পণ্য আমদানি
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি নেই, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে ড. মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো ঘাটতি নেই, যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন ‘
বাজারে চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. মনসুর ব্যবসায়ীদের দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি পরামর্শ দেন, 'এলসি খুলুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন এবং বাজারের চাহিদা মেটান।’
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তার বক্তব্যে একটি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। আস্থা প্রকাশ করেন যে, বাজার শক্তি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, 'আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, তবে পরিস্থিতি শান্ত হতে সময় লাগবে।’
ড. মনসুর রেশনিং কর্মসূচি সম্প্রসারণসহ মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ঘোষণা করেন সরকার শিগগিরই ১ কোটি সুবিধাভোগী পরিবারের প্রত্যেকের জন্য বর্তমান পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) উদ্যোগের জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’
মুদ্রাস্ফীতিকে সরাসরি মোকাবিলা করে ড. মনসুর জোর দেন, মুদ্রাস্ফীতি ‘শেষ পর্যন্ত একটি আর্থিক ঘটনা’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর মুদ্রানীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। তিনি অতিরিক্ত বাজার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং অতীতের ঘটনাগুলোও স্মরণ করিয়ে দেন। যেখানে কঠোর পদক্ষেপের ফলে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করি তবে পণ্যগুলো বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ১/১১-এর সময়কালে এবং সাম্প্রতিক ডিম সংকটের সময়ও আমরা তা দেখেছি। বরং এর পরিবর্তে, তিনি ‘সহনশীল ও কার্যকর পর্যবেক্ষণের’ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সংলাপের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছি, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ নয়।’
বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি পরিমিত পদ্ধতির উপর জোর দেন, আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করেন ড. মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির লক্ষ্য রাখি। এ প্রেক্ষাপটে হঠকারী সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে - এটি কেবল সময়ের প্রয়োজন।’
সরবরাহ বাড়ানোর সরকারি প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত স্বস্থি আনতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
১ মাস আগে
টিসিবি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ডিপিএমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) পরিপালন থেকে অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার(১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিদেশ থেকে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হওয়ায় অর্থমন্ত্রী অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, অনুমোদনের পর রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে যে কোনও প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বা সংগ্রহ করতে পারে।
সরাসরি কোনো পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিসিবিকে বাধ্যতামূলকভাবে পিপিআর অনুসরণ করতে হবে না। স্বল্প আয়ের মানুষরা খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) থেকে পণ্য কিনবেন। তাদের জন্য পণ্য সংগ্রহ করার জন্য টিসিবিকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে টিসিবিকে জরুরি ভিত্তিতে সরাসরি সংগ্রহ করতে হয়।
এদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) টিসিবির স্থানীয় সরবরাহকারী ইজ জেনারেল ট্রেডিং ও নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্টের কাছ থেকে ১০১ টাকা ৮৪ পয়সা কেজি দরে ১০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে ইজ ট্রেডিং ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং বাকি ৪ হাজার মেট্রিক টন নাবিল নাবা সরবরাহ করবে। এই পণ্যগুলো ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
৭ মাস আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েক শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রায় ১২ লাখ টনের বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে। এটি দেশের রমজানের মোট ভোজ্যপণ্য চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ। এসব পণ্যের মধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, গম, ডাল ও ছোলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দেশের তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস আলম গ্রুপ। এ বছর এ পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এস. আলম গ্রুপ দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রমজানে বিপুল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন প্রায়। এরমধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টন চিনি। যা রমজানের চাহিদার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২২ লাখ টনের মধ্যে রমজানে সারাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৮৬ শতাংশ।
দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার টন গম। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ১ লাখ ৭৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৩৪ শতাংশ।
দেশে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন, যার মাসিক চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ টন। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার ডাল আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫০ শতাংশ।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর মধ্যে রমজানেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার টন ছোলা আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫৫ শতাংশ।
এসব উদ্যোগ রমজানে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের নাগালে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বরাবরের মতো এবারও আমরা রমজানের মোট চাহিদার সিংহভাগ পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পণ্যের কিছু বর্তমানে মজুদ এবং বেশ কিছু চালান খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় সক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকারের লক্ষ্যপূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চাহিদার বিপরীতে রমজানে ঘাটতি হলে আরো পণ্য আমদানির পদক্ষেপ নেব আমরা।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
১১ মাস আগে
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে সমঝোতার ফলে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার পর সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড ফের শুরু হয়েছে এবং পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশি হিলি বন্দরে প্রবেশ করেছে তারা।
এদিকে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু দাবি সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এছাড়া আকস্মিক ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার (৪ জুন) সারাদিন এবং সোমবার (৫ জুন) বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
জানা যায়, ধর্মঘট অবসানের লক্ষ্যে রবিবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের কাছে চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতীয় রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এ ব্যাপারে সোমবার দুপুর দেড়টায় হিলি সীমান্তের শুন্যরেখায় আলোচনায় বসেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া বিকাল ৫ টায় সমঝোতায় উপনীত হন তারা।
বাংলাদেশের হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, আলোচনায় ভারতীয় ট্রাক চালকদের কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছেন তারা। বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসা চালকদের পণ্য খালাস শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্দরে অবস্থানকালীন সময়ে পানীয় জলের, থাকা খাওয়া বিশ্রামের সুব্যবস্হাসহ বন্দরের অভ্যন্তরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কেনাকাটার সুবিধার্থে দোকানের ব্যবস্হা রাখার দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ২ ঘন্টার জন্য বন্দরের বাইরে লোকালয়ে অবাধে চলাচলের অনুমতি চাইছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
এ বিষয়টি সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
আলোচনায় বাংলাদেশের হিলির আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ এবং হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটনসহ অন্যান্যারা উপস্হিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতীয় হিলির এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক জোয়ারদার, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মণ্ডল, ভারতীয় ট্রাকচালক সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্টরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
সমঝোতার উপনীত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক ভাবে সোয়া ৫ টার দিকে পণ্যবাহী একাধিক ট্রাক হিলির বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে যথারীতি পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরবে বলে আশা করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
১ বছর আগে
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, সংশ্লিষ্টদের নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথর আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আনা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)।
মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির অভিযোগে এই ধুলা কাস্টমসের ছাড়পত্র পাচ্ছে না। এ কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই হাজার ৭০০ টন ডাস্ট পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে জানান, এতে তাদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।
১৩ নভেম্বর রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণ পাথর আমদানি করা হয়। এরপর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কয়েক দফায় মোট দুই হাজার ৭০০ টন আমদানি করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদীর পাড়ে জব্দকৃত বালু-পাথর চুরি: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য এই প্রতিষ্ঠান পাথর আমদানি করেছে।
আমদানি করা চূর্ণ পাথর প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ এই ডাস্ট বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায়। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাধে যত বিপত্তি।
কাস্টমস প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানায়। পরে পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। এর ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনই মাশুল বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান। এজন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে।
তদন্ত শেষে ডাস্ট হিসেবে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোয়ারাবাজারে শুল্কস্টেশন দিয়ে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও একই চিঠি দেয়া হয়েছে।
সিএন্ডএফ-এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি
২ বছর আগে
চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম, বন্দরের পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাই গত চার মাসে রেলপথে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিন টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ আট কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, মেশিনারিজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ৪ জুন থেকে রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে চার থেকে পাঁচটি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল ও প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের চার মাসে আট কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সাথে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।
৩ বছর আগে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুই চালান মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। দু’জন আমদানিকারকের ৪৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট মর্টারের দুটি চালান কলকাতা থেকে ছেড়ে ওই দিন রাতে বেনাপোল বন্দরে আনলোড করা হয় বলে কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে।
বুধবার পণ্য চালানটি খালাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসবে।
বন্দর কৃর্তপক্ষ জানান, দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় সড়ক পথের পরিবর্তে রেল পথে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক ছাড়াও এ পথে আরও দুটি পার্সেল ভ্যান ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিকের ইন্দো-বাংলা ট্রেড ম্যানেজার অনুস্কর জানান, বাংলাদেশে প্রথম তারা রেল যোগে আমদানি পণ্য পরিবহন করছেন। রেলে ২০ কেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিমাণের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম তারা। পরিবহনে খরচও অনেক কম পড়বে। বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সপ্তাহে একদিন কলকাতা থেকে রেলযোগে পণ্য নিয়ে আসবেন তারা। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা বাড়লে সপ্তাহে সাত দিনই তারা পণ্য পরিবহন করবে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক পার্সেল ভ্যানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, রেলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে পার্সেল ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ও কম খরছে রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়বে। তবে বন্দরে সক্ষমতা বাড়ালে পার্সেল ভ্যানে আমদানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্র্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি পণ্য চালান আমদানি করতে ২০ দিন সময় লাগে। বেনাপোলের ওপারে বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এ সিন্ডিকেটের কাছে আমদানি বাণিজ্য জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কলকাতা থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ দিন পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা করে ক্ষতি গুনতে হয়। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি করতে না পারায় দেশের শিল্প-কলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রেলে পণ্য আমদানিতে দিনের দিন কলকাতা থেকে পার্সেল ভ্যান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে হঠাৎ করে জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রেলের পার্সেল ভ্যানে পণ্য আমদানি হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসবে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন রেলের পার্সেল ভ্যান আসতে পারছে না।
৩ বছর আগে