রিজার্ভ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর এডিবি বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
উভয় ঋণ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে অনুমোদিত হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে।
এটি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে স্বস্তি আনবে। যা আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসার অর্থ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের ঘাটতি মেটাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার কমে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ পদ্ধতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার কম রয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন। এসিইউ'র বিল পরিশোধের পর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, এসিইউ'র পাওনা আজ পরিশোধ করা হয়েছে। তবে পাওনা পরিশোধের রসিদ আগামীকাল (বুধবার) হবে।
এসিইউ একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
এসিইউ'র সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতি দুই মাসে আমদানি রপ্তানির পাওনা পরিশোধ করে থাকে। কিন্তু এখন শ্রীলঙ্কায় এসিইউ'র সদস্যপদ নেই। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
যদিও বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার, তবুও দেশটির সদস্যপদ এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আইএমএফ ঋণের একটি শর্ত ছিল যে গত জুন পর্যন্ত প্রকৃত (নিট) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে পারেনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রগতি, সাফল্য ও বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
আইএমএফ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারদরের লেনদেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বিবি আইএমএফকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু পূরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দু’টি ব্যর্থতা আছে - রিজার্ভ সংরক্ষণ সামান্য কম এবং রাজস্ব সংগ্রহ কম। তবে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে। মুদ্রার একটি বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হারও চালু করা হয়েছে। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মেজবাউল বলেন, ‘আমি আইএমএফের দেওয়া শর্তাবলি উল্লেখ করেছি যা অর্জন করা হয়েছে এবং যেগুলো অর্জিত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শিথীল হওয়ার পর থেকে আমদানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে পড়েছে এবং ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মার্কিন ডলার ব্যয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি আয় দেরিতে পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আরও গভীর হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসিইউ- কে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এরপরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আইএমএফ ঋণের শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের কাঙ্ক্ষিত রিজার্ভের জন্য এটি খুব কম।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ৭ বছর পর রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বাংলাদেশ ব্যাংক গণনা অনুযায়ী মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু রিজার্ভ গণনার সর্বজনীন স্বীকৃত সূত্র অনুসারে রবিবার রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২১ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রবিবার এসিইউর দায় পরিশোধের পর প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক অনুদান ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রায় যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ সাধারণত স্থিতিশীল থাকে না।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত পদ্ধতি মেনে নিয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী, বুধবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে আইএমএফ’র ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জুন মাসের মধ্যে বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) মডেল অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি সংস্কারে ভূমিকা রাখবে আইএমএফের ঋণ
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনোনীত ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে৷
তিনি বলেন, ‘এই নতুন প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে। এটি বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ কমাবে। যেখানে ব্যবসায়ীদের বিনিময় খরচেও কিছুটা সঞ্চয় হবে। মূলত, এই প্রক্রিয়াটি আমাদের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের নিশ্চিয়তা আনতে সাহায্য করবে,।’
মঙ্গলবার ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সূচনা উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত ভারতীয় ব্যাংকগুলো হলো-স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক। এবং মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো হলো সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড।
রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করার জন্য মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেককে মনোনীত ভারতীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাধ্যতামূলক একটি বিশেষ রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খুলতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উভয় পক্ষের সংকল্প ও ইচ্ছার কারণে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন গতি এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোভিড মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং এর মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। বর্তমান গ্লোবাল হেডওয়াইন্ড যা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে, তা আরেকটি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে।’
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের স্থিতিস্থাপকতার একটি প্রতীক যে আমরা এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক এবং আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগগুলোকে আবারও খাপ খাইয়ে নিচ্ছি।’
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং বাণিজ্য ও চেম্বার সংস্থার সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ এই যুগান্তকারী আয়োজনে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় রুপিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবং সেই রূপান্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশগুলোর মধ্যে একটি হলো আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক যোগাযোগ।’
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী পঞ্চম বৃহত্তম। গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
গত তিন বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে তা প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
ভারত, তার বৈচিত্র্যময় বাজার সহ এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়: হাইকমিশনার
‘মিলেট’ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে পারে: হাইকমিশনার
৭ বছর পর রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে নিয়মিত ডলার বিক্রির মধ্যে আমদানি দায় মেটাতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সবশেষ অর্থ পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
সোমবার দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে উল্লেখ করা উচিত যে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে একটি অপ্রচলিত গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে দেখানো হয়। তবে, আগামী মুদ্রানীতিতেই রিজার্ভ হিসাব করতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রিজার্ভের হিসাব বাংলাদেশ দুভাবে করছে। প্রথমত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। আরেকভাবে ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দেয়া হচ্ছে।
২০২১ সালে আইএমএফ প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেছিল যে এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বইতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের পরিমাণ দেখানো হয়েছে।
অথচ ৮ বিলিয়ন ডলারের সিংহভাগ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) বরাদ্দ- প্রকৃতপক্ষে যা ৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বৃহৎ ঋণ রয়েছে, যা ৫২৫ মিলিয়ন ইউরোতে দেওয়া হয়েছে এবং শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হয়েছে, স্পষ্টতই দেশটি এখন এ অর্থ ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
আরও পড়ুন: আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!
