কঠোর সমালোচনা
পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান মাসে অসাধুভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মসজিদগুলোর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস আসছে। আমরা জানি, রমজানের সময় কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।’
শেখ হাসিনা বলেন, রমজান এমন একটি মাস যা সংযম ও কৃচ্ছতাকে উৎসাহিত করে এবং প্রত্যেককে অবশ্যই ধর্মীয় কার্যক্রম ও আধ্যাত্মিকতা নিশ্চিত ও সহজতর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাসে এই মুনাফালোভীরা দাম বাড়ায় এবং জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষ কার্ড বিতরণ করেছে। পবিত্র রমজানের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত এক কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেবে সরকার। যারা কাজের যোগ্য নন তারা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। আমরা প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে জনগণকে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তবানদের রমজানে অভাবগ্রস্তদের প্রতি আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
কেউ যাতে খাদ্যে ভেজাল, মজুদ, কালোবাজারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের কঠোর সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে বসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক বিদেশে অবস্থান করে দেশের সমালোচনা করে এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করেছি, এখন তাদের লক্ষ হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।’
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলে অভিহিত করছে। আমার প্রশ্ন হলো কীভাবে তারা এই শব্দগুলো উচ্চারণ করার সুযোগ পায় (সরকারের সমালোচনা)? আমরা বাংলাদেশকে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলেছি বলে তারা এটা বলার সুযোগ পেয়েছে।’
বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে সরকারের সমালোচনাকারীরা অর্থগ্রহণ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তারা নীতিবান হয় এবং তাদের কোন আদর্শ থাকে, তাহলে তারা আমাদের তৈরি করা ডিজিটাল সিস্টেমগুলো কেন ব্যবহার করে?।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী
সরকার প্রধান বলেন, হাইকোর্ট জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে কারণ তারা সামরিক আইন জারি করে তাদের সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং তার ছেলে (তারেক রহমান) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এমনকি তাদের দুর্নীতির তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) প্রকাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে এত বেশি অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে যে তারা একজন এফবিআই লোককে নিয়োগ করেছিল যা পরে এফবিআই প্রকাশ করে।’
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের শক্তি এবং সাহস থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপির শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, কিন্তু সব রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচন বর্জন করে এবং জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। যেহেতু জনগণ তাদের ভোট দেয়নি, তাই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
৩ বছর আগে