ক্লিনফিড
ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বুধবার থেকে ফের মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচার বাস্তবায়নে আগামীকাল বুধবার থেকে ফের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত চ্যানেল ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো হচ্ছে না, সেটির জন্য মোবাইল কোর্ট চালানো হবে। অন্যান্য শর্ত যদি কেউ না মানে, তাহলে মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি'র প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশেপাশের সব দেশেই এ আইন কার্যকর আছে। একটি মহল নানা অজুহাতে আইন কার্যকর করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল, সেগুলো হালে পানি পায়নি। আমরা এবার বদ্ধপরিকর আইন কার্যকর করতে। কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই: তথ্যমন্ত্রী
ক্লিনফিড দেয়া বিদেশি ২৪ চ্যানেল প্রচারে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম। আসলে ১৭টি নয় ২৪টি দেশি চ্যানেল। ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)' প্রতিনিধি মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের স্বার্থে আমরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকারের পক্ষ থেকে কোন চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই বলবৎ আছে। এমনকি নেপালের মতো দেশেও সেই আইন রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে এবং সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকা সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
পড়ুন: বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী জানান, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেয়া হচ্ছিল। সকল পক্ষের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে আমরা বৈঠক করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করব। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোকর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে। সবার সাথে আলোচনা করেই, আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেস্টা করা হয়েছে একটি মহল থেকে। আমি আশা করব তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকৌশলী, সাংবাদিক সবার স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ অবস্থান নেবে সেটি কাম্য নয়। সর্বোপরি দেশের অবস্থান নিলে সেটি কাম্য নয়।
এর আগে অ্যাটকো'র সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
পড়ুন: সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ক্লিনফিডকে স্বাগত জানালেন টেলিভিশন মালিকরা
বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিডকে স্বাগত জানিয়ে আইন প্রয়োগে সরকারকে সকলের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশের টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো)।
শনিবার সন্ধ্যায় এটকো'র ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ক্লিনফিডের বিধানটি ১৫ বছরের পুরনো। আরও অনেক আগেই এটি বাস্তবায়নের কথা। এখন সরকার সেটি করছে।
ক্লিনফিড এবং ডিজিটালাইজেশন ভারসাম্য এখাতের সকল অংশীজনের জন্যই সুফল বয়ে আনবে উল্লেখ করে একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু বলেন, আইনটিতে যেহেতু সবার স্বার্থ রক্ষা হবে, তাই একটু সময় লাগলেও আমাদের ধৈর্য্যধারণ করা উচিত।
তিনি বলেন, বিদেশি বিজ্ঞাপনের উপচে পড়া আধিক্য আক্ষরিক অর্থেই কমানো প্রয়োজন এবং আইন প্রয়োগের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে আমরা সহমত পোষণ করি।
সরকার কোন বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি, এখানকার পরিবেশক-অপারেটরেরাই ক্লিনফিড চালাতে না পেরে বন্ধ রেখেছে, জানান তিনি।
ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াবের ঐক্য পরিষদ অংশটি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান এটকো'র এই মুখপাত্র।
কোয়াবের বিক্ষোভে কোনো ফল হবে না, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে, বলেন মোজাম্মেল হক বাবু।
পড়ুন: ক্লিনফিড না চলায় দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: হাছান মাহমুদ
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষণা অনুসারে ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পয়লা অক্টোবর থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়েছে। যে বিদেশি চ্যানেলগুলোর ক্লিনফিড এদেশের পরিবেশকরা এখনো দেখাতে পারছে না, তারা সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, 'বহু আগে থেকে তাদেরকে বারবার আইন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশক, ক্যাবল অপারেটর, দেশি চ্যানেলগুলোর মালিকদেরসহ গত আগস্টে আবার বৈঠক করে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি, পরিবেশক-অপারেটররা করেছেন। আশা করি শিগগিরই তারা ক্লিনফিড সম্প্রচার করবেন।'
পড়ুন: বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ক্লিনফিড না চলায় দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: হাছান মাহমুদ
ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর প্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নী হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নী হয়। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।'
শুক্রবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আইয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইনানুসারে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেকারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাশ হলে, প্লাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো বাত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ সময় তিনি জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেন।
৩ বছর আগে