রেড অ্যালার্ট
আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, রবিবার দুপুরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ধরতে সরকার দেশের সব প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ সর্বত্র তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি যাতে তারা (দণ্ডপ্রাপ্তরা) দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুলিশের হাত থেকে জঙ্গিদের পলায়ন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর রশিদকে জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট এ মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেফতারে আইজিপি পুলিশ, এসিসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন, এম হারুন-অর-রশীদ, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক ও সাইফুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দিদারুল আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণার পরই তিনি আদালত থেকে বাসায় চলে যান। এছাড়া মামলার বাকি ৩৯ আসামি পলাতক।
পলাতক ৩৯ আসামি হচ্ছেন- ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর। পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের জামিন শুনানি পিছিয়েছে
২ বছর আগে
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, রেড অ্যালার্ট জারি
ভারতে বন্যার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতেও। এতে এরইমধ্যে ভেঙে গেছে তিস্তা ব্যারাজের লালমনিরহাট অংশের একটি বাঁধ। হুমকির মুখে অন্য বাঁধগুলোও। এদিকে ব্যারাজ রক্ষার্থে রেড এলার্ট জারি করে তিস্তার তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই প্রবাহ আরও কি পরিমাণ বাড়তে পারে তার ধারণা নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
এদিকে উজানের ঢলে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েও পানি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় বড়খাতা টু হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। এতে তার ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, পানির চাপে তিস্তা ফ্লাড বাইপাস ভেঙে গেছে। এতে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবার বন্যার আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বন্যার আগাম পূর্বাভাস জানানো হলেও এবার তা জানানো হয়নি। ফলে বন্যার পানিতে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
আর পড়ুন: তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিল ভারত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফুদ্দৌলা বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে ইতোমধ্যে ব্যারজের ফ্লাড বাইপাসটি পানির চাপে ভেঙে গেছে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসতে পারে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলে, ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেও পানি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। আমরা তিস্তা অববাহিকায় লাল সংকেত দিয়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছি।
আরও পড়ুন: তিস্তা-ধরলা পাড়ে ভাঙন, সরকারি ভাতার বদলে বাঁধ চায় এলাকাবাসী
৩ বছর আগে