প্রায় প্রত্যেক অর্থনীতিবিদ রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে মনে করে যে ‘যা ব্যয় করা যায় না তা গণনা করা উচিত নয়।’
এই নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি পরিসংখ্যান থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার তথ্যটি সংমোধন উচিত।
সুসংবাদ হল যে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে আইএমএফের সঙ্গে তাদের লেনদেনের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে এবং রবিবার তারা ঘোষণা করে যে আগামী ১ জুলাই তার পরবর্তী অর্ধ-বার্ষিক মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় রিজার্ভ গণনার জন্য আইএমএফের প্রস্তাবিত পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কিছুটা চাপে পড়েছে, কারণ অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় হ্রাসের প্রবণতা দেখায যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছিল ২০১৫-১৬ সালে। ২০১৬ সালের জুনে এটি ছিল ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং, প্রায় ৭ বছর পর সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সেই স্তরে নেমে গেছে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রায় ৮ মাস আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে আকু-কে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেওয়ার ফলে সরকারি রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ৮ বিলিয়ন ডলার বিয়োগ করলে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাবার আমদানি করতে পারবো: শেখ হাসিনা
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, রিজার্ভের অর্থ আমরা বিদেশিদের ধার দিয়েছি, পায়রা বন্দরে খরচ করেছি, বিভিন্ন ভাবে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আমরা খরচ করে ফেলেছি। ফলে যখন দরকার তখন রিজার্ভ নেই।
তিনি বলেন, নিত্য খাদ্যপণ্য ও ওষুধ আমদানি করতে গিয়ে সরকার এলসি খুলতে পারছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে। এখন রিজার্ভ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে দেশ দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি চলে গেছে।
কাদের বলেন, যদিও সরকার বার বার এটিকে অস্বীকার করছে। তবে এমুহুর্তে আমি মনে করি সরকারের কাছে যে রিজার্ভ রয়েছে তার চেয়ে বেশি দেনা রয়েছে। দেনা পরিশোধ করলে রিজার্ভে কোনও টাকা থাকবে না। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি খাতে লুণ্ঠনের কারণে। ব্যাংকিং ও বিদ্যুৎ খাতে অবাধ লুণ্ঠনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কাদের রমজান মাসে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রেশনিং কার্ড দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দ্রব্য মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, আয় রোজগার কমে গেছে। তাই রমজান মাসে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
হজের সরকার নির্ধারিত খরচের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সামনে হজের মওসুম। আমাদের দেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু বার বার সময় বাড়ানোর পরও মাত্র এক লাখ লোক হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর কারণ আমাদের দেশের মানুষ হজে যে দাম ধরা হয়েছে সেই দাম দিয়ে হজে যেতে পারছেন না। একটি মানুষ সারাজীবন কষ্টকরে হজে যাবার জন্য। কিন্তু প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে হজ করা এখন অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশে যেটা অর্ধেক বা অর্ধেকের কম।
জাতীয় পার্টি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, রাজনীতির পরিবর্তন চায়। ক্ষমতা শুধু মানুষের মুখের পরিবর্তন নয়, বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগ বা আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি, একই ধরনের লুটপাট, একই ধরনের দলীয়করণ, টেন্ডারবাজি ও মানুষের ওপর অত্যাচার। মানুষ এসব থেকে এখন মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি চায় দেশের মানুষ সুশাসন পাক, নাগরিক হিসেবে সবাই সমান সুযোগ পাক। প্রশাসন দলীয়মুক্ত হয়ে সরকরি কাজ করবে।
জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ৬৯ বার পেছালো প্রতিবেদন জমার তারিখ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ৬৯ বার পেছানো হলো।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই ঢাকার মহানগহর হাকিম রাজেশ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।
দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা অলস ফেলে রাখার চেয়ে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা ভালো।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়াম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান এবং ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানুষ কথা বলবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এই (রিজার্ভ) টাকা নিয়ে অলস বসে থাকতে পারি না। আমাদের এটি জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যোগাযোগ, পরিবহন, আমদানি সবকিছুই প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে রিজার্ভের টাকা প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেছিল, তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। ‘ফলস্বরূপ, উচ্চ পরিবহন ব্যয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেড়েছে’ বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খরচ সত্ত্বেও সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে সবকিছু আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক বেশি দামে খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেল, গম ও ভুট্টা সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, এক কোটি টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে সরকার কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। এই সুবিধার আওতায় ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
তিনি বলেন, যারা সম্পূর্ণ অক্ষম তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে নিজেদের রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করেছি।
তিনি বলেন, রিজার্ভ মানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাবে তিনি বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা অবশ্যই এটি করবে।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলজিআরডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী