০০ টাকা টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকতে পারেন।
ঈদের ছুটিতে ২০২২-এর ২ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত কটেজ ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ ছাড় থাকছে।
সুবর্ণভূমি রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর ছুঁয়ে গড়ে উঠেছে এই রিসোর্টটি। এর সুইমিং পুলসহ নানা খেলাধুলার সরঞ্জাম ও দোলনার মত সুযোগ-সুবিধাগুলো অনেকটা ম্লান হয়ে যাবে এর প্রকৃতির স্নিগ্ধতার কাছে।
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
বিলাসবহুল রিসোর্টটির কটেজগুলোর সাধারণ খরচ ১১,০০০ থেকে ২৮,৫০০ টাকা। তবে ডে আউট প্যাকেজে রুম ভাড়া পড়ে সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা। আর রাতে থাকতে হলে ১১,৫০০ থেকে ১২,৫০০ টাকা গুণতে হয়।
যাত্রাবাড়ী পেরিয়ে মেঘনা ব্রিজের আগে হাতের ডানে গোলিতে নেমে চলে যেতে হবে ইসমানীর চর লোহার ব্রিজ। এই ব্রিজের নিচে বাইপাস সড়কটি নিয়ে যাবে সরাসরি সুবর্ণভূমি রিসোর্টে।
সারাহ রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজাবাড়িতে পরিবার নিয়ে সুন্দর সময় কাটানো আরও একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা এই সারাহ রিসোর্ট। প্রায় ২০০ বিঘার রিসোর্টটিতে তৈরি হয়েছে একদম স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে। বাংলো ও ভিউ টাওয়ার থেকে শুরু করে একটি শতভাগ নিখুঁত রিসোর্টের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবি আছে এখানে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
এই বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকতে হলে খরচ করতে হবে ৮,৫০০ থেকে ৬৬,০০০ টাকা। সারা বছর ব্যাপি ডে লং প্যাকেজের মূল্য থাকছে ৩০০০ টাকা।
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজাবাড়ী বাস স্টপ থেকে ডান দিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে সারাহ রিসোর্ট।
ছুটি রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের প্রখ্যাত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে নির্মিত এই রিসোর্টটির জায়গা প্রায় ৫০ বিঘা। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে শহুরে স্পোর্টস জোন, রেস্তোরাঁ, সুইমিংপুল, এমনকি ক্যাম্পিং-এর সুবিধা। এছাড়াও আছে ছনের তৈরী ঘর, ২১ টি কটেজ, মাছ ধরার ও নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা, সবজি ও ফুল-ফলের বাগান এবং গ্রামীণ পিঠার ব্যবস্থা। এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পাখির কলরব, বাঁদুড়, শিয়ালের হাঁক, জোনাকি আলো এবং ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ধরন ভেদে কটেজগুলোর ভাড়া ৮০০০ থেকে ১৭,০০০ টাকা। ৭-৮ জনের গ্রুপের জন্য ডে আউট প্যাকেজ জনপ্রতি ২,৫৩০ টাকা।
গাজীপুরের চৌরাস্তায় থেকে গাজীপুর ডিসি অফিস হয়ে তিন কিলোমিটার দূরে আমতলী বাজারের কাছেই ছুটি রিসোর্ট।
ড্রিম স্কয়ার, গাজীপুর
গাজীপুরের মাওনার অজহিরচালা গ্রামের প্রায় ১২০ বিঘা জমি নিয়ে তৈরি এই বিশালাকৃতির রিসোর্টটি। বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছে বিস্তীর্ণ এলাকা পরিণত হয়েছে সবুজের সমারোহে। এখানকার মুল আকর্ষণগুলো হলো ডেইরি ফার্ম, তেলের ঘানি, মৎস্য হ্যাচারি, কম্পোস্ট সার প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট এবং প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা প্রকান্ড কয়েকটি লেক। শীতকালে এখানকার সর্পিলাকারের তিনটি লেকে ভীড় করে হাজারো অতিথি পাখি।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
ক্যাটাগরি অনুযায়ী এখানে থাকার জন্য খরচ হবে ৬,০০০ থেকে ৫৪,০০০ টাকা।
গাজীপুরের মাওনা থেকে পশ্চিমের রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছানো যাবে ড্রিম স্কোয়ার রিসোর্টে।
মাওয়া রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলাস্থ কান্দিপাড়া গ্রামে পদ্মা পাড় ঘেষে গড়ে উঠেছে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্রটি। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই সারি সারি নারিকেল ও সুপারি গাছ ঘেড়া একটি মনোরম দীঘি স্বাগত জানাবে। পাড়ে বাধা নৌকা শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর হাতছানি দিবে। দীঘির এক পাড়ে আছে একটি ক্যাফেটেরিয়া আর অন্য দিকে রয়েছে ১৮ টি সারিবদ্ধ কটেজ। সেই কটেজগুলোতে যাওয়ার জন্য আছে আবার রঙিন দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
ক্যাটাগরি ভেদে কটেজগুলোর ভাড়া ১৫০০ থেকে ১২,০০০ টাকা। এছাড়া শুধু দিনের অর্ধেক অংশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য ৩০ টাকা টিকেট কেটে ঢোকা যায়।
অঙ্গনা রিসোর্ট, গাজীপুর
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সূর্যনারায়ণপুর গ্রামটি অবস্থিত গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ এই গ্রামেই গড়ে তুলেছেন অঙ্গনা নামের রিসোর্টটি। প্রায় ১৮ বিঘা জমি সাজানো হয়েছে মাটির ঘর, বাগান, পার্ক, সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন কোট, লেক, মসজিদ, ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাংলো এবং দুটি খেলার মাঠ দিয়ে।
রিসোর্টটির কটেজের একদিনের জন্য রুম প্রতি ভাড়া ৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠান বা পিকনিকের জন্য ভাড়া দিতে হয় ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন মহামায়া, উপভোগ করুন প্রকৃতির সৌন্দর্য
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের এমপি চেকপোস্ট থেকে প্রায় সাত কিলোমিটারের পথ অঙ্গনা রিসোর্ট।
রিভেরি হলিডে রিসোর্ট, গাজীপুর
মোটামুটি বাজেটের রিসোর্ট হিসেবে গাজীপুরের সালনার এই রিসোর্টটি একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
লেকে বুনো হাঁসের জলকেলি দেখতে দেখতে পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা হতে পারে। অথবা বড় বড় খেজুর ও আমগাছের ছায়ায় সবুজ বেঞ্চগুলোতে বা ঘাসে বসে উদাস সময় কাটিয়ে দেয়া যেতে পারে। প্রতিটা মুহুর্তই পাথেয় হয়ে থাকবে সারা জীবনের জন্য।
আরও পড়ুন: দেশে অবকাশে থাকার শীর্ষ ৩ জায়গা
এখানকার বাংলোর রুম গুলোতে থাকতে খরচ হবে ক্যাটাগরি ভেদে ৪০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে শিমুলতলী সড়ক ধরে সালনা পৌছে বামে দুই কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে রিভেরি হলিডে রিসোর্ট।
জলেশ্বরী রিসোর্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরস্থ ফাউগান নামক এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে জলেশ্বরী রিসোর্ট। সবুজের গালিচার মাঝে এখানে বানানো হয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট, বিশাল লেক ও খেলার মাঠ।
ডে লং প্যাকেজের খরচ ক্যাটাগরি ভেদে ৫,০০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা। রাতে থাকার প্যাকেজে খরচ হবে ৭০০০ থেকে ৮৫০০ টাকা। কমপক্ষে ১০ জনের গ্রুপের জন্য নির্ধারিত প্যাকেজ হচ্ছে জনপ্রতি ১,৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের কোথায়, কীভাবে যাবেন?
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা পার হয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজার থেকে ফাউগান বাজার পেরিয়ে কিছুটা সামনেই জলেশ্বরী রিসোর্ট।
পরিশিষ্ট
ঢাকার কাছাকাছি এই ১০টি রিসোর্টে রয়েছে গ্রামীণ পরিবেশ এবং শহুরে সুযোগ সুবিধা। পরিবার, পরিজন, আত্মীয় বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসা স্মরণীয় করে রাখতে পারে ঈদের ছুটিকে। শুধু দারুণ কিছু মুহুর্তের অবতারণা করবে তা নয়; ছুটির পর কর্মজীবনে ফিরে যেতে নব উদ্যম সঞ্চার করবে শরীর ও মন জুড়ে। রিসোর্টগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে নিজের বাসায় থাকার মত অভিজ্ঞতা ও শতভাগ নিরাপত্তার সুবিধা। তাই দলবেধে বনভোজন ও রোমাঞ্চপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের পাশাপাশি পরিবার নিয়ে বিনোদন সন্ধানী মানুষগুলোরও প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে এই দর্শনীয় স্থানগুলো।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
২ বছর আগে
কক্সবাজারে রিসোর্ট থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল এলাকার কটেজ জোনের সিকদার রিসোর্ট থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই রিসোর্টের ১০৮ নং কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
নিহত মোহাম্মদ ফয়সাল ওরফে হৃদয় (২১) কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিডিআরের সাবেক সুবেদার আলী আকবরের ছেলে। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গীচরে মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের বরাত দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, বুধবার সকালে কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের সিকদার রিসোর্টে কক্ষ ভাড়া নেয় হৃদয়। বৃহস্পতিবার সকালেও নাস্তা করতে দেখেছে রিসোর্টের লোকজন। কিন্তু দুপুরে বের না হওয়ায় অনেক চেষ্টা করেও দরজা খোলাতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে হৃদয়ের লাশ ঝুলছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩/৪ মাস আগে তাঁর স্ত্রীও আত্মহত্যা করেছেন। কোন একটা বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া হয়। ওই বিষয়ে তার মাকে ক্ষুদে বার্তাও পাঠিয়েছিলেন হৃদয়। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই পর্যটকের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তবে পা মাটির সঙ্গে লাগোয়া। মৃত্যুর পর পুলিশকে খবর দেয়নি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে আসলে সিকদার রিসোর্টের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। এ জন্য মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সিকদার রিসোর্টের মালিক হামিদ জানান, এ ঘটনায় রিসোর্টের কেউ জড়িত নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সব বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বনের ভেতর থেকে যুবকের পোড়া লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে