জরিমানা
খুলনায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা, শ্রমিক আটক
খুলনায় শাকবাড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার জব্দসহ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় ড্রেজার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন কয়রা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক-উজ-জামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং, গোলখালী, আংটিহারা এলাকায় নদীতে কোনো চর না থাকলেও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে আসছিলেন বালু ব্যবসায়ী হারুন। বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় এরইমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ওই এলাকার নদীরক্ষা বাঁধ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জনের কারাদণ্ড
দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামের আমির হামজা বলেন, ‘অবৈধ বালু তোলার পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। ওই চক্রের মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকেই যুক্ত রয়েছে। অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কতিপয় ব্যক্তি আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালালেও অবৈধ এ কার্যক্রম বন্ধ হয় না। এ অবস্থায় নদী তীরের বেড়িবাঁধ ও আবাদী জমিগুলো ভাঙনের কবলে পড়ছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক-উজ-জামান বলেন, ‘কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ড্রেজারসহ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করেছে। তাৎক্ষণিক ড্রেজার মালিকের নিকট থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে জাফলংয়ে ৬১টি নৌকা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
৩ মাস আগে
খুলনায় সয়াবিন ও পাম তেল জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
খুলনার তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম তেল জব্দ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবরা সকাল সোয়া ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ২ হাজার ৩৫৯ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
র্যাব ৬ এর পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মজুদ ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও এক লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম ওয়েল জব্দ করা হয়েছে। পরে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
খুলনায় কোকেনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
খুলনায় সাড়ে ২২ কোটি টাকার কোকেনের মামলায় একজনের ফাঁসি এবং আরও পাচঁ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, আরিফুর রহমান ওরফে ছগিরকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মন্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফকিরকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট রাত পৌনে ১০ টার দিকে র্যাব-৬ খুলনার একটি দল নগরীর হাদিস পার্কের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ওই দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ময়লাপোতা মোড়ের পাশে একটি চক্র মাদক বিকিকিনি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে পৌঁছালে কয়েকজন লোক পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হন র্যাব কর্মকর্তারা। পালানোর কারণ জানতে চাইলে সোহেল জানায়, তার কাছে কোকেন আছে। ্যাব কর্মকর্তারা সেখান থেকে ২৩০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে। যার অনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সোহেলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোডের একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ছগিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছগিরের দেওয়া তথ্য মোতাবেক দাকোপ উপজেলায় রাত তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মন্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনটি কোকেনের প্যাকেট বের করে দেয় সে। যার মধ্যে দুই কেজি ২০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া সোয়া দুই কেজি কোকেনের মূল্য ২২ কেটি ৫০ লাখ টাকা।
এই ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় মাদক আইনে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
৩ বছর আগে