মুহিবুল্লাহ হত্যা
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ফতোয়াদাতা জকোরিয়া গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ফতোয়াদাতা এবং কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তার জকোরিয়া (৫৫) উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট এর ব্লক ডি/৮ এর বাসিন্দা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
এসপি নাইমুল জানান, জকোরিয়া ২০১৯ সালে ফতোয়া বিভাগের দায়িত্ব পান। ২০২০ সাল থেকে তিনি আরসার কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর সঙ্গে জকোরিয়ার বিরোধ ছিল। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্প এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হলে জকোরিয়া আত্মগোপনে চলে যান।
তিনি আরও জানান, জকোরিয়াকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের মদদদাতাদের শীর্ষ পরামর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জকোরিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
২ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পাঁচ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন, কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক গাজী সালাউদ্দিন বলেন, পাঁচ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দুদিনের মঞ্জুর করেছেন। আদেশের নথি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
এর আগে, সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এসময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে মো. ইলিয়াস নামে এক আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কক্সবাজার মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। রবিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা।
আসামি মো. ইলিয়াস উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এর রজক আলীর ছেলে।
ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার (৯ অক্টোবর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে মো. ইলিয়াসকে আদালতে নেয়া হয়। পরে কক্সবাজার মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
এর আগে রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে ইলিয়াসকে আটক করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান।
উল্লেখ্য,২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর তাদের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও উখিয়া থানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
আদালতে সোপর্দ করা দুজন হলেন উখিয়া কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম, রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ।
পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে শুক্রবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। এছাড়া উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্জুর মোর্শেদ বলেন, শওকত উল্লাহকে ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৩ বছর আগে