বকেয়া
শেভরনের কাছে পেট্রোবাংলার বকেয়া ২৬০ মিলিয়ন ডলার
গত পাঁচ মাসে বিবিয়ানা ও অন্যান্য গ্যাসক্ষেত্র থেকে কেনা গ্যাসের দাম বাবদ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার কাছে ২৬০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে শেভরন বাংলাদেশের।
চলতি সপ্তাহে একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানিটির বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রাকৃতিক গ্যাস কিনে পেট্রোবাংলা। নগদ অর্থ সংকটের কারণে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শেভরন বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ করে; যা দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় ৫০ শতাংশ। দেশে ২৬১২ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়।
এর মধ্যে দেশের বৃহত্তম ক্ষেত্র বিবিয়ানা থেকে ১০১৭ এমএমসিএফডি গ্যাস, জালালাবাদ ১৫৩.৪ এমএমসিএফডি এবং মৌলভীবাজারে ১৬.৪ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবনতির কারণে এই প্রথম বিদেশি তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করতে চাপের মুখে পড়েছে দেশ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারাও একই মত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
তারা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। তবে ২০২৩ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার পর পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে চাপ পড়েছে।
এর ফলে গত বছর কিছু সময়ের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি সরবরাহকারীদের অর্থ পরিশোধও কমাতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'এ কারণে শেভরনসহ অন্যান্য কোম্পানির পাওনা রয়েছে।’
বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে শেভরন বুধবার (২১ আগস্ট) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, 'দীর্ঘদিনের কোম্পানির নীতি হিসেবে আমরা বাণিজ্যিক কারণে আমাদের বকেয়া পাওনার হিসাব দিই না।’
এতে আরও বলা হয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে শেভরন বাংলাদেশ। প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে শেভরন।
এতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এটি তার জনগণের জন্য যে সুবিধা দিতে পারে তা নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত বিদেশি কোম্পানিগুলো থেকে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ও গ্যাস আমদানি ও ক্রয় অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়িয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা পাচ্ছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
মঙ্গলবার জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেছেন, ‘আগে আমরা বিদেশি কোম্পানিকে গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বিল পরিশোধ করার জন্য প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার পেতাম। এখন আমরা এর চেয়ে বেশি পাচ্ছি।’
সম্প্রতি বিদেশি গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহকারীদের কাছে সরকারের বকেয়া বিল ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সচিব এই মন্তব্য করেন।
শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি সংস্থাগুলোর বকেয়া পাওনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।
অন্যথায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে।
তারা বলেন, দেশের সমুদ্রসীমায় হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক অফশোর দরপত্র আহ্বানের আগে অর্থপ্রদান পরিস্থিতির উন্নতি করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই খাতসংশ্লিষ্ট একজন বলেন, 'পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে বিদেশি কোম্পানিগুলো নিলামে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: গ্যাসোলিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বছরের শেষ পর্যন্ত বাড়াল রাশিয়া
৩ মাস আগে
বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
লাইসেন্স, রেভিনিউ শেয়ারিং ও তরঙ্গ ফি বাবদ বকেয়া সব পাওনা পরিশোধ এবং বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একই দিন দুপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সঙ্গে সেবায় নতুনত্ব আনয়ন, বিটিসিএলের আলাপ অ্যাপে নতুন ফিচার সংযোজন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সেবার মানোন্নয়নসহ বিটিআরসির বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।
বৈঠকে টেলিটককে ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যতিত বিটিআরসির পাওনা ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ এবং পাওনা সংশ্লিষ্ট সব ডাটা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করবে বলে কমিশনকে জানায় টেলিটক। অন্যদিকে বিটিসিএলকে আইসিক্স, এনটিটিএন, আইপিটিএসপি এবং পিএসটিএন সংক্রান্ত সব ডাটা বিটিআরসির কাছে পাঠানোসহ উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট উন্নয়ন, গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিতে উদ্যোগ গ্রহণসহ বিটিআরসির সব পাওনা পরিশোধের বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের পরিচালক আফতাব মো. রাশেদুল ওয়াদুদসহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
১০ মাস আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজপথে তারাপুর বাগানের চা শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চার দিন ধরে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে।
স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক তারুনী মোদী বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না, বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
অপর শ্রমিক বেলী রায় বলেন, বেতন বকেয়া থাকায় সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই। আমরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছি।
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, কর্তৃপক্ষ বার বার বেতন আটকে দিচ্ছে আমাদের। এতে করে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পেয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের সব কিস্তি অন্যান্য বাগানে পরিশোধ করা হলেও আমরা শেষ কিস্তি পাচ্ছি না। আমরা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
১০ মাস আগে
সিলেটে কর্মবিরতিতে চা বাগানের শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ ৭ দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে। স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক মমতা রায় বলেন, ‘চা বাগানই আমাদের জীবন। আমরা চা বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না। ২ সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পেটের তাগিদে আন্দোলন শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আত্মসাতের ৬ লাখ টাকাসহ দুই ‘ব্রাদার’ আটক
অপর শ্রমিক গীতা হালদার বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে কোনো বেতন ভাতা নাই। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করাতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই।’
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, ‘কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে বার বার বেতন আটকে যাচ্ছে। এতে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বেতন না পাওয়ার কারণে সংক্রান্তি উৎসব পানসে হয়ে গেছে। আমরা অচলাবস্থার অবসান চাই। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।’
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, ‘গত ২ সপ্তাহ ধরে বাগান শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তিও আমরা পাচ্ছি না। অধিকার হারিয়ে, অধিকার পাবার দাবিতে ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে পাথর আমদানি বন্ধ
১০ মাস আগে
প্রায় ৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন
কুড়িগ্রাম পৌরসভার চার কোটি ৮২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় রবিবার সকালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আলিমুল ইসলাম সেলিম।
তিনি জানান, বিদ্যুৎবিহীন অফিস চলছে বলে জানা গেছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ লাগানো হয়নি।
আরও পড়ুন: কোটচাঁদপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন। এবং চলতি মাসের সব বিল পরিশোধ করবেন এবং বকেয়া যে বিলগুলো আছে ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করবেন বলে লিখিত অঙ্গীকারনামা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করার কারণে এত পরিমাণ টাকা বকেয়া দাঁড়িছে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, অনেক টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে সংযোগ বিছিন্ন করেছে নেসকো। কথা হয়েছে কিছু টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে। আসা করছি সন্ধ্যার আগে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাবো।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে নসরুল হামিদের সতর্কবার্তা
১ বছর আগে
সিলেটে মজুরি বৃদ্ধি ও বকেয়া বোনাসের দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
শারদীয় দুর্গা উৎসবের আগে অবিলম্বে মজুরি বৃদ্ধি ও বকেয়া বোনাস পরিশোধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন ও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন ২১ চা বাগানের শ্রমিকরা।
৪ বছর আগে
রবিকে ১৩৮ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বকেয়া পাওনা দাবির ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা পাঁচ মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে