সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, পথচারীদের দুর্ভোগ
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের কাজ চলায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর নতুন বিআইডিসি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খানা খন্দে কারণে বর্ষায় মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে এবং কাদা মাটির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর এই কারণে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাময়িকভাবে সড়কটির বিভিন্ন বড় বড় গর্তগুলো ইটের টুকরো দিয়ে সংস্কার করলেও ভারি যানবহন চলাচলের সময়ে আবারও গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সড়কে চলাচলে প্রায় সময়ে ইজিবাইক, অটোরিকশসহ ছোট ছোট যানবহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
স্থানীয় বাসিন্দা ইমন মোল্লা জানান, খুলনার মধ্যে ব্যস্ততম একটি সড়ক হচ্ছে এই নতুন রাস্তা থেকে বিআইডিসি সড়ক। তবে বর্তমান সময়ে সড়কটির মধ্য খানে কাটা থাকায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এই বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক জুড়ে পিচলা কাদামক্ত হয়ে আছে। সড়কটি আগে ভালোই ছিল। তবে সড়কটি খুড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য পুরো সড়ক গর্তে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকমল আহসান বলেন, ‘এই বিআইডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। বাজার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাটকলসহ এখানে তিনটি তেলের ডিপো রয়েছে। যার কারণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্যাংক লড়ি ও বিভিন্ন যানবহন চলাচল করে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহের জন্য জ্বালানি তেলবহনকারী যান এই রুট ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাটকল শ্রমিকরা এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। যে কারণে সড়কটি সব সময়ে ব্যস্ত থাকে অথচ বর্তমানে সড়কটি অবস্থা খুবই বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ধুলো বালি উড়তে থাকে। আমরা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করারা জন্য মেয়রের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ (পিন্টু) বলেন, বিআইডিসি সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্ষার পানিতে যা করব, সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটু বর্ষা কমলে সাময়িকভাবে সংস্কার করা হবে। সড়কটি নতুনভাবে স্থায়ী সংস্কারের জন্য মেয়র খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো!
এ ব্যাপারে কেসিসির প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সড়কটি বেহাল ছিল তবে কিছুদিন আগে ইট দিয়ে রোলিং করেছি তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি। দ্রুত সংস্কার করার জন্য বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে নতুন দরপত্র করে একটি মডেল সড়ক তৈরি করা হবে।’
৩ বছর আগে