প্রবেশাধিকার
ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও প্রবেশাধিকার চান পরিবেশমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও বেশি প্রবেশাধিকার সহজতর করতে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ইইউ ডেলিগেশনের টিম লিডার ফর গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল প্রটেকশন এডউইন কোয়েককোয়েক সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরভাবে বাঁচতে মানুষকে নদী, জলাশয়ের সঙ্গে চলতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবেশগত এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ইইউ'র অব্যাহত অংশীদারিত্ব ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি টেকসই চর্চা বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই বনায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন প্রচেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য ইইউ'র প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোয়েককোয়েক পরিবেশ সুরক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, আর্থিক সহায়তা এবং নীতি সহায়তা প্রদানে ইইউর প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনায় চলমান প্রকল্প এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্যোগ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচিসহ আরও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের অভিন্ন লক্ষ্যের আলোকে বাংলাদেশে সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন প্রচারে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এসডিজির অন্যতম টার্গেট - জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে ডিজিটাইজেশন চালু করা হয়েছে। অধিকন্তু আইন ও বিচার বিভাগ একটি গণমুখী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুগান্তকারী ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের প্যারালাল সেশন- ১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের জন্য করোনার মহামারিকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আইন ও বিচার বিভাগ 'আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ এর আওতায় ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা চালু করে। ১১ মে ২০২০ থেকে ১০ আগস্ট ২০২১ সময়কালে এ আদালত দ্বারা মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৪৮২টি পিটিশন নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং এক লাখ ৫৮ হাজার ৫০৭ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে, যা করোনাকালে জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দিদের বাড়তি চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম এখন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এমনকি করোনার মহামারিকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৭৮ হাজার ৮৪৭ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ৩৮ হাজার ৫৩৯ জন মহিলা।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৭ম এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে একটি সমন্বিত কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর ম্যাপিং, আর্থিক কৌশল, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, ডেটা গ্যাপ বিশ্লেষণ, জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা, এপিএ-তে এসডিজি অর্ন্তভুক্তসহ অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করেছে।তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত বোধ করি যে, জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতাকৃত টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক ২০১৫-২০২০ সালের মধ্যে অধিকাংশ এসডিজি বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি প্রোগেস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’- এ ভূষিত করেছে। এই পুরস্কার দারিদ্র্যের অবসান, পৃথিবী নামক গ্রহ রক্ষা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার বৈশ্বিক আহ্বানের প্রতি আমাদের ঐক্য ও অঙ্গীকারের প্রতীক।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। সেই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার একটি জনকেন্দ্রিক আধুনিক গণতন্ত্র গ্রহণ করেছে। ফলে দেশে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালীসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। আর এসব উন্নয়ন বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী চলমান সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ প্যারালাল সেশন- ১ এ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবরা তাদের স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগের এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।এই সেশনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সঞ্চালক ছিলেন। আলোচক ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
সৈন্য প্রত্যাহারের পর প্রথম তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
আফগানিস্তানে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ধরে রাখা এবং বিদেশি নাগরিক ও আফগানদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তালেবান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মার্কিন প্রতিনিধিরা শনিবার ও রবিবার আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানে এই ধরনের বৈঠক এই প্রথম। কাতারের রাজধানী দোহায় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাবুলে আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
শনিবার এপিকে দোহায় অবস্থানরত তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, আলোচনায় ২০২০ সালে ওয়াশিংটনের সাথে তালেবান স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির পুনর্বিবেচনা হবে।চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পথ সুগম করেছে।
শাহীন বলেন, ‘হ্যাঁ একটা বৈঠক আছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক,দোহা চুক্তির বাস্তবায়ন ও সামগ্রিক বিষয়ে।’
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে আমেরিকান ও অন্যান্য বিদেশি নাগরিক সেইসাথে সেসব আফগান যারা একসময় মার্কিন সামরিক বাহিনী বা সরকার এবং অন্যান্য আফগান মিত্রদের জন্য কাজ করেছিল সেসব নাগরিকদের আফগানিস্তান ত্যাগের অনুমতি দিতে তালেবান নেতাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে লাশ ঝোলাল তালেবান: অতীতে ফিরে যাওয়ার সংকেত
এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা তালেবানদের ক্ষমতা দখল এবং মার্কিন প্রস্থানের পর দেশটিতে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে মানবিক সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় এলাকায় বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার দিতে তালেবানে নেতাদের উৎসাহিত করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই অধিবেশনটি কোনোভাবেই তালেবানদের বৈধ সরকার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়াকে নির্দেশ করে না।
আরও পড়ুন: তালেবানের ওপর হামলার দায় স্বীকার করল ‘আইএস’
৩ বছর আগে