লো-কার্বন
বাংলাদেশ লো-কার্বন গ্রিন ডেভেলপমেন্টে এগিয়ে যাচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সোমবার (১৬ অক্টোবর) বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ লো-কার্বন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অব-গ্রিড এলাকায় ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে।
এদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান ঢাকায় সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছরে ২৪৩২২ একর দখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
এসময় তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ন্যাপ বাস্তবায়নে সহায়তা এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জনসংখ্যার ১২ শতাংশের জন্য পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছে। এখন বাংলাদেশ বড় আকারের সৌর প্রকল্পের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১০টি বড় আকারের সোলার পার্ক, ২৮টি সৌর মিনি-গ্রিড, ২৮৮১টি সৌর সেচ পাম্প, ১৯৫২টি নেট মিটারড রুফটপ সোলার সিস্টেম এবং ৮টি সৌরচালিত পানীয় ব্যবস্থা স্থাপন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান দূষিত বায়ু ও পানি পরিশুদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পগুলোকে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে বাধ্য করার জন্য 'পরিবেশ সুরক্ষা সারচার্জ' আকারে একটি আমূল নতুন 'সবুজ কর' আরোপ করেছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে একাধিক গাড়ির মালিকদের ওপর 'কার্বন ট্যাক্স' আরোপ করেছে যার লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা এবং দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রচার করা।
ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পরিবেশ ও পর্যটনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে পরিবেশমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং যুগ্মসচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে হর্ন বাজানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক
মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২১-এর দ্বিতীয় দিনে ‘গ্রিন ফাইভজি নেটওয়ার্ক ফর আ লো-কার্বন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং।
প্রবন্ধে দ্রুত ডেটা ট্র্যাফিক বৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পুরো শিল্পখাতের পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া এবং একইসাথে, উচ্চ পারফরমেন্স ও কম জ্বালানি খরচে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কও গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
ডিং এর মতে, যেসব দেশে ফাইভজি’র দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে ও অপারেটররা এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করছে, তারা এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যখন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে, তখনই অপারেটররা এর পুরোপুরি সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফাইভজি পেনিট্রেশন ২০ শতাংশে পৌঁছালে, এ প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত হবে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও কুয়েতের মতো দেশগুলোতে অপারেটররা ব্যবহারকারীদের দ্রুত দেশব্যাপী কভারেজ প্রদান ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে। তারা ব্যবহারকারীদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ নিয়ে এসেছে যা গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে স্থানান্তর ও নেটওয়ার্কের বিকাশকে ত্বরাণ্বিত করতে অপারেটররা ফোরজি’র চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এসব দেশে ২০ শতাংশেরও গ্রাহক বেশি ফাইভজি’তে সেবা নিতে শুরু করেছে যার ফলে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যবসায়িক আয় ও নেটওয়ার্ক নির্মাণে ইতিবাচক প্রবণতা এনেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
উচ্চমানের ফাইভজি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা ট্রাফিকের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। ধারণা করা যায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মাসিক ডেটা ট্র্যাফিক ৬শ’ জিবিতে পৌঁছাবে। ডিং বলেন, আইসিটি শিল্পের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ ৪৫ শতাংশ কমাতে উচ্চ পারফরম্যান্স ও কম জ্বালানি খরচের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে অপারেটরদেরকে বিদ্যমান পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
বক্তব্যের শেষে ডিং বলেন, সৌদি আরব, গ্রিস, পাকিস্তান ও সুইজারল্যান্ড সহ ১শ’র বেশি দেশে হুয়াওয়ে লো-কার্বন সাইট সল্যুশন স্থাপন করেছে, যা অপারেটরদের ৪০ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করছে। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে, সবুজ বিপ্লবকে কেন্দ্র করেই হুয়াওয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিশ্বজুড়ে অপারেটরদের সাথে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে।
৩ বছর আগে