নৃ-গোষ্ঠী
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে সরকার কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশেও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে নিয়ামতপুরের শিবপুরে ত্রিশুল কার্যালয়ে 'ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশ ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায়' প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নানা উৎসব আর আন্দোলন নেতৃত্ব দান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য। সেই নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই ত্রিশূলের যাত্রা। ত্রিশূল সে কাজটি ভালোভাবেই করছে। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নৃ-গোষ্ঠীর অনেকেই অংশ নিয়েছে। তারা সমাজের মূল স্রোত থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে এটা সত্য, তবে নতুন প্রজন্মের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এখন এগিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
মানবতার সেবা করতেই ত্রিশূলের যাত্রা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তারা মানবতার সেবায় অনেক ভালো কাজে এগিয়ে এসেছে। শীতকালে শীতার্তকে শীতবস্ত্র প্রদান, করোনাকালে মাস্ক বিতরণের মতো মানবিক কাজে তাদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য বলেও উল্লেখ।
ত্রিশূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক।
এছাড়াও রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়া মারিয়া পেরেরা, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহম্মদ, পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান চৌধুরী, নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসরাত জেরিন মিনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদের দল: খাদ্যমন্ত্রী
মদিনা সনদ আমাদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষককে সার পৌঁছে দিচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারা বিশ্বে সারের দাম বাড়লেও সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষককে সার পৌঁছে দিচ্ছে। এদেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকের কাছে নিয়ে গেছেন। এ কারণে জমি কমলেও কৃষকের উৎপাদন বেড়েছে।
রবিবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের দেয়া প্রণোদনার বীজ ও সার আপনাদের কাছে আমানত স্বরূপ। এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন।’
আরও পড়ুন: ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রকৃত কৃষকের হাতে প্রণোদনা পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষক নন কিংবা চাষের জমি নেই এমন কেউ যেন প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হন তা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের উফশী আউশ চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য (২০২১-২০২২ অর্থ বছরে) পোরশা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এক হাজার ১০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ৪৭ জন নারীর মাঝে চার লাখ ৮৯ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন তিনি।
পরে খাদ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাস্তবায়নাধীন সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় ৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করেন এবং ২১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
কয়রায় নৃ-গোষ্ঠীর নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ: আটক ৬
খুলনার কয়রায় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর এক নারী (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার নলপাড়া গ্রামে এ ঘটনায় সোমবার তাদের আটক করা হয়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন জানান, রবিবার মধ্যরাতে তিনজন দুর্বৃত্ত ওই নারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
ভুক্তভোগী নারী এক সন্তানের জননী এবং তার স্বামী ইটভাটায় কাজের জন্য বাড়ির বাইরে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ছয়জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ধর্ষণচেষ্টার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের পর প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’
২ বছর আগে
সুষ্ঠ সংস্কৃতি চর্চায় ভূমিকা রাখবে নৃ-গোষ্ঠীর ‘কারাম উৎসব’: খাদ্যমন্ত্রী
নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে সমাজের মূল স্রোতে আনতে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নৃ-গোষ্ঠীর নেতাদের শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেও ভূমিকা রাখতে হবে। কারাম উৎসব ভাতৃত্ববোধ তৈরি ও সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চায় ভূমিকা রাখবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দন নগর ইউনিয়নের বুধুড়িয়ার লক্ষীডাঙ্গায় 'নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে একাত্তরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়। তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য যোগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতির বিকাশ ও লালনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে এখানকার নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ তরুণীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক দল গঠন করা হয়েছে।’ এসময় এ অঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর: খাদ্যমন্ত্রী
চন্দন নগর ইউনিয়ন আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিশ্ব মিত্র মারডির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, নিয়ামতপুর আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিষদ মনি টপ্প্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং চন্দন নগর ইউনিয়নের সভাপতি বদিউজ্জামান।
দিনব্যাপী কারাম উৎসবে ১০টি দল অংশ নেয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওঁরাও সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব কারাম। ওঁরাওদের গ্রামে গ্রামে কারাম বৃক্ষের (খিলকদম) ডাল পূজাকে কেন্দ্র করে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
৩ বছর আগে