ক্লাইমেট ফাইটার
শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক কারণ আছে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার। বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে তার অবদান আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু আমাদের মা। আমরা সন্তানরা মাকে আদর করতে হবে তাহলে মা তার সন্তানকে স্নেহ করবেন। আমাদের দৈনন্দিন নানা আচার আচরণের মাধ্যমে আমরা মায়ের ক্ষতি করছি জলবায়ু তার সুবিচার চায়। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।’
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ উপলক্ষে শনিবার সিলেটে জলবায়ু সুবিচার সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই সংলাপ অনুষ্ঠান যৌথভাবে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের আওয়াজকে শক্তিশালী ও সোচ্চার করতে হবে এবং ন্যায় বিচারের চাওয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব।’
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেটের হোটেল স্টার প্যাসিফিকে উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার তরুণ জলবায়ু আন্দোলন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কমনওয়েলথ উন্নয়ন অফিস, বাংলাদেশের পরিচালক জুডিথ হার্বার্টসন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আকমল শরীফ।
খাদেমুল রাশেদ ও হুমায়রার সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান। শুরুতে একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু সুবিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণদের অভিপ্রায় তুলে ধরেন ইসলামিক রিলিফের প্রকল্প সমন্বয়কারী মঈন উদ্দিন আহমদ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্র্রশ্নের উত্তর দেন। আনন্দ নিকেতন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহা রেজা পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছে জানতে চায় এভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অব্যাহত থাকলে ৩০ বছর পর সে কি সুনামগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারবে, নাকি একটি উঁচুভুমির খুঁজে মাছের মতো সাঁতার কাটতে হবে? উপস্থিত তরুণরা হাওরের জন্য জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হাওর এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাওরে বছর বছর ফসলহানীর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়িয়ে যেতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করতে না পারলে হাওরের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।' আরেক প্রশ্নে সাবিহা নামের আরেক ছাত্রী জানায়, গত ১৫ বছরে সিলেটে একশত টিলা কাটা হয়েছে। সিলেটে আর কোনো টিলা কাটা হবে না মর্মে অতিথিদের কাছে প্রতিশ্রুতি চায়।
আরও পড়ুন: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
৩ বছর আগে