ত্রিপোলি
ত্রিপোলিতে ভবন ধসে ৭ অভিবাসী নিহত
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে সাতজন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাজধানীর পশ্চিমে জানজোর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএমের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘একটি তিনতলা ভবনে বেশকিছু সংখ্যক আফ্রিকান অভিবাসী বসবাস করছিলেন। গত রাতে ওই ভবব ধসে পড়ে। এতে নারী ও শিশুসহ ৭ জন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫৭ বাংলাদেশি
বিবৃতিতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে আইওএম।
সংস্থাটি জানায়, তারা ভুক্তভোগী অভিবাসীদের সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে কর্তৃপক্ষকেও সহায়তা করবে। ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধানে এখনও তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
১ মাস আগে
লিবিয়ায় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ১৬
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলী সিনহুয়াকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, এর আগে শুক্রবার ত্রাজুরা জেলায় শুরু হওয়া সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলছে।
৪ মাস আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
এরআগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী বন্দিশালায় আটক ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নেন।
তিনি বাড়ি ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে মোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
১ বছর আগে
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে তা করা হবে। ডিটেনশন সেন্টারে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন বাংলাদেশিকে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১১০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের।
আইওএম তাদের প্রত্যেককে ৫৮৯৬ টাকা পকেট মানি ও কিছু খাবার দিয়েছে।
বিকল্প মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
১ বছর আগে
লিবিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩০, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
লিবিয়ায় সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হওয়ার একদিন পর সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী রবিবার রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবারের প্রথম দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের সঙ্গে জোটবদ্ধ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গত এক মাস মোটামুটি স্থিতিশীল থাকার পর এ সংঘর্ষ লিবিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের দিকে ফিরে যেতে পারে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে দীর্ঘকালীন স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও নিহত করার পর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবাহের পদত্যাগে অস্বীকৃতির কারণে বর্তমান অচলাবস্থা বেড়েছে।
শনিবারের সংঘর্ষে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষে শত শত লোক আটকা পড়েছে এবং হাসপাতাল, সরকারি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষের এলাকায় পোড়া যানবাহন ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
লিবিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিশেল সার্ভেদেই বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর এবং পাঁচ বছর বয়সী আরও চারজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মুস্তফা বারাকা নামে একজন রয়েছেন। তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা যিনি মিলিশিয়া এবং দুর্নীতিকে উপহাস করার জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিমিং করার সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকে টার্গেট করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কয়েক ডজন বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে। তারা তাদের বাড়ি, সরকারি ভবন ও হাসপাতালে আটকে পড়া নারী ও শিশুসহ মানুষের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে অনেক পরিবারের সাথে আটকে পড়া একজন নারী বলেন, ‘আমরা আমাদের চোখের সামনে আমাদের বাচ্চাদের চোখে মৃত্যু দেখছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেই নিরপরাধ শিশুদের রক্ষা করা, যেমনটি তারা গাদ্দাফির সময় করেছিল।’
পড়ুন: পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা
২ বছর আগে
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে শত শত নারী ও শিশুসহ ৪ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমাঞ্চলীয় গারগারেশ শহরে শুক্রবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে কর্তৃপক্ষ কোন পাচারকারী বা চোরাচালানকারীকে আটকের কথা উল্লেখ করেনি।
শুক্রবার লিবিয়ার কর্মকর্তার এই অভিযানে ৫০০ জন আটকের কথা বললেও শনিবারের খবর অনুযায়ী এ সংখ্যা ৪ হাজারে পৌঁছেছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) পশ্চিমে গারগারেশ শহরটি মূলত অভিবাসী এবং শরণার্থীদের জন্য একটি পরিচিত কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শহরটিতে অভিবাসী বিরোধী বেশ কিছু অভিযান দেখা গেছে। তবে শুক্রবারের অভিযানকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ১৮ অভিবাসী
সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
৩ বছর আগে
লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যা: দ্রুত তদন্ত শুরু করার আহ্বান আইওএম’র
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে মানবপাচারে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)।
৪ বছর আগে
লিবিয়ায় বিমান হামলায় সামরিক একাডেমির ২৮ শিক্ষার্থী নিহত
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি সামরিক একাডেমিতে বিমান হামলায় সেখানকার ২৮ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন।
৪ বছর আগে