জুনাইদ আহ্মেদ পলক
জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
ডিজিটাল রূপান্তর এবং তরুণদের জন্য আয়ের পথ তৈরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। দেশের প্রথম কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মানজনক এ স্বীকৃতি পেল মার্কেটপ্লেসটি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকীর হাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কয়েকজন সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং এ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সফলভাবে কাজ করছে ফুডপ্যান্ডা। প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে রেস্তোরাঁ ও শপকে ক্রেতা এবং ডেলিভারি পার্টনাদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। বড় ধরণের বিনিয়োগের ঝুঁকি ছাড়াই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বৃহৎ রেস্তোরাঁ পার্টনার, শপস ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তর করেছে ফুডপ্যান্ডা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তৈরি মার্কেটপ্লেসের সহায়তায় গত ৭ বছরে দেশের রেস্তোরাঁ খাত বিকশিত হয়েছে। এ মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে খাবার, গ্রোসারি, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
মার্কেটপ্লেসটি তাদের প্রযুক্তি এবং অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স রাইডারদের যুক্ত করেছে এবং তরুণদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সুরক্ষার জন্য মার্কেটপ্লেসটির মাধ্যমে বীমা, প্রশিক্ষণ, ঋণ ও অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দেশজুড়ে ৬৪ জেলায় সেবা বিস্তারসহ প্রযুক্তি ভিত্তিক এ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি মানুষের আয়ের পথ তৈরি করেছে ফুডপ্যান্ডা।
এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের সমৃদ্ধির জন্য ফুডপ্যান্ডার বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির হোমশেফ কর্মসূচিতে তিন হাজারের বেশি হোমকুক সক্রিয় রয়েছেন। যাদের ৭০ শতাংশই নারী। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাতটি সূচক নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি খাবারের অপচয় রোধে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং আরও কয়েকটি সংস্থার সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কেটপ্লেসটি।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং তরুণদের আয়ের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী।
পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে ফুডপ্যান্ডার ভূমিকা অগ্রগণ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, শপ, এসএমই ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তরে সহায়তা এবং আমাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তাদের লাখো গ্রাহকের সাথে যুক্ত করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এ খাতটির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
২ বছর আগে
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
শুধু স্বপ্ন দেখে নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে বলে তরুণদের পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে ‘আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইতিহাস কিংবা অতীতের সাথে লড়াই করা সম্ভব না। কিন্তু চাইলে নিজেই নিজের ভবিষ্যত তৈরি করা যায়। আর এই বিষয়টি তরুণদের হাতেই আছে। শুধু স্বপ্ন দেখেই নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি চিন্তা, গবেষণা, বাইরে যাওয়া, অ্যাডভেঞ্চার, ঝুঁকি গ্রহণ, স্টার্টআপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক কনটেস্ট বাংলাদেশে আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত ও সত্যিই আনন্দিত। বাংলাদেশ পর্বে ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২১’ এর বিজয়ী ১২টি দল এই আয়োজনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিচ্ছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’ আগামী বছর এ আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে আরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশ নেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১’ এর চেয়ারম্যান এবং টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম।
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, হংকং ব্লকচেইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. লরেন্স মা, গ্লোবাল ব্লকচেইন বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মিস. সান্দ্রা রো, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
৩ বছর আগে