নির্দোষ
হত্যা মামলায় ৩০ বছর জেল খাটার পর নির্দোষ প্রমাণিত
ত্রিশ বছর ধরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি, কিন্তু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। ফলে জেলের চার দেওয়ালেই কাটাতে হয়েছে তার জীবনের তিনটি দশক। তবে ত্রিশ বছর পরে হলেও বিচারকের মুখ থেকে তিনি শুনেছেন, ‘আপনি নির্দোষ। দণ্ডাদেশ বাতিল করা হলো।’
বলছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের গর্ডন কর্ডেইরো নামে এক ব্যক্তির কথা। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে রায় দিয়েছে হনুলুলুর একটি আদালত।
এদিন রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কর্ডেইরো। নিজের কানকেই তিনি যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। রায় ঘোষণার এই দিনটিকে তিনি ‘ফ্রিডম ফ্রাইডে’ বলে আখ্যা দেন।
১৯৯৪ সালে মালাউই দ্বীপে টিমোথি ব্লেইসডেল হত্যা মামলায় জেল খাটছিলেন কর্ডেইরো। মাদক কারবার চলাকালে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে খুন হন ব্লেইসডেল। ওই মামলার প্রাথমিক সন্দেহভাজন ছিলেন কর্ডেইরো।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি
হত্যা মামলার প্রথম শুনানিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে জুরি বোর্ড। মাত্র একজন বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন; কিন্তু পরে তাকে খুন, ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলার শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন কর্ডেইরো। দণ্ডাদেশ পাওয়ার পরও তিনি নিজের দাবিতে অটল ছিলেন।
মুক্তির পর তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করা সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কর্ডেইরো। ছাড়া পাওয়ার পর প্রাথমিক অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশেষে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারব।’
এর আগে, শুনানি চলাকালে নতুন ডিএনএ নমুনা পাওয়া গেলে হাওয়াই ইনোসেন্স প্রজেক্ট তার মুক্তির জন্য দাবি জানায়।
হাওয়াই ইনোসেন্স প্রজেক্টের সহকারী নির্বাহী কেনেথ লসন বলেন, এটি অত্যন্ত আবেগঘন একটি মুহূর্ত ছিল।
‘তিনি কেঁদেছেন, তার সঙ্গে আমরাও সবাই কেঁদেছি। কর্ডেইরো বিশ্বাস করতেন যে একদিন সত্যিটা বের হবে... কিন্তু দুটি বিচার প্রক্রিয়া পার করার পর বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ন্যায়বিচারই পেলেন।’
কর্ডেইরোর আইনজীবীর অভিযোগ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার জন্য পুলিশ ‘৪ কয়েদির’ বয়ানের ওপর ভরসা করেছেন।
তার দাবি, ওই চার সাক্ষ্যকে সাজা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্ডার-ফর-হায়ার, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে কর্ডেইরো ওই হত্যা করেছেন—এমন বানোয়াট বয়ান দেয়। ফলে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
তবে শুক্রবারের রায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য ব্যবহার করার কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে আদালত।
কেনিথ জানান, ঘটনার দিন কর্ডেইরোর ঘটনাস্থলে না থাকার যথেষ্ট প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও তা মানা হয়নি। সম্প্রতি নিহত ব্লেইসডেলের শরীরের পাওয়া ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই নমুনার সঙ্গে কর্ডেইরোর ডিএনএ মেলেনি, বরং অজ্ঞাত একটি ডিএনএ নমুনা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি পান কর্ডেইরো।
পুলিশের গাফিলতির কারণে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তার পুরো পরিবার এতগুলো বছর ধরে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বলে বিচারাদেশের পর অভিযোগ করেন তার আইনজীবী।
২৯ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপারেশন ডেভিল হান্টে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেজন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে রাঘবোয়াল চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি। যতোদিন ডেভিল মুক্ত না হবে ততদিন অপারেশন চলবে। এজন্য কমিটি আছে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় থাকবে, কারণ ছোলা, খেজুরের সরবরাহ ভালো। দেশে সারের কোনো সংকট নাই, কিছু ডিলার শয়তানি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। রমজানে আমাদের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ বাইরের দেশে রমজানে দ্রব্যমূল্য কমে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সঠিক সংবাদ প্রকাশ করা জন্য ভারত এখন আর আগের মতো মিথ্যা সংবাদ করে না।’
সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের ভূমিকায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে খুশি, তবে আইন যেন কেউ হাতে তুলে না নেয়।’
মতবিনিময় সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজশাহীতে দায়িত্বরত সেনা, বিজিবি, র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪১ দিন আগে
ফের পেছাল এস কে সিনহার মামলা রায়
ঢাকার একটি বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আবার পিছিয়ে দিয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম খান নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। ঢাকার বিশেষ জজ (কোর্ট-৪) শেখ নাজমুল আলম খান ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ হিসেবে ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে গত ২৯ অগাস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রাত এবং মো. লুৎফুল হক,সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
পড়ুন: এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
২৪ আগস্ট প্রতিরক্ষা আইনজীবীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলায় প্রায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণ এবং চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
সরকার দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করতে পারবে না: হাইকোর্ট
১২৪৯ দিন আগে