মহানবী (সা.)
মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, মহানবী (সা.) এর ক্ষমা ও উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব, অমুসলিম বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের নিরাপত্তা, মানবিক আচরণ, কল্যাণ ভাবনা, শান্তি ও যুদ্ধনীতি, মদীনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের ইতিহাস মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়।
রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্লাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে 'ইসলামে সাম্য ও সম্প্রীতি" শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এই এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এবার হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রিয় নবী হযরত (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্তকে আরও সুসংহত ও সুদৃঢ় করতে পারি । এতে বিশ্বনবীর উম্মত হিসেবে সারা বিশ্বে আমাদের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে এবং অমুসলিম দেশসমূহে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাসরত মুসলিম ভাই-বোনদের জীবনযাত্রা আরও নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রিয়নবী (সা.) কে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ‘রহমাতুল্লিল আ’লামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে।
আরও পড়ুন: ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা এবার হজে যেতে পারবেন না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রিয়নবী (সা.) তাওহীদের দাওয়াত, ইসলামের আদর্শ প্রচার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।
২ বছর আগে
ইসলামের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
ইসলামের নামে ফেৎনা-বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
ঈদে মিলাদুন্নবীতে শান্তি মহাসমাবেশে ড. হাছান দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে স্মরণ করিয়ে দেন, এই জনপদে, এই উপমহাদেশে কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি। ওলী-আম্বিয়ারা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে, বুঝিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনেছেন। তাই যারা ইসলামের কথা বলে ওলী-আম্বিয়াদের বিরোধিতা করে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে, তারা ফেৎনা বা বিভেদ সৃষ্টিকারী। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
হিজরি ১৪৪৩ সনের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ও শান্তি মহাসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া ও আন্তর্জাতিক সুফি ঐক্য সংহতির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে এবং শাহ সূফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'পৃথিবীতে হানাহানি, দলাদলি বন্ধ করে মানুষকে সুপথে এনে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন মহানবী (সা.)। ইসলামের মূল মর্মবাণী মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা। যারা এই মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো জঙ্গি হয় না, হানাহানিতে লিপ্ত হয় না, ইসলামের নামে কারো ওপর আক্রমণ করে না, কারণ রাসুল (সা.) কখনো ধর্মের নামে কারো ওপর আক্রমণের শিক্ষা দেননি, ইসলাম কখনো সে শিক্ষা দেয় না।'
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
কিন্তু আজকে ইসলামের এই মূল মর্মবাণী থেকে সরে গিয়ে অনেকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওলী-আম্বিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তরুণদের বিপথগামী করে, বলেন তিনি।
'বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা ইরাকের বাগদাদ থেকে ধর্মপ্রচারের জন্য এদেশে আসেন' স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এদেশ যেমন মুসলিমদের, তেমনই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের, আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।'
এ সময় ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বন্ধে ও মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের এই দেশে ঠাঁই হবে না। সরকার এদের কঠোর হস্তে দমন করবে।
পীরগঞ্জ সফররত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইভান্ডার শরীফের শীর্ষ নেতা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ শান্তি মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতেই সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্য: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
৩ বছর আগে