সাংস্কৃতিক
ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র
ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ছয় বছরের বিরতিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
উল্লেখ্য, ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়।
তবে ২০২২ সালে পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দিলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন।
এছাড়াও নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, উপস্থিত মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
এখানে উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সমর্থন: মন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও মেক্সিকো সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শুক্রবার মেক্সিকো সিটির লস পিনোসে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও মেক্সিকো সরকারের সংস্কৃতি সচিব আলেহান্দ্রা ফ্রাউস্টো গেরেরো স্বাক্ষর করেন।
শনিবার দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেক্সিকো সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. পাবলো রাফায়েল দেলা মাদ্রিদ, আইন উপদেষ্টা এরেন্দিরা ক্রজ ভিজ়েগাস এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং কাউন্সেলর শাহানাজ আখতার রানু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ-মেক্সিকো
প্রসঙ্গত, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য নির্ধারিত গ্রন্থাগার, জাদুঘর, আর্কাইভ এবং বিভাগগুলোর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে চিত্রশিল্পী ও কারিগর, শিল্প সমালোচক, লোকশিল্প বিশেষজ্ঞ, লোককাহিনী ও অডিওভিজ্যুয়াল প্রযোজক বিনিময় এবং শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন সঙ্গীত, ভিজ্যুয়াল আর্ট, সিনেমাটোগ্রাফি সংরক্ষণে এবং পুনরুদ্ধারে এই সমঝোতা স্মারক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য, সাহিত্যের অনুবাদ, পারফরমিং, ভিজ্যুয়াল ও সাহিত্যে সহযোগিতার পাশাপাশি উভয় দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উৎসব, বইমেলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একে অপরের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত বাংলাদেশ-মেক্সিকো
তাছাড়া এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২ বছর আগে
স্বাধীনতার র্সুবণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম, রুপা ফরহাদ, শিবু রায়, আকরামুল ইসলাম, খায়রুল আনাম শাকিল, নবীব কিশোর গৌতম ও মনোরঞ্জন ঘোষাল, সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পী মাইনুল আহসান, ঊর্বী সোম, এম এ মোমিন, আশা খন্দকার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী রোকসানা আকতার রূপসা ও শারমিন আক্তার শাওন সংগীত পরিবেশন করবেন। কবিতা আবৃত্তি করবেন কবি নরুল হুদা, ঝর্ণা সরকার, আসলাম সানী, ইকবাল খোরশেদ। আরিফুল ইসলাম অর্ণবের পরিচালিত নৃত্যদল আর্টিস্ট ট্রি; মেহরাজ হক তুষার পরিচালিত রিদম ডান্স গ্রুপ; সুইটি দাস চৌধুরী পরিচালিত দিক্ষা নৃত্যদল, সাহিদা রহমান সুরভি পরিচালিত নৃত্যদল বহিৃশিখা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনায় ২য় দফায় ১৩৫১ ভূমিহীন ঘর পাচ্ছেন
২ বছর আগে
মেক্সিকোয় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
স্পেনের ঔপনিবেশিক শাসন হতে মেক্সিকোর স্বাধীনতা লাভের ২০০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৪ সদস্যের একটি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল মেক্সিকো পৌঁছেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেক্সিকোর কর্ডোবা সিটিতে সোমবার মিউনিসিপ্যাল প্রেসিডেন্ট (মেয়র) লেটিসিয়া লোপেজ ল্যান্ডেরোস তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ৮ দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে অনলাইন প্রর্দশনী
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. ললিতা রানী বর্মন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান, জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন, কণ্ঠশিল্পী অনিমা মুক্তি গোমেজ, নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নিপা, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, আবৃত্তি মণ্ডল, অরুণিমা দত্ত, মিউজিশিয়ান (বাঁশি) মো. মনিরুজ্জামান, মিউজিশিয়ান (কি-বোর্ড) জাকির হোসেন সাগর, মিউজিশিয়ান (অক্টোপ্যাড) অবিনাশ চন্দ্র মল্লিক ও মিউজিশিয়ান (তবলা) অভিজিৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: যশোরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বুলবুল বৈরাগী মারা গেছেন
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়ে মঙ্গলবার সকালে মেক্সিকোর কর্ডোবা শহরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রথম শো অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রাঙিয়ে দিয়ে যাও' গানের সাথে নৃত্য, পাপেট নৃত্য, কত্থক ও মণিপুরী শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশ দলের মনোমুগ্ধকর ও বর্ণিল পরিবেশনা মেক্সিকোর সাধারণ দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। আগামীকাল বুধবার একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে `জলসিঁড়ির’ ৬ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক মেলা
এ সফরের মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতিম দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে এবং মেক্সিকোর সাধারণ জনগণ হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ সম্পর্কে জানতে পারবে।
৩ বছর আগে