বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী
কোভিড টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কার্যকরভাবে বিশ্ব্যাপী টিকা দেয়ার জন্য কোভিড-১৯ টিকাগুলোকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার। সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দ্যা প্যানডেমিক এন্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্মেলনের আহ্বান করেছেন।
পড়ুন: সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ তিন দফা পন্থা অবলম্বন করেছে। সেগুলো হলো পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সম্পদ বরাদ্দ করে জীবন বাঁচানো, নাগরিকদের জীবন সুরক্ষায় বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন উপকারভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে