অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
কালবৈশাখী ঝড়ে বসতঘরের নিচে চাপা পড়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পাঁচ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ঘোনার বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে মৃত্যু-স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে গবাদিপশু, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
নিহতরা হলেন- আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপতারা ও তার পাঁচ বছরের ছেলে তাইজুল।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। এ সময় ঘরের উপরে থাকা একটি রঙিলা কাঠের গাছ ঝড়ে উপড়ে ঘরের উপর পড়ে যায়। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়েন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। ঘটনাস্থলে তাইজুল মারা যায়। স্থানীয়রা আহত রূপতারাকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিয়াবাড়ি লেকে পানিতে ডুবে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ধান উড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
৭ মাস আগে
স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু!
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্বামীর লাথিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গোলাপি বেগম (২৬)উপজেলার উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুর আলীর মেয়ে এবং উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের (২৯)স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রুটি বানাতে দেরি, থাপ্পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে গোলাপী বেগমের সাথে প্রায় সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের আব্দুস ছামাদের ছেলে কফিল উদ্দিন (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপর দুটি সন্তান হলেও শৈশবেই মারা যায়। এ কারণে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
গত সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে কফিল উদ্দিন অন্তঃসত্ত্বা গোলাপীর তল পেটে লাথি মারলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বপন নামের স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসককে দিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গোলাপীকে সোমবার সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈমা হক রিফাত জানান, গোলাপীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করা হবে।
৩ বছর আগে