কোরআন শরীফ
সিলেটে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে বদরুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ২ নম্বর পূর্ব ইসলামপুর ইউপিস্থ ভাটরাই গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বদরুল ইসলাম (২৮) কোম্পানীগঞ্জের ভাটরাই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, বদরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে কটূক্তি করায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার পক্ষে তৈমুরনগর গ্রামের মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে মো. লিটন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এদিকে, কোরআন শরিফকে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, কোরআন শরীফ নিয়ে কটূক্তি করায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ নিয়ে যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কোরআন শরীফের প্রদর্শনী শুরু
সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোরআন শরীফের দুইদিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরার মেহেদীবাগ এলাকায় ইসলামী সংস্কৃতি ও সেবা কেন্দ্র ‘মসজিদের কূবা’কমপ্লেক্স ভবনে এ কোরআন শরীফ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
এছাড়া প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মসজিদে কূবা’পরিচালনা কমিটির সভাপতি দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লেখক হাবিবুর রহমান, ফিফার রেফারী তৈয়ব হাসান শামছুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, মসজিদে কুবা’র ইমাম সাইফুর রহমান, মসজিদে কুবা’র পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাবিবুর রহমান মানবতার কল্যাণে ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি কোরআন শরীফ হাতে লেখা শুরু করে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ করেন।
এ কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য ৩৩৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৬৪ সেন্টিমিটার, ওজন ৪০৫ কেজি।
দীর্ঘ ছয় বছর আট মাস ২৩ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতার কোরআন শরীফ হাতে লিখেছেন তিনি।
ইউটিউব দেখে তিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
বক্তারা আরও বলেন, আজ ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় হাতে লেখা বৃহৎ একটি কোরআন রয়েছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি প্রায় সাত বছর আগে ইউটিউব দেখে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। কোন সহৃদয় বিত্তবান ব্যক্তি যদি অর্থ দিয়ে এ কোরান শরীফ সংগ্রহ করেন তাহলে সেই অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতাল তৈরি করাই তার এই কঠোর পরিশ্রমের উদ্দেশ্য।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ হাতে লেখা কোরান শরীফের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভাল লাগছে।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, সর্ববৃহৎ এই কোরআন শরীফটি দেখতে ইতোমধ্যে দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ পুরুষ ও নারীরা দেখতে আসছেন।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
২ বছর আগে
ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানায় এসব মামলা করা হয়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২ হাজার ৫০০ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১ হাজার ৫০০ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পড়ুন: কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
৩ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই আমরা খুঁজে বের করবো। এ ঘটনায় আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কাজ।’
এদিকে, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিভিন্ন জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ফয়জুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, ঢাকা বিভাগের নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ ২২টি জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকাতেও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ের কাছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা: চট্টগ্রামে ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় মূর্তি ভাঙচুর-হামলার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি জানানো হয়।
চট্টগ্রামের যে সব উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো-হাটহাজারী ও বাঁশখালীতে ২ প্লাটুন করে, পটিয়া, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশে ১ প্লাটুন করে মোট ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশকে সহায়তা করার জন্য বুধবার রাত ৯টা থেকে আগামী ১৬ অক্টোবর ৬ উপজেলায় ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর
৩ বছর আগে