হাওরবাসী
সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জের আকাশে রোদের দেখা মিলেছে। তবে মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা হয়ে নামে বৃষ্টি। সপ্তাহখানেক টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বাড়লেও রোদের দেখা মেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। মানুষের মনে ফিরছে স্বস্তি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, আজ বুধবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
গতকাল একই সময়ে এখানে পানি ছিল বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১০৬ মিলিমিটার। নদ-নদীর পানি কমলেও জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। টানা ভারী বর্ষণে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকের মধ্যে গত বছরের মতো ভয়াবহ বন্যা হবে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। বন্যার আতঙ্কে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মানুষজন।
এদিকে ধীরে ধীরে পানি কমায় আতংক অনেকটাই কেটে গেছে।
জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানান, বন্যা পরিস্থিতির আশংকা থাকায় আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
বিভিন্ন গ্রামে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এখন আকাশে রোদের দেখা মেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষজনের মধ্যে ভীতি আর নেই।
বলা যায় এক রকম স্বস্তিতেই আছেন। তারপরেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।
তিনি আরও বলেন, হাওর-নদী এখন পানিতে পরিপূর্ণ। তাই ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢল নামলে পানি আবারও বাড়তে পারে। তবে বড় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়লেও সুনামগঞ্জের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
যদি এ রকম পরিস্থিতি হয়, সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
আরও পড়ুন: ভারি বর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা
সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
১ বছর আগে
গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার যেখানে যা প্রয়োজন সব করছে। সকল প্রকার উন্নয়ন দিয়ে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে।
রবিবার সকাল ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দরিদ্র পরিবারের মাঝে গভীর নলকূপ ও টুইন-পিট ল্যাট্রিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সরকার। এই সরকারের আমলে দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে তা ইতিহাসযোগ্য। এর আগে কোন সরকার এত উন্নয়ন করতে পারেনি। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রামে গঞ্জে রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্টে ভরপুর যা একসময় মানুষ কল্পনাই করতে পারেনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের মানুষকে ভালোবাসেন। তিনি আমাকে সবসময়ই জিজ্ঞেস করেন সুনামগঞ্জের মানুষ সরকারের সুবিধা পাচ্ছে কিনা। তাদের উন্নয়ন হচ্ছে কিনা। হাওরবাসীর প্রতি তাঁর দরদ বেশী। হাওরবাসীর কথা চিন্তা করেই তিনি টিউবওয়েল, স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাটিন দিয়েছেন। এখানে মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। একসময় এ অঞ্চলের মানুষ এসব চিন্তাই করত না।
আরও পড়ুন: সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীবান্ধব, তিনি নারীদের খুব সম্মান করেন। তিনি হতদরিদ্র অসহায় নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ আপনাদের মাঝে যে টিউবওয়েল ও স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন বিতরণ করা হচ্ছে তাঁর যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। টিউবওয়েলের পানি শুধু পাঁচ জনের নয়। আশেপাশের মানুষদের দিবেন, বাধা দিবেন না। কারণ এটা আল্লাহর নিয়ামত। নিরাপদ পানির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিনও বিতরণ করছে সরকার। শুধু টিউবওয়েল নয়, কয়েকদিন পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানি পৌঁছে দেয়া হবে। আর আরেকটা কথা, নিজেদের মধ্যে হানাহানি করবেন না। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। আপনাদের কোন চিন্তা নেই, সরকার সবসময়ই আপনাদের পাশে আছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন- উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবুল হোসেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের পক্ষে বক্তব্য দেন- জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া। এসময় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমিনসহ উপকারভোগী ও উপজেলা আ.লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছু লোক মনেপ্রাণে বাংলাদেশের ভালো চায় না: পরিকল্পনামন্ত্রী
৩ বছর আগে