রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি পরিচালনা করার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন।
নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আশরাফ।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা- ২০০৮ এর ১৪ নম্বর বিধিসহ অন্য আইন লঙ্ঘন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ওই তিন শিক্ষক গত ৩ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেছেন বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: কারণ দর্শানোর নোটিশের সংখ্যা প্রায় ৫০০
১১ মাস আগে
রবির শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন সাময়িক বরখাস্ত
১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার সোহরাব আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন ওই বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে লাঞ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় সিন্ডিকেটের ১৬ তম বিশেষ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ ঘটনায় উপস্থিত সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পাচঁ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে কিনা সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ভারপ্রাপ্ত ভিসি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু মো.দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব-৩ সৈয়দা নওয়ারা জাহান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, প্রবিধি, নীতিমালা এবং সরকারি কর্মচারি ( শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিস্কৃত ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ শিক্ষার্থীর ৩ জনের নিজে এবং বাকীদের চুল অন্যদের দিয়ে কেটে লাঞ্চিত করেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারি প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। চুল কেটে দেয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে পরদিন সোমবার রাতে নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এ্যন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও সকল পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সিন্ডিকেটের সদস্য ও প্রক্টর কমিটির সদস্য পদ থেকে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পদত্যাগে বাধ্য হন। তবে তার স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও ওই শিক্ষিকার স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: মোদী বিরোধী বিক্ষোভ: ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনের জামিন
৩ বছর আগে
চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদের সামনে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া এবং আত্মঘাতী হওয়ার মতো এ ধরনের আইনবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এবং আইনবহির্ভূত শাস্তির শিকার ১৪ শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া দেশের যেকোনো শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনমূলক ঘটনা প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুন, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। এর আগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাউছার ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যা শুধু বেআইনি নয় শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননাকর। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তাই আমরা রিট করেছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এ ঘটনায় পাচঁ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় অন্তত ১৩/১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। চুল কেটে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের দীর্ঘ বৈঠক হয় এবং প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়া হয়। তবে ওই শিক্ষক ঘটনাটি সাজানো বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন।
৩ বছর আগে
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভিসি (চলতি দায়িত্বে) আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও সকল পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের বৈঠক হয়। দীর্ঘ বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ভবন খুলে দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: এলওসির আওতায় শিগগিরই বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেললাইন
৩ বছর আগে