মহাসড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার দাবিতে অবরোধ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে সাতকানিয়ার কেরানীর হাট, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি চলার পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এসব এলাকায় স্থানীয়রা বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে জড়ো হন। এরপর তারা মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ সড়ক অবরোধে বিপাকে পড়ে হাজারো যাত্রী।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়কটি এখন ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও আধুনিকায়নের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাতকানিয়ার মানুষের যাতায়াতই নয়, দেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা পৌঁছানো—সবকিছুর জন্যই এই সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন লাখো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ বহু অংশ এখনো অত্যন্ত সরু, কোথাও কোথাও পাড়ার গলির চেয়েও কম প্রশস্ত। জাঙ্গালিয়ার অংশটি ঢালু ও আঁকাবাঁকা হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাতে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরপরও দফায় দফায় আশ্বাস মিললেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। ১১ এপ্রিল সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়রা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
সকালের অবরোধে মহাসড়কের দুই দিকে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। পরে বেলার ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, অবরোধের খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
৫ দিন আগে
গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অটোচালকের লাশ, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় মহাসড়কের পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মা হালিমা খাতুনের দাবি, তার ছেলেকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের হোমিও কলেজ-সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাপাড়া আদর্শপাড়া এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরের আদর্শপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সকাল থেকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মোল্লাতেঘরিয়া থেকে শহরের থানা মোড় পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রাস্তা অবরোধ করে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
নিহতের মা হালিমা খাতুন বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার পর থেকে রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সারা রাত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। সকালে জানতে পারি, ওর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলছে। আমার ছেলেকে হত্যা করে অটো ছিনতাই করা হয়েছে।’
রফিকুলের ছেলে নিলয় বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে বাবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এরপর রাতে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কুমারখালী থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে জানতে পারি, বাবার লাশ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি, বাবাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা অটো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে জালে জড়িয়ে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ
নিহতের সহকর্মী পারভেজ তপু জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজানের সময় রফিকুলের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। কিস্তির টাকা পরিশোধ করে হাসিমুখে চলে যান তিনি। তার মতে, রফিকুল একজন ভালো মানুষ ছিলেন, কারও সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে অটোটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
১৪৭ দিন আগে
গাজীপুরে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
গাজীপুরের পোড়াবাড়ি এলাকায় শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক। সে শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওমর সিটি করপোরেশনের পোড়াবাড়ি এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে সড়ক পার হতে গিয়ে বাসচাপায় গুরুতর আহত হয় ওমর। তাকে উদ্ধার করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফারুক।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী নিহত
আজ (রবিবার) স্কুলে পৌঁছে ওমরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার সহপাঠীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পোড়াবাড়ি বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বেপরোয়া গতির গাড়ির চাপায় প্রায়ই শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এজন্য তারা বাজার এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৯৪ দিন আগে
গাজীপুরে ট্রাকচাপায় নারী শ্রমিক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে এক নারী শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সোয়া ৮টার দিকে গাছা থানার হারিকেন এলাকায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর নিহতের সহকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেন চা শ্রমিকরা
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হারিকেন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাকটি ওই নারী শ্রমিককে চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়ায়। একপর্যায়ে তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে করে যানবাহনের যাত্রী, চালক ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার এস এম আশরাফুল আলম নিহত ও সড়ক অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২১৩ দিন আগে
গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন।
পুলিশ ও কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
পরে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেননি। সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকেরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
৩৪৭ দিন আগে
শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বৃহস্পতিবার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন দুই কারখানার শ্রমিকেরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে আহত সহকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ।
হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকেরা ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এতে মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হন। অনেক গাড়ি বিকল্প পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর-সাভারে পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ, গাড়ি ও কারখানায় আগুন
শ্রমিকরা জানান, বুধবার (২০ নভেম্বর) জিরানী এলাকার হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার কারখানার সামনে বাসচাপায় তাদের ৩ শ্রমিক আহত হন। এর প্রতিবাদে আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ, ফ্লাইওভার নির্মাণ ও কারখানার অব্যবস্থাপনা দূর করাসহ ১১ দফার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
অপরদিকে, চক্রবর্তী এলাকায় এক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনের মতো সকাল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন।
মহাসড়ক অবরোধ করায় নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন। তবে উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প পথ গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করছে। ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যরা ও শিল্প পুলিশ এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: বেতন পরিশোধের আশ্বাসে গাজীপুরে শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার
৩৭৯ দিন আগে
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
৪৩৮ দিন আগে
গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
মহাসড়কের দুদিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খাঁপাড়া সিজন ড্রেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে।
শ্রমিকরা কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এরশাদনগর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুন: শনিবার আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে
শ্রমিকরা জানায়, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তাদের এই অবরোধ কর্মসূচি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সোয়া ১০টা) অবরোধ চলছিল।
শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পোশাক খাতে অস্থিরতায় আ. লীগ নেতা ও তার লোকজনের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জামায়াতের
৪৪৪ দিন আগে
কোটা সংস্কার: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশাল অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ ও ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এদিকে নগরের চৌমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসময় কোটা সংস্কারের পক্ষে ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
অন্যদিকে, আমতলার মোড় এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবামেক) শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।
অবরোধের স্থানগুলোতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আন্দোলনকারীদের কোনোরকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সকালে বিএম কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সোয়া ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সবগুলো অবরোধ চলমান ছিল।
বরিশাল মহানগরীর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, ‘কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা শান্তভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
৫০৭ দিন আগে
কোটা পদ্ধতি পুনরায় সংস্কারের দাবিতে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনরায় সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটার কারণে আমাদের মেধার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। আবার কোন উদ্দেশ্যে এটা বহাল হলো তা অজানা। এটা মেনে নেওয়া যায় না। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসেই সমাবেশ করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
৫১৬ দিন আগে