মানুষের ভাগ্য
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গত ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় চলনবিল অঞ্চলের মানুষের স্লোগান ছিল ‘শুকনায় পাও (পা) আর বর্ষায় নাও (নৌকা)।’ এখন আর সেই চলনবিল নেই।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
শনিবার (১৫ জুন) সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের সাতপুকুড়িয়া এলাকায় মুজিব কেল্লার ভিত্তি স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, চলনবিল অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তৈরি হয়েছে পাকা সড়ক। গভীর বিল এলাকাতেও তৈরি করা হয়েছে বন্যা উপযোগী কমিউনিটি ক্লিনিক।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন সহজে ফসল পরিবহণ করতে পারে। গ্রাম থেকে ফসল বিক্রি করতে পারে।
এজন্য তিনি যেকোনো অপশক্তির দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে, আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখতে বিলাঞ্চলের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়োতনের তিনতলা মুজিব কেল্লাটি নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এই কেল্লার মাধ্যমে বন্যাসহ দুর্যোগকালীন চলনবিলের ৮১৫ জন মানুষ ও ১ হাজার ৬০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
এদিকে কেল্লার দুই হাজার বর্গফুট কমিউনিটি স্পেসে বন্যার সময় হাট বাজার বসতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৬ মাস আগে
দেশ বিরোধী সক্রিয় অপশক্তিগুলোর ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অসামান্য যাত্রা বন্ধ করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন,‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত তার বর্তমান সরকারের তৃতীয় বার্ষিকী এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, ‘মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান।’
দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।’
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক অগ্রগতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জনগণ তার ওপর আস্থা রাখায় এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের উপর আস্থা রাখার ফলে। পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এজন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সকল কূপমণ্ডুকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
৩ লাখ মানুষের ভাগ্য পাল্টে যাবে ৪ কিলোমিটার রাস্তায়
২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই উপজেলায় যোগাযোগের তেমন পরির্বতন হয়নি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে গেলেও নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া গ্রামটি হাওরবেস্টিত এলাকা হওয়ায় এখনো উন্নয়নবঞ্চিত রয়ে গেছে। আর এই গ্রামটির উন্নয়নে বদলে যেতে পারে অবহেলিত পূর্বাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের তিন লাখ সাধারণ মানুষের ভাগ্য।
তবে ইতোমধ্যে স্থানীয় সাংসদ মো. এবাদুল করিম বুলবুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এশিয়ান হাইওয়ে নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা সড়কের কাজ। চলমান রয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে নবীনগর টু আশুগঞ্জ রাস্তার কাজ। রাস্তা দুটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে নবীনগরে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিল্পব ঘটবে।
এদিকে মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তা আর ১৫০ মিটার করে দুটি সেতু নির্মাণ করা হলে নবীনগর টু আশুগঞ্জ রাস্তার সাথে যুক্ত হলে অবহেলিত পূর্বাঞ্চলের ৬টি ইউয়নিয়নের তিন লাখ মানুষের জীবন-যাপন পাল্টে যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ২০২০ -২১ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে টিআর-কাবিটার প্রকল্পের মাধ্যমে নতুনভাবে হাওরের মাঝ দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা বিদ্যাকুট থেকে উরখুলিয়া পর্যন্ত নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও উরখুলিয়া গ্রামের দুপাশে একই অর্থে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়ে়ছে।
৬টি ইউনিয়নসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উড়খুলিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং একটি ১৫০ মিটার সেতু এবং উড়খুলিয়ার পশ্চিমে ঈদগাঁহের কাছে দ্বিতীয় আরেকটি ১৫০ মিটার সেতু নির্মাণ করে মাত্র দুই কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ হলে বদলে যাবে এই এলাকার দৃশ্যপট। তাছাড়া উড়খুলিয়া চান্দের চর থেকে ১৫০ মিটার সেতু থেকে উত্তর-দক্ষিণে মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তা সংযোগ করে দিলে বিকল্প রাস্তা হিসেবে মেরকুটা টু বগডহড়ের জিসি সড়ক নির্মাণের ফলে যোগাযোগের এক নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
পড়ুন: রাজগঞ্জের নারীদের তৈরি হস্তশিল্প যাচ্ছে ইউরোপে
৩ বছর আগে