বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
দারাজ, প্রিয় শপসহ ২৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৯ জন নির্বাহী কর্মকর্তার হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিএফআইইউ এ নির্দেশনা জারি করেছে এবং এই নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও অর্থ পাচারের বিষয়টি সিআইডি ও অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করছে।
বিএফআইইউ এমন সময় এ নির্দেশনা জারি করলো যখন সরকার ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করে না। বর্তমানে ইভ্যালি ও ই-কমার্সের প্রধান কর্মকর্তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক বিথি আক্তার, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানাসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
রবিবার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটি তাদের পাঁচ জনের প্রত্যেকের ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করেছে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের লেনদেনের বিবরণ প্রদান করতে বলেছে।
চিঠিতে সোহেল রানা, বিথি আক্তার, মোমেনা আক্তার মাসুমা, নাজমা সুলতানা প্রিয়া ও সোনিয়া মেহজাবিনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ জানায়, যদি ওই ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে অতীত বা বর্তমানে কোনো ব্যাংক হিসাব থেকে থাকে তাহলে সে সব হিসাবের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়া তাদের নামে যদি ফিক্সড ডিপোজিড, ঋণ হিসাব, এলসি খোলা হয় তাহলে সেগুলোর তথ্যও প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশীয় ই-কমার্সের ‘১০-১০’ উৎসব শুরু হচ্ছে আজ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত শাখাটি ওই ব্যক্তিদের নামে থাকা হিসাবের নমিনি ও তাদের নামে থাকা (যদি থাকে) হিসাবের তথ্যও তলব করেছে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে টাকা নিয়েও ঠিক সময়ে পণ্য না দেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ভোক্তারা।
ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও পণ্য না দিয়ে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ই-অরেঞ্জের আরেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান।
মেহজাবিনের ভাই পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানাও এই মামলায় অভিযুক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে