মণ্ডপ
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ২১৭৫ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় এবছর ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সর্বজনীন প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৬৫১ এবং ঘটপূজা ৫২৪টি।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন আটটি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিজয়া দশমী: দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গাপূজা
এরমধ্যে রয়েছে- সব উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ, চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার ও সড়কের উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দুর্গোৎসবে চার দিনের সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নে জটিলতার নিরসন এবং রানি রাসমণি বারুণী স্নানঘাট তথা সমুদ্রতীর্থ সংরক্ষণে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।
সুগ্রীব মজুমদার বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
তিনি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন পরিহারের আহ্বান জানান।
এবার পূজা পর্যবেক্ষণের জন্য পরিষদের জেলা কনট্রোল রুম এবং তিনটি পর্যবেক্ষণ টিম থাকবে।
কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, সরকারি অর্থায়নে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেধস আশ্রম সড়কে কার্পেটিং হচ্ছে। দুর্গাপূজা বাঙালির উৎসব। তাই চার দিন ছুটির দাবি জানাই। বর্তমানে একদিন ছুটি আছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কিছু পূজামণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকবে। আমরা মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্ষম। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, সাবেক সভাপতি দীলিপ কুমার, সহ সভাপতি বিপুল কান্তি দত্ত, সুনীল ঘোষ, বিশ্বজিৎ পালিত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা ২০২৩: সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে পুলিশ সদর দপ্তারের পরামর্শ
এবছর বাগেরহাটে ৬৫২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজিত
১ বছর আগে
এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় আট শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। দুর্গাপূজা হলো এই ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সত্ত্বেও হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসবের সময় বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের অংশগ্রহণ উদযাপনটি এক অনন্য নজির তৈরি করেছে।
এ বছর বাগেরহাটে এক পূজামণ্ডপে ১৫১টি দেব-দেবীর প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা বলছেন, বাগেরহাটের সদর চুলকাঠি বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাভারত ও রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
বণিকপাড়া এই মণ্ডপের প্রতিমা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়েই নয়, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকেও আকৃষ্ট করছে।
২০০১ সালে বণিকপাড়া মণ্ডপে ছোট আকারে দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হয়। পরে ২০০৫ সালে ১০১টি মূর্তি নিয়ে বিশাল আয়োজনে পূজা উদযাপন করা হয়েছিল।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে উৎসব ভাটা পড়েছিল৷ কিন্তু এবার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায়, আয়োজকরা আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফিরে এসেছেন।
এ বছর দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে হাতিতে (গজে) চড়ে মর্ত্যলোকে বাবার বাড়িতে এসেছেন। শনিবার বেলগাছের নিচে মহাষষ্ঠীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। রবিবার মহাসপ্তমী, সোমবার মহাঅষ্টমী, মঙ্গলবার মহানবমী এবং বুধবার দশমী পূজা অন্তে দর্পণ বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা নৌকায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন।
বাগেরহাট জেলায় এ বছর সব মিলে ৬৩২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর করতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজামন্দিরে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
শুক্রবার বিকালে চুলকাঠি বণিকপাড়া পূজামন্ডপে গিয়ে দেখা গেছে, মূলমন্ডপের সঙ্গে প্যান্ডেল করে দুটি সারিতে আলাদাভাবে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেব-দেবীরা এই পূজামন্ডপে যেন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন। বিভিন্ন দেব-দেবী, মা দুর্গার সঙ্গী হয়ে ধরাধামে এসেছেন একসঙ্গে। মহিষাসুরকে যেভাবে বধ করেছিলেন ‘দেবী দুর্গা’ তা দেখানো হয়েছে প্রতিমার মাধ্যমে। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টিরপালনও তুলে ধরা হয়েছে দেব-দেবীর প্রতিমায়। কারিগড়রা (ভাস্কর) তাঁদের হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর রং তুলিতে অপরূপ সাজে প্রতিমা সাজিয়েছেন। মহামায়া দেবী দুর্গার সঙ্গী হিসেবে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের বিভিন্ন দেব-দেবী আর্বিভূত হয়েছেন পূজামন্ডপ জুড়ে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন এই পূজা প্যান্ডেলে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
পূজা প্যান্ডেল ঘুরে দেখা গেছে, হাতিতে চড়ে দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমন এবং নৌকায় চড়ে গমন, দেবীর অকাল বোধন, অসুর রক্তবীজ বধ, সতীর দেহত্যাগ, দেবী কংকালে কালী, মৎস্য অবতর, হর পার্বতীর বিয়ে, রাধাকৃষ্ণের ঝুলন, ব্রক্ষ্মচারিনী, অহল্যা পাষানী, নৃসিংহ অবতার, দেবী সিদ্ধাধার্থী, বিষ্ণুপ্রিয়ার মালাবদল, অগ্নিপরীক্ষা এবং শ্রীকৃষ্ণের নৌকাবিলাসসহ প্রতিমার মাধ্যম ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। পূজা প্যান্ডেলের ভিতর এবং বাইরে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
২ বছর আগে
দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় পূজামণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মাটির কাজ শেষ হয়েছে প্রায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে। এখন চলছে প্রতিমাগুলো রং ও সাজসজ্জার কাজ। অন্যান্য বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে আশা করছেন আয়োজকরা। পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি কমিটি গঠনসহ নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে পূজার আয়োজন হলেও মানুষের মাঝে একটা উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছিল। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে মানুষের চলাচল সীমিত ছিল।
এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম থাকায় সবার মাঝে একটা উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে।
চিত্ত রঞ্জন ও জয় দেব নামের প্রতিমা শিল্পী জানান, মূর্তি তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে হতাশা। বিগত বছরগুলোতে মাটি, খেড়, বাশ, দুর্গা প্রতিমাসহ অন্যান্য দেবদেবীর শাড়ী, চুড়ি আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম থাকলেও এ বছর সেটা কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
প্রতিমা তৈরির আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল না থাকায় অনেক প্রতিমাশিল্পী শুধু মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিম দে জানান, দুই বছর করোনার কারণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারেননি। তবে এবার জেলায় সার্বজনীন পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তারা আশাবাদী।
অপরদিকে শহরের বাইরে চা বাগান এলাকা এবং গ্রামগঞ্জের পূজামণ্ডপগুলোতে তারা নিজেদের উদ্যোগে বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ পূজার পাঁচ দিন পূজামণ্ডপ পাহাড়ার জন্য কমিটি করা হয়েছে।
জেলার ছয়টি স্থানে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও ব্যতিক্রমী আয়োজনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানগুলো হচ্ছে রাজনগরের পাঁচগাঁও, কুলাউড়ার কাদিপুরে শিব মন্দির, সদর উপজেলার ত্রিনয়নী, আবহান, মহেশ্বরী ও শ্রীমঙ্গরের রুপসপুর মণ্ডপ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, এবার এক হাজার সাতটি পূজামণ্ডপ থাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সবকটি উপজেলায় নেয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের বৃহৎ এই পূজাকে ঘিরে বড় বড় পূজামণ্ডপগুলোতে দিন রাত মিলিয়ে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। ফলে অধিক ঝুকিপূর্ণ ৮২টি পূজামণ্ডপসহ আইনশৃঙ্খলার সার্বিক নিরাপত্তায় সাত শত ৪৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ছয় হাজার ৮২০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
তাছাড়া সাদা পোশাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
পুলিশ সুপার বলেন, দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা সভা করেছেন। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপের আশপাশের সকল ধর্মের লোকজনদের নিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলায় সরকারিভাবে প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
২ বছর আগে
দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
প্রেম ও সৌহার্দ্যের চেতনায় পরিপূর্ণ দুর্গাপূজা বাংলাদেশে একতার উৎসব।
সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ যেই হোক না কেন, এই উৎসবে মণ্ডপে ভিড় করার, ঢাকের (একটি বিশেষ বাজনা যন্ত্র) ধ্বনিতে নাচার ও মনোরম ভোগ নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন না।
ফরিদপুর, নেত্রকোণা ও খুলনাসহ সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত দিন পার করছেন ‘পাল’ নামে পরিচিত প্রতিমা কারিগররা।
১ অক্টোবর উৎসব শুরু হবে ষষ্ঠী উপলক্ষে দুর্গার অবতারণার মাধ্যমে এবং প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর।
প্রতিমাগুলো যেন সময়মতো প্রস্তুত হয় তা নিশ্চিত করতে পালরা দিনরাত কাজ করে চলেছে। উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে বলে প্রতিমার কারিগররা প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কাজ করছে।
ফরিদপুর জেলার প্রতিমা কারিগর সুকুমার পাল বলেন, ‘প্রতিমা তৈরির কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিটি প্রতিমার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিচ্ছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।’
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের আয় তেমন বাড়েনি।
এ ব্যাপারে জেলার বেলেশ্বরের বিশ্বজিৎ পাল জানান, শোভারামপুর বোর্ড অফিসের সামনে তিনি প্রতিমা তৈরি করছেন। এবছর প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। মোট আটটি প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। এর মধ্যে ফরিদপুর শহরে একটি প্রতিমা তিনি গড়াচ্ছেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে তার প্রতিমা বেশি।
তিনি বলেন, এবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে এই টাকা নেবার পরও তার হাতে তেমন কিছু থাকবে না।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার ৯টি উপজেলার ৮২৯টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, ‘শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
২ বছর আগে
পূজা শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায়: খুলনায় র্যাব মহাপরিচালক
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা অনুষ্ঠান যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেজন্য অন্যান্য বছরের ন্যায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তত রয়েছি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনা নগরীর সোনাপট্টি পূজা উদযাপন কমিটির অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশের পূজা মণ্ডপগুলোতে যথাযথভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকলে পূজা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য সোমবার (১১ অক্টোবর) বনানীর পূজা মণ্ডপে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের সাথে একসাথে মিলিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’-সেই চেতনায় আমরা সকলে একসাথে কাজ করি। সবার উৎসবে আমরা মিলিত হই। প্রতিনিয়ত জঙ্গি হামলা বা বিভিন্ন হামলার বিষয়ে আমাদের সাইবার জগত যে সাইবার পেট্রোলিং করে থাকে সেখানে এখনও পর্যন্ত কোন জঙ্গি হামলার তথ্য আসেনি। আশা করছি পূজার অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সমাপ্ত হবে।’
আরও পড়ুন: পূজায় নতুন কাপড় না পেয়ে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা!
এ সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল কে এম আজাদ, বিপিএম, পিএসসি, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মাদ মোসতাক আহমদ, বিএসপি, পিএসসি, খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার সহ র্যাব ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